ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নিন্দিত খালেদা, নন্দিত খালেদা!


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৮, ০৮:২৭ পিএম
নিন্দিত খালেদা, নন্দিত খালেদা!

ঢাকা : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তবে এ নিয়ে কোনো আন্দোলনে যেতে বিএনপি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করেন অনেকে।

সমালোচকদের মতে, দুর্নীতির কারণে জনসমর্থন না পাওয়া ও দলীয় নেতাদের দূরদর্শিতার অভাবে বর্তমান রাজনীতিতে কোনোভাবেই টিকে থাকতে পারছে না বিএনপি।

তবে এ অপারগতা দলীয় জুনিয়র কর্মীদের ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড হলে সাধারণ জনগণের সহানুভূতি পাওয়া যাবে বলে বোধগম্য করার চেষ্টা করছেন তারা।

এ প্রসঙ্গে বিএনপির একজন নেতা বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের কথা মতো আমরা ম্যাডামের জেল হবার পরও কোনো আন্দোলনে যাই নি। সিনিয়র নেতারা সকলেই বলছেন, ম্যাডামের কারাদণ্ডের মাধ্যমে জনসমর্থন বাড়বে। অথচ দিন দিন সে আশাও নিভে যাচ্ছে। সিনিয়রদের কথা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। উল্টো এখন জনগণ খালেদা জিয়াকে অপরাধী মনে করছে। তারা বলছে, অপরাধ করলে সাজা পেতে হয় সেটা প্রমাণ হয়েছে।

যদিও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, অনেকেই বলছেন খালেদা জিয়া জেলে ঢুকলেই বিএনপি দুর্বল হয়ে যাবে- তাদের এই ধারণা ঠিক নয়। খালেদা জিয়া ও বিএনপির জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে।

মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন কথার ওপর ভিত্তি করে খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে সরজমিনে সাধারণ জনগণের মতামত জানতে চাইলে তারা বলেন, একজন বিবেকবান মানুষের পক্ষে এতিমের টাকা মেরে খাওয়া সম্ভব নয়। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়ে এটাই প্রমাণ করেছেন যে, তিনি বিবেক বিবর্জিত মানুষ। অপরাধী যেই হোক, আদালতের প্রতি পূর্ণাঙ্গ আস্থা রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার শাস্তি পেতেই হবে।

জনগণের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে বিএনপির এক নেতার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, প্রকৃত অর্থে আমরা যদিও মনে করেছিলাম, ম্যাডামকে কারাগারে প্রেরণের মাধ্যমে জনসমর্থন বৃদ্ধি পাবে, তবে আমাদের এমন সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো। আমাদের প্ল্যানিং আবারও ফ্লপ।

উল্লেখ্য,  জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৫বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন মামলার বিচারক ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান।

মামলার অন্যান্য ৫ আসামীকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। 

সাজা প্রাপ্ত অন্য আসামীরা হলেন- সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান। মামলায় শুরু থেকে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।

রায়ে সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেকের ২কোটি ১০লক্ষ ৭১ হাজার টাকা সমপরিমান জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।

 

গো নিউজ২৪/আই

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর
রিজার্ভ বাড়াতে এবার ডলার ধার করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভ বাড়াতে এবার ডলার ধার করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সংরক্ষিত নারী আসনে আ.লীগের টিকিট চান তারকা, মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, হিজড়া

সংরক্ষিত নারী আসনে আ.লীগের টিকিট চান তারকা, মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, হিজড়া

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে নিয়ে যা যা করলো ছাত্রলীগ নেতারা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে নিয়ে যা যা করলো ছাত্রলীগ নেতারা

খালেদা জিয়া ও বিএনপির জন্য দারুণ সুখবর

খালেদা জিয়া ও বিএনপির জন্য দারুণ সুখবর

ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পর এক টাকাও আমার হাতে আসে নাই : সুমন

এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পর এক টাকাও আমার হাতে আসে নাই : সুমন