আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফরাসী প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওঁলাদ বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটকে (আইএস ) তারা ধ্বংস করে দেবেন।
শুক্রবার সেদেশে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে গতরাতে তিনি ফ্রান্সের পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে দেওয়া এক ভাষণে তিনি একথা বলেন।
ওঁলাদ বলেন, ফ্রান্স আইএস-এর বিরুদ্ধে ইরাক এবং সিরিয়ায় বিমান হামলা আরও জোরদার করবে।
দেশের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আরও দুই হাজার অতিরিক্ত পুলিশ নিয়োগ এবং জরুরি অবস্থা আরও তিন মাস বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।
ওঁলাদ বলেন, সিরিয়া হচ্ছে সন্ত্রাসী তৈরির কারখানা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিষয়টি বারবারই দেখেছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
যেসব বিদেশি তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তাদের চিহ্নিত করে দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া তরান্বিত করা হবে বলে জানান ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।
এদিকে তুরস্কে অনুষ্ঠিত জি-টুয়েন্টির বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো ইসলামিক স্টেটের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
এক বিবৃতিতে নেতারা বলেছেন, সন্ত্রাসের জন্য তহবিল যাতে কেউ জোগাড় করতে না পারে সেজন্য তারা দেশগুলোর মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান ব্যবস্থা আরও জোরদার করবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যের গভর্নর ঘোষণা দিয়েছেন, প্যারিসে হামলার কারণে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হওয়ায় সিরিয়া থেকে আসা শরণার্থীদের তাদের রাজ্যে জায়গা দেওয়া হবে না।
মিশিগান রাজ্যের গভর্নর বলেছেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতির পুনরায় মূল্যায়ন না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়ার শরণার্থীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে।
মিশিগান ছাড়াও আলাবামা, টেক্সাসসহ আরও কয়েকটি রাজ্যের গভর্নররা একই ঘোষণা দিয়েছেন। তবে গভর্নররা আইনগতভাবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কিনা- সেটি এখনও পরিষ্কার নয়।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, শরণার্থীদের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি আমেরিকার মূল্যবোধের বিরোধী।
সূত্র: বিবিসি