ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এক কলস পানির জন্য ওদের যতো দুর্ভোগ


গো নিউজ২৪ | ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭, ০৬:০৭ পিএম আপডেট: সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭, ১২:০৯ পিএম
এক কলস পানির জন্য ওদের যতো দুর্ভোগ

চর কচুয়াখালীর ৫ হাজার মানুষের জন্য ২টি টিউবওয়েল

ভোলা: লালমোহন উপজেলার তেতুলিয়া নদীর র্তীরে চর উমেদ ইউনিয়নের চর কচুয়াখালীর অবস্থান। শত বছর আগে জেগে উঠে চরটিতে আশির দশেকে জনবসতি শুরু হলেও নব্বইয়ের দশকে এ চরে ঘন জনবসতি ও মানুষের সমাগমে মুখরিত হয়। ৫টি আবাসন, ৮টি গুচ্ছ গ্রাম এবং ২ শতাধিকেরও বেশি কাচা ও পাকা ঘরবাড়িতে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষের বসবাস।

এখানকার মানুষের আয়ের উৎস্য মৎস্য শিকার ও কৃষি কাজ। আর কয়েকটা চরের চেয়ে ভিন্ন এ চরের মানুষের জীবনযাত্রা। এ চরে জনবসতি বসবাস শুরু হলে তখন তারা খাল ও নদীর পানি ফুটিয়ে পান করতো। আর তখন অসুখ লেগেই থাকতো।

প্রায় ১০ বছর আগে এ চরে মানুষের বিশুদ্ধ পানির জন্য সরকারিভাবে ১০ টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়। প্রায় ৫ বছর আগে ১০টির মধ্যে ৭ টি টিউবওয়েল বিভিন্ন সমস্যায় সম্পূর্ণ বিকল ও ১টি আরসিনিক উঠার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। 

তার পর থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার মানুষের ব্যবহার করার জন্য অবশিষ্ট থাকে দুইটি টিউবওয়েল। যার কারণে এক কলসি টিউবওয়েলের বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য গৃহবধূদের প্রায় প্রতিনিই ১-২ কিলোমিটার পথ হাটতে হয়। আবার বর্ষা মৌসুমে কাদা মাটির মধ্যে হেটে যেতে হয়। তখন তাদের দুঃখের শেষ নেই। তার পর আবার পানির জন্য পড়ে র্দীঘ লাইন। আবার কখনো ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এক কলসি পানির জন্য। কোনো উপায় না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।

জীবন রক্ষার্থে এ চরের দুইটি টিউবওয়েলের পানিই তাদের একমাত্র ভরসা। আধুনিক যুগে বাস করেও তাদের দিন কাটাতে হচ্ছে মান্দাতার আমলের মতই। এ অবস্থায় চর কচুয়াখালীবাসীর অভিযোগ, এ সংকট র্দীঘ ৫ বছর ধড়ে চলে আসলেও জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারের দপ্তরের কোনো কর্মকর্তারা তাদের খোঁজখবর নেননি বলে অভিযোগ করেন তারা।

স্থানীয় গৃহবধূ রহিমা, শেফালী, শেফা, শিরিন, হেপি, নাছিমাসহ একাধিক গৃহবধূরা জানান, প্রতিদিন এই বর্ষার মধ্যে কাদা ও পানির মধ্যে এক কলসি পানির লাইগা ১ থেইকা ২ মাইল পথ হাডন লাগে আমাগো। আইজ পর্যন্ত কোন চেয়ারম্যান, কিবা সরকার আমাগো খোঁজ নেয় নাই। 

স্থানীয় রফিজল, নিরব, কামাল, রহিম, মোজাফরসহ কয়েকজন জানান, ইউসুফ মিয়া চেয়ারম্যান হওয়ার পর গত ১০ বছরে এই এলাকায় মাত্র দুইবার আইছেন। এর পর আর তিনি আমাগো কোন খোঁজখবর নেন নাই। তার কাছে গেলে আমাগো লগে তিনি দেহাও করেন না। 

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, চেয়ারম্যান মো. আবু ইউসুফ লালমোহন উপজেলার তেতুলিয়া নদীর র্তীরে চর উমেদ ইউনিয়নের চর কচুয়াখালীর থেকে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে ওই ইউপি চেয়ারম্যান কখনো তাদের খোঁজখবর নেয়নি বলে জানান স্থানীয়রা। 

এব্যাপারে চর উমেদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবু ইউসুফের সাথে টিউবওয়েলর বিষয় কথা বলতে চাননি। পরে তিনি জানান, চরের অনেক টিউবওয়েল নষ্ট হয়ে আছে। যদি চর কচুয়াখালীতে টিউবওয়েলর বেশি প্রয়োজন হয় তবে দেখবো দেয়া যায় কিনা। 

এ ব্যাপারে অচিরেই চর কচুয়াখালী সাধারণ মানুষের টিউবওয়েলের সমস্যা দূর করার আশ্বাস দিলেন লালমোহন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামছুল আরিফ।

গোনিউজ২৪/পিআর

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা