ভোলা: ভোলায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। উৎপান খরচ পুষিয়ে এবার আমন ধান বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন তারা।
কৃষকরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ের প্রকৃতিক দুর্যোগে কারণে ফসলের কোনো ক্ষতি হয়নি।
এদিকে আমন আবাদে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়াতে এ বছর ৪ লাখ ২০ হাজার ৮১২ মেট্রিক টন চাল উৎপান হবে বলে আশাবাদী কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগ বলছে, গত বছরের তুলনায় ফলন অনেক ভালো। এতে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, ভোলার সাত উপজেলায় এক লাখ ৭৭ হাজার হেক্টর জমিতে এ বছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু আবাদ হয়েছে এক লাখ ৭৯ হাজার হেক্টর। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার হেক্টর বেশি।
মোট আবাদের মধ্যে ভোলা সদরে ২৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর, দৌলতখান উপজেলায় ১৬ হাজার ৫৫০, বোরহানউদ্দিনে ১৮ হাজার ৫০০, তজুমদ্দিন উপজেলায় ১১ হাজার, মনপুরা উপজেলায় ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর, লালমোহন উপজেলায় ২৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর এবং চরফ্যাশন উপজেলায় ৭০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে।
ভোলার দক্ষিণ রতপুর গ্রামের কৃষক সালাউদ্দিন বলেন, ‘গত ৩০ বছর ধরে আমনের আবাদ করছি। এ বছরও ১৫ গন্ডা জমিতে আমনের আবাদ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভ হবে।’
দেড় কানি জমিতে আমনের আবাদ করেছেন কৃষক রাসেল। তিনি বলেন, ‘আমন আবাদ করতে ১৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আশা করি ৩৫ হাজার টাকা লাভ হবে।’
তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘১০ গন্ডা জমিতে আমনের আবাদ করেছি। প্রথম দিকে কিছুটা পোকা থাকলেও ক্ষেতে কোনো ক্ষতি হয়নি। বৃষ্টি হওয়াতে ক্ষেতের অবস্থা অনেক ভলো।’
এ ব্যাপারে ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘প্রতি বছরই ভোলা জেলায় আমনের ভালো ফলন হয়ে থাকে। এ বছরও ফলন ভালো হয়েছে। এতে করে আমন চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।’
উল্লেখ্য, গত বছর জেলায় ১ লাখ ৭৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয় এবং তা থেকে ৪ লাখ ২০ হাজার ৮১২ মেট্রিন টন চাল উৎপাদন হয়েছে। প্রতি বছরের আগস্ট মাস থেকে আমন আবাদ শুরু হয় এবং নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে কাটার উপযোগী হয়ে থাকে।
গোনিউজ/এমবি