ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঘুরে এলাম কাশ ফুলদের বাড়ি


গো নিউজ২৪ | আবু রায়হান মিকাঈল প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০১৮, ০৬:০২ পিএম আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০১৮, ১২:০২ পিএম
ঘুরে এলাম কাশ ফুলদের বাড়ি

পড়ন্ত বিকেলে মনকে প্রফুল্ল করতে ঘুরে আসতে পারেন কোনো এক নিষ্পাপ প্রকৃতির মাঝ থেকে। প্রকৃতি আপনাকে সব সময়ই দিবে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা। এমনি ভালোবাসার আশায় এক স্নিগ্ধ বিকেল কাটাতে এবং নগরজীবনের ব্যস্ততার ফাঁকে একটু শান্তির খোঁজে ক্ষণিকের জন্য গিয়েছিলাম ঢাকার কাশ ফুলদের বাড়ি!

সেদিন কাশকন্যাদের ভালোবাসায় অন্যরকম মুগ্ধ হয়েছিলাম আমরা সবাই। ক্ষণিকের জন্য ভুলে গিয়েছিলাম নিজেকেও। হারিয়েছিলাম প্রকৃতির শুভ্রতায় মোড়ানো এক রোমাঞ্চ ভূবনে। ইট, পাথরের যান্ত্রিকময় এই শহরে প্রকৃতির এমন নিষ্পাপ সৌহার্দ্য এক নিমিষে মুছে দিবে শত গ্লানি। তাই জীবন থেকে কিছুটা সময় প্রকৃতিকে দিন, প্রকৃতি আপনাকে রংধনুর বিছনায় জড়িয়ে রাখবে।

সম্প্রতি রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রীর আফতাবনগরের কাশবন ঘুরে এমনি অনুভূতির কথা জানান দিয়েছে আমার মন। পড়ন্ত বিকেলে কাছের প্রিয় মানুষগুলোর সাথে কাশবনের বাঁকে হাঁটার মুহূর্তটা ছিল শরতের শ্রেষ্ঠ উপহার।

আফতাবনগর ছাড়াও খোলা বাতাস খাওয়ার আরেক জায়গা উত্তরা দিয়াবাড়ি। প্রকৃতি প্রেমিদের নজরকাড়া ভীড় এখানে লেগেই থাকে। এদিকে বসুন্ধরা ৩০০ ফিট রাস্তার চারপাশ এখনও রয়েছে শরতের দখলে। একটু সময় নিয়ে ঢাকার এপাশ ওপাশ তাকালেই মিলবে নয়নাভিরাম অনেক দৃশ্য।

কাশ ফুলদের বাড়ি

আফতাবনগরে প্রকৃতির সাথে নিজেকে জড়িয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার মুহূর্তে হাজির হয় বৃষ্টির ফোঁটা। শরতভেজা ব্যাকুলতায় সেদিন বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা ছিল আশাতীত ভালোলাগা। শরতে কাশফুলের কোমল পরশ আর সাদা সাদা নরম মেঘের ফাঁক গলে মাঝে মাঝে উঁকি দেয় সোনাঝরা রোদ। 
পশ্চিমে হেলে পড়া সেই সূর্যের কিরণ যখন কাশফুলের ওপর পড়ে, তখন এ দুইয়ের মিথস্ক্রিয়ায় অদ্ভুত এক আভা প্রকৃতিতে ছড়িয়ে পড়ে, যা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে উপভোগ করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। যত দূরে চোখ যায়, দৃষ্টিজুড়ে শুধু কাশবন আর কাশবন। বিস্তীর্ণ এলাকা যেন শুভ্রতার চাদরে মোড়া এক অপরূপ সৌন্দর্যের রাজ্য।

সাদা কাশকন্যার মাঝে কালো কেশ যেন এই মাটি ও মানুষের প্রকৃতিকে দিয়েছে কবি কাব্যের বেশ। তাই কাব্যের ভাষায় কবি মনের বন্ধনা আজ এমনই....

কাশ ফুলদের বাড়ি সাদা শুভ্রতার হাতছানি,
তাই কংক্রিটের শহরে সে এক টুকরো রানী।
তার মাঝে কালো কেশের কোলাহল নিত্যদিন,
পড়ন্তক্ষণে শুভ্রতার পরশে জীবনটা করে রঙিন।
প্রকৃতির কাছে হারিয়ে একটি বেলা শেষ,
স্মৃতির মিনারে গাঁথা রবে যার রেশ...।

কাশ ফুলদের বাড়ি

কাশফুলের অপরূপ সৌন্দর্য পুলকিত করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। শ্বেত শুভ্র কাশফুলের নরম পালকে চড়ে মেঘের দেশে হারিয়ে যেতে কার না মন চায়! নীল আকাশের নিচে সাদা কাশফুল যখন বাতাসের দোলায় দুলতে থাকে তখন মনটাও যেন শরৎ প্রেমে আন্দোলিত হয়। তাই প্রকৃতির এমন প্রেম থেকে মনকে বঞ্চিত না করে আসুন আমরা প্রকৃতির সাথে মিশি। প্রকৃতি আমাদের আগলে রাখবে নিঃস্বার্থ ভালোবাসায়।

লেখক : গণমাধ্যম কর্মী, ঢাকা

গো নিউজ২৪/আই
 

পর্যটন বিভাগের আরো খবর
৩ ঘণ্টায় কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন, ভাড়া ২৫০০ টাকা

৩ ঘণ্টায় কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন, ভাড়া ২৫০০ টাকা

টাউন হল ভেঙে নতুন কমপ্লেক্স বানাতে চান আ.লীগ নেতারা

টাউন হল ভেঙে নতুন কমপ্লেক্স বানাতে চান আ.লীগ নেতারা

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে অত্যাধুনিক রণতরী উদ্বোধন কাল

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে অত্যাধুনিক রণতরী উদ্বোধন কাল

সহজেই সাজেক যাওয়ার পথ তৈরি হল

সহজেই সাজেক যাওয়ার পথ তৈরি হল

সংসদ লেকে দৃষ্টিনন্দন নৌকা, ব্যয় ৪০ লাখ টাকা

সংসদ লেকে দৃষ্টিনন্দন নৌকা, ব্যয় ৪০ লাখ টাকা

সবার জন্য মাসে ১ দিন চিড়িয়াখানায় বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ

সবার জন্য মাসে ১ দিন চিড়িয়াখানায় বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ