ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ‘আমার মতো আরো যারা সরকারি শিশু পরিবারে আছে তাদেরও যেন আমার মতো বিয়ে হয়। আমি সকলের দোয়া কামনা করি। যেন বিবাহিত জীবনে আমি আমার স্বামী সংসার নিয়ে সুখে থাকতে পারি। আমার আপন কেউ নেই, তাই নতুন ঠিকানায় যেন ভালো থাকতে পারি সেই চেষ্টা করব।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোচিত বিয়ের কনে হাবিবা সাংবাদিকদের কাছে এভাবেই তার অনুভূতির কথা বলেন।
অপরদিকে, সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবার বর জাকারিয়া বলেন, আমি মনে করি সে আমার পরিবারে গেলে সুখে থাকবে। আমি তাকে খারাপ রাখব না। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাতে হাবিবার অভিভাবক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের বাসভবন স্বপ্নবিলাসে বিদায় অনুষ্ঠানে বর-কনে দুজনেই তাদের অনুভূতির কথা বলেন।
এসময় হাবিবার বর জানান, আমি আমার এসপি স্যারসহ সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের সহযোগিতা করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। আমাদের জন্য দোয়া করবেন, যেন সাংসারিক জীবনে সুখি হতে পারি।
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে হাবিবার বাবার ভূমিকায় থাকা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের উপস্থিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কাজী আবু জামাল হাবিবা-জাকারিয়ার বিয়ে পড়ান। হাবিবা-জাকারিয়ার আলোচিত এ বিয়েতে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাসহ নানা শ্রেণি-পেশার তিন শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে পুলিশ সুপারের বাসভবন স্বপ্নবিলাস থেকে রাত ১০টার দিকে কনে হাবিবাকে বিদায় জানানো হয়। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, ফজিলাতুননেসা বাপ্পী, জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ-এর সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসাইন, সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত ও শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক রওশন আরা বেগমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তবে রাত আটটার দিকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে কিছুটা বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়। তবে প্রায় আধা ঘণ্টা পরে বৃষ্টিপাত শেষ হলে শুরু হয় বরকনের বিদায় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। বৃষ্টি হলেও সকলের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত।
গো নিউজ২৪/এন