স্বামীর অগোচরে প্রায়ই পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতো স্ত্রী। স্বামীর বার বার অনুরোধের পরও পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতো স্ত্রী। অবশেষে উপায় না পেয়ে পরকীয়ার অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন স্বামী।
মামলায় আসামি করা হয়েছে পরকীয়া প্রেমিক ও এক সহযোগীকে। ঘটনাটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায়। বুধবার ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অফিস সহায়ক মো. কামরুজ্জামান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলার পর আসামি ৩ জনই পলাতক রয়েছে। মামলার বিবাদীরা হলো, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারী রতন সরকার, মামলার বাদীর স্ত্রী তিথী মনি ও উপজেলা পরিষদের মালী রুক্কু মিয়া।
মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, ধর্মপাশা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অফিস সহায়ক মো. কামরুজ্জামান স্ত্রী তিথী মনিকে নিয়ে উপজেলা কোয়ার্টারের শ্যামলী-২ ভবনে বসবাস করেন।
দীর্ঘদিন এখানে বসবাস করায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারী রতন সরকারের সঙ্গে তিথী মনির পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে। নভেম্বর মাসে অফিস সহায়ক কামরুজ্জামান ব্যক্তিগত কাজে অফিস থেকে দুই দিনের ছুটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ চলে যান।
এ সুযোগে অফিস সহকারী রতন সরকার ৫ই নভেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় কামরুজ্জামানের বাস ভবনে যায়। এ সময় তারা অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। আশপাশের লোকজন তাদের অসমাজিক কাজে লিপ্ত থাকার বিষয়টি টের পেয়ে তিথী মনির কক্ষের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয়।
মোবাইল ফোনে তিথী মনির স্বামীকেও বিষয়টি অবগত করেন স্থানীয় লোকজন। কামরুজ্জামান এ বিষয় জেনে ধর্মপাশা থানা পুলিশকে অবগত করেন।
এদিকে, কক্ষে তালা দেয়ার বিষয়টি টের পেয়ে পরকীয়া প্রেমিক রতন সরকার মোবাইলে উপজেলা পরিষদের মালী রুক্কু মিয়াকে উদ্ধারের জন্য অনুরোধ করে। রুক্কু মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কক্ষের তালা ভেঙে দিলে রতন সরকার পালিয়ে যায়।
ধর্মপাশা থানার ওসি সুরঞ্জিত তালুকদার বলেন, অফিস সহায়ক কামরুজ্জামান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে এবং এ বিষয়টির তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গোনিউজ২৪/কেআর