ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের ছুটিতে পর্যটক বাড়বে বান্দরবানে


গো নিউজ২৪ | পর্যটন ডেস্ক প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০১৬, ০৪:৪৭ এএম
ঈদের ছুটিতে পর্যটক বাড়বে বান্দরবানে

পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের টানা ছুটিতে এবার পর্যটকদের ঢল নামবে পর্যটন শহর বান্দরবানে। পার্বত্য জেলা শহর এবং উপজেলাগুলোতে ছোট-বড় শতাধিক হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউজ, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্রামাগারগুলো আগাম বুকিং হয়ে গেছে ভ্রমণপিপাসুদের পক্ষ থেকে। জেলা প্রশাসনও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা দিতে।
পবিত্র রমজান মাস শেষে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। এবার ৯ দিনের টানা সরকারি ছুটি। জেলা শহর, রুমা ও থানছি উপজেলার শতাধিক হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউস ইতোমধ্যেই বুকিং হয়ে গেছে বলে জানান পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বর্ষার সূচনাতেও সারাদেশসহ বিদেশি বিপুল পর্যটকের সমাগম ঘটবে বলে আশা করছেন আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ীরা।

 

গত দুই বছরের মধ্যে জেলা শহরে ১০টি নতুন আবাসিক হোটেল ও গেস্ট হাউস গড়ে তোলা হয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে। আধুনিক মডেল ও কারুকার্য্যে নির্মিত হয়েছে বিলাসবহুল এসব হোটেল। সাধারণ হোটেলের দুই বেড বিশিষ্ট কক্ষ ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা এবং উন্নতমানের হোটেলগুলোতে ২ বেডবিশিষ্ট কক্ষ ভাড়া ১২০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। মাঝারি ও উন্নতমানের হোটেলগুলোতেই পর্যটকরা আগাম বুকিং দিয়েছেন বেশি।

 

জেলা শহরের অদূরে মেঘলা পর্যটন হোটেলের পরিচালক হুমায়ুন কবির, জেলা শহরের প্রেসক্লাবস্থ হোটেল গ্রীণহিলের মালিক সিরাজুল ইসলাম, নতুন আবাসিক হোটেল পালকির পরিচালক আলাউদ্দিন শাহরিয়ার এবং মো. শাফায়েত হোসেন জানান, তাদের হোটেলের কক্ষগুলো ঈদ-উল-ফিতরের পরদিন থেকে টানা ১৫ দিন পর্যন্ত বুকিং রয়েছে।

 

জানা গেছে, রাজনৈতিক পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলে প্রতিদিনই হোটেল, গেস্ট হাউস, মোটেল ও খাবার হোটেলসহ পরিবহণ সেক্টরে প্রতিদিনই কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা আয় হয়। তবে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হলে পর্যটকদের আগমন ঘটে না। এ কারণে প্রতিদিনই হোটেল ও পরিবহণ মালিকদের আর্থিকভাবে লোকসান গুণতে হয় প্রায় ৫০ লাখ টাকা।

 

পর্যটন সেক্টরের উদ্যোক্তারা বলেন, জেলায় প্রতি মৌসুমে বিশেষ করে জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত (পিকআওয়ার) গড়ে ১০ লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটকের আগমন ঘটে। এ সময় কয়েক হাজার লোক অস্থায়ী মজুরি সুবিধাও পায়। জেলায় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বুনুনকৃত রকমারী পোশাক, চাদর, গামছা, কম্বল এবং শীতবস্ত্র ক্রয়ে বেশি আগ্রহী হন পর্যটকরা। বিকিকিনি বাড়ে এবং আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হন স্থানীয়রা।

 

পার্বত্য জেলা শহর এবং আশেপাশের প্রধান প্রধান পর্যটন কেন্দ্রগুলো হচ্ছে, মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র, আধুনিক শৈলীসমৃদ্ধ ও স্থাপত্যে অবকাঠামোয় নির্মিত নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র, সোনালী রংয়ের বুদ্ধ ধাতু মন্দির, রামজাদি মন্দির, সেনানিবাসের শাপলা চত্বর, ২টি পুরানো রাজবাড়ি, শৈলপ্রপাত, মেঘলায় স্থাপিত ক্যাবল কার ও ২টি ঝুলন্ত সেতু এবং মিনি চিড়িয়াখানা। তাছাড়াও জেলার রুমা উপজেলায় রিজুক ঝর্ণা, পাহাড়ের ভাজে ভাজে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর পাড়া/গ্রাম, কিংবদন্তির বগালেক, ক্যাক্রাডং, তাজিংডং, রামজু পাহাড়, সেনাবাহিনী পরিচালিত আধুনিক স্থাপত্যের নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র, থানছির উজানে সাংগু নদীর বুকের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা রাজাপাথর, রেমাক্রি ঝর্ণা ও নাফাকুম পর্যটন কেন্দ্র বিশেষ কারুকার্যে সাজানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক এবং পুলিশসুপার মিজানুর রহমান মিডিয়াকর্মীদের জানান, ঈদের টানা বন্ধ ও ছুটিতে এবারও এ জেলায় কয়েক লাখ পর্যটকের আগমন ঘটতে পারে। পর্যটকদের জন্য বিশেষ ট্যুর গাইডের ব্যবস্থাও রয়েছে। প্রশাসনের উদ্যোগে পর্যটকদের ভ্রমণ ব্যবস্থায় যাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়, পরিবহণের জন্যে অতিরিক্ত ভাড়া না নেয়া হয় এবং আবাসিক হোটেল ও খাবার হোটেলগুলোতে ন্যায্যমূল্য বা ভাড়া আদায় করা হয়, সেই সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সূত্র: বাসস

 

গো নিউজ২৪/জা আ 

পর্যটন বিভাগের আরো খবর
৩ ঘণ্টায় কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন, ভাড়া ২৫০০ টাকা

৩ ঘণ্টায় কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন, ভাড়া ২৫০০ টাকা

টাউন হল ভেঙে নতুন কমপ্লেক্স বানাতে চান আ.লীগ নেতারা

টাউন হল ভেঙে নতুন কমপ্লেক্স বানাতে চান আ.লীগ নেতারা

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে অত্যাধুনিক রণতরী উদ্বোধন কাল

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে অত্যাধুনিক রণতরী উদ্বোধন কাল

সহজেই সাজেক যাওয়ার পথ তৈরি হল

সহজেই সাজেক যাওয়ার পথ তৈরি হল

সংসদ লেকে দৃষ্টিনন্দন নৌকা, ব্যয় ৪০ লাখ টাকা

সংসদ লেকে দৃষ্টিনন্দন নৌকা, ব্যয় ৪০ লাখ টাকা

সবার জন্য মাসে ১ দিন চিড়িয়াখানায় বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ

সবার জন্য মাসে ১ দিন চিড়িয়াখানায় বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ