ফারজানা আক্তার: মুরুব্বিরা বলে শত্রু, সমালোচক থাকা নাকি ভালো। তাতে নাকি সাবধানে পা ফেলা হয়, সাবধানে কথা বলা হয় আবার সকল কাজ সতর্কতার সাথে করা হয়। এতে করে শত্রু, সমালোচক থাকা মানুষটি জীবনে উন্নতিও করতে পারে আবার সব কাজে সাবধানতা অবলম্বন করে মানুষের ভালোবাসাও পায় বেশি।
আমি এমন একজন মানুষকে চিনি যার কোনো শত্রু, সমালোচক নাই, আবার তার ভালোবাসারও অভাব নাই। শুধু নিজের দেশেই না তিনি সারা বিশ্বের সকল মানুষের কাছে প্রিয় মানুষ। তিনি এমন একজন মানুষ যার মিষ্টি কথা, ছল ছল করা চোখ আর সরল ব্যবহার দেখে কঠিন হৃদয়ের মানুষও ভালোবাসে তাকে।
বলছিলাম মাশরাফীর কথা। আহারে, মাশরাফী ! নামটা মনে আসলেই আমি কোথায় যেনো হারিয়ে যাই। এই ছেলেটা আমাকে কোনো এক জাদুর মোহে আটকিয়ে রেখেছে। এই ছেলেটা আমার ক্রাশ না , তবে তার বউকে আমার খুব হিংসা হয়। খুব খুব হিংসা হয়। তবে মাশরাফিকে আমার সবসময় খুব আপন কাছের বড় ভাইয়ের মতোই মনে হয়।
মাশরাফী পুরো নাম মাশরাফী বিন মর্তুজা। ডাক নাম কৌশিক। অদম্য মানসিকতা নিয়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন, বুক চিতিয়ে লড়েছেন; বাংলাদেশের ক্রিকেটকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। দুই হাঁটুতে সাত-সাতটি অস্ত্রোপচারও তাকে দমাতে পারেনি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম বোলিং স্তম্ভ ও একদিনের আন্তর্জাতিকে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ডানহাতি ব্যাটসম্যান এবং বোলিংয়ের ধরণ ডানহাতি পেস বোলার। ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে অবিস্মরণীয় জয়ে মর্তুজা ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ৩৮ রানে ৪ উইকেট দখল করেন। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি খেলায় নিউজিল্যান্ডের সাথে বিজয়েও মাশরাফীর ভূমিকা রয়েছে। মাশরাফী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গতির বোলার এবং সমর্থকদের কাছে "নড়াইল এক্সপ্রেস" নামে পরিচিত।
আজ তার জন্মদিন। ১৯৮৩ সালে নড়াইলে জন্ম নেয়া 'কৌশিক' আজ ৩৪ বছরের অধিনায়ক মাশরাফী। 'নড়াইল এক্সপ্রেস'খ্যাত' মাশরাফী এশিয়া একাদশের একদিনের আন্তর্জাতিক দলে খেলেছেন।
১৬ বছরের ক্যারিয়ারে চোটের কারণে ১১বার দল থেকে ছিটকে পড়তে হয়েছে মাশরাফীকে। এই চোটই তার কাছ থেকে ২০১১ সালে দেশের মাটিতে হয়ে যাওয়া বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নিয়েছিলো। এরপরও মাশরাফি দেশকে ভালোবাসে খেলে যাচ্ছেন। ক্রিকেট ইতিহাসের এক নির্ভীক ক্রিকেটার তিনি।
মাশরাফীকে নিয়ে লিখতে গেলে শেষ করা যাবে না। এই ছেলেটির সাহস, কনফিডেন্স, আত্মত্যাগ, ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ, কর্তব্য, উপস্থিত বুদ্ধি সব কিছুর কাছে আমরা নস্যি মাত্র। তাকে ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা আমার মতো মানুষের নেই। আমি মনে করি অনেকেরই নেই। তার তুলনা শুধু তিনি। জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভালোবাসার ক্যাপ্টেন আপনাকে।
আল্লাহর কাছে অনেক অনেক দোয়া করি আপনি যেনো আপনার ছেলে -মেয়ের মাথার ছায়া হয়ে অনেক দিন বেঁচে থাকেন , আর আমাদের ভালোবাসার ক্যাপ্টেন, ম্যাশ হয়ে আমাদের মাঝে মধ্যমনি হয়ে থাকেন।
গোনিউজ২৪/এআর