‘ইশ্বর জানেন এই মাঠে কী হবে।’ বিপিএলের প্রথম দিনে ব্যাট হতে দুস্তর মরুভূমিকে ছুটার পর কথাগুলো বলেছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটার রবি বোপারা। ঢাকার উইকেট এতটাই ম্যাড়মেড়ে এবং স্লো ছিল যে রান তুলতে হিমশিম খেতে হয়েছিল তাকে। ঢাকা পর্বের ১৪ খেলায় দুই-একটি গেইম ছাড়া সবকটিই হয়েছে লো-স্কোরিং।
ঢাকার অবস্থা দেখে ক্রিকেটপ্রেমীদের আত্মবিশ্বাস ছিল অন্তত সিলেটে ফিরলে রান বন্যা দেখা যাবে। কিন্তু তাদের ধারণা পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে উইকেট। রোববার দিনের প্রথম খেলার ন্যায় দ্বিতীয় খেলায়ও হয়েছে লো-স্কোরিং। কুমিল্লা-সিলেট দুই দল মিলে করেছে মাত্র ১৩৭ রান। অন্যদিকে দুই দলের তারকা খচিত ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার-আন্দ্রে ফ্লেচার-তামিম-এনামুলরা ছিলেন ব্যাট হাতে নিস্তেজ। ওয়ার্নার তো সাত বলে খেলে কোন রানই তুলতে পারেননি। প্রতিপক্ষকে এক ওভার মেডেন উপহার দেয়ার পরের বলে নিভে যান। একই ভাবে ব্যর্থ ছিলেন আরেক বিদেশি তারকা আন্দ্রে ফ্লেচার। ফ্লেচারকে ফেরানোর দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেন দিনের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী মেহেদী।
স্বাগতিক সিলেটের টপঅর্ডারদের ব্যর্থতার দিনে ব্যাট হাসেনি মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানদেরও।সাব্বির-পুরানরা ছিলেন কার্যত ব্যর্থ। লিটন ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেননি। সে কারণেই মাত্র ৬৮ রানে থেমে যায় সিলেটের ইনিংস।
স্বাগতিক সিলেটের ঠুনকো রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরু বড়সড় ধাক্কা খেয়ে বসে কুমিল্লা। দলীয় স্কোরে রান যোগ করার আগেই রান আউটে কাটা পড়েন দলটির উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান এনামুল হক জুনিয়র। দৌড়ে রান নিতে গিয়ে আচমকা আউটের শিকার হন টানা ব্যর্থ হওয়া এই ক্রিকেটার। এরপর ড্যাশিং তামিমকে এলবিডব্লিয়ের ফাঁদে ফেলেন পাকিস্তানি পেসার শোয়ের তানভীর। তবে এ ধাক্কা সামলে ঠিকই কুমিল্লাকে ভিক্টোরি এনে দেন সামসুর ও ইমরুল। দুইজনের দায়িত্বশীল ইনিংসে ৮ উইকেটে জয় লাভ করে কুমিল্লা।
গোনিউজ২৪/এআর