রাজশাহী: রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে আছে চায়ের দোকান। ক্লান্তির মাঝে এক কাপ চা ধনী অথবা গরীব সব শ্রেণির চাই। চা ছাড়া ক্লান্তি যেন দূর হয় না। তাছাড়া আড্ডা প্রিয় বাঙালির আড্ডা জমে উঠে এসব চায়ের দোকানে। কৌশলী চায়ের দোকানিও। ভোক্তা ধরে রাখতে দোকানগুলোতে রাখা হয়েছে টেলিভিশন। সেখানে চলে বাংলা সিনেমা। আর সিনেমার টানে চলে এক কাপ চা।
হাটবাজারের ও মোড়ের দোকানের চায়ের দোকানগুলো যেন মিনি সিনেমা হলে পরিনত হয়েছে। সিনেমায় রোমান্টিক, অ্যাকশন, দুঃখের দৃশ্য চলে। সেই তালে চলে চা বিক্রি। ক্রেতাদের সিনেমা মনে ধরে গেলে উঠার নাম নেই। চলে একের পর এক চা পান করা। তবে, এসব দোকানে যুব সমাজের আনাগোনা অস্বাভাবিকহারে বেড়ে গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছে যুব সমাজ।
চায়ের দোকানগুলো সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রায় প্রত্যেকটিতে রয়েছে রঙ্গিন টেলিভিশন। তবে, আড্ডার মাঝে বেশ কিছু দোকানে সিডির মাধ্যমে চলে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ সিনেমা ও খোলামেলা নৃত্য। এতে সামাজিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছে যুবসমাজ।
স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেরাও রয়েছে এসব চায়ের দোকানের নিয়মিত গ্রহক। স্কুলকলেজ ফাঁকি দিয়ে এসব চায়ের দোকানে গিয়ে অশ্লীল সিনেমা দেখেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে অভিভাবক সমাজও চিন্তিত।
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকার আসলাম উদ্দীন জানান, এ ধরনের চায়ের দোকানের সংখ্যা অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কারণে ভালো ছেলেরাও নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (ভো.) বিদ্যালয়ে সুপারেনটেনডেন্ট আব্দুল হান্নান চৌধুরী জানান, শুরুতেই এসব অবক্ষয় থেকে তরুণ ও যুব সমাজেকে ফেরাতে না পারলে এক সময় তারা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। তখন আর কোন উপায় থাকবে না।
এ ব্যাপারে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ জানান, বিষয়টি তাদের নজরেও এসেছে। বিষয়টি আগামী আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তুলে ধরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গোনিউজ২৪/পিআর