ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কারা পাচ্ছেন মাদারীপুরের ৩টি আসনের টিকেট


গো নিউজ২৪ | মো.জাকির হোসেন, মাদারীপুর প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০১৮, ০৯:৩৬ পিএম
কারা পাচ্ছেন মাদারীপুরের ৩টি আসনের টিকেট

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের প্রচার প্রচারণা ও গণসংযোগে সরগরম হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সামাজিক ও পারিবারিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে জনসাধারণের মন জয় করার চেষ্টা করছেন আগ্রহীরা। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা হতে আগ্রহীরা নিজ নিজ দলের মনোনয়ন পেতে হাইকমান্ডের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এরই মাঝে মাদারীপুরে তিনটি নির্বাচনী এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন।

আওয়ামীলীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মাদারীপুরের তিনটি সংসদীয় আসনে ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান তিন সংসদ সদস্যই প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ প্রার্থীই প্রবীন অপর দিকে বিএনপির আগ্রহী প্রার্থীরা বেশির ভাগই নতুন মুখ হওয়ায় কারা জোট বা দলীয় মনোনয়ন পাবেন তা নিয়ে জটিলতা আওয়ামী লীগের চেয়ে বিএনপিতে বেশি। মাদারীপুরে নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সাথে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গ্রুপিং চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।

সম্প্রতি দুই গ্রুপ নানা রকম তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ঘটেছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা। অপর দিকে বিএনপির জেলা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই ভাগে বিভক্ত জেলা বিএনপি ও অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এক গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলি জাহান অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দেয় জেলা যুবদলের সভাপতি মিজানুর রহমান মুরাদ। এই গ্রুপিং এর প্রভাবে দুই গ্রুপ থেকেই তাদের ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থী রয়েছে পছন্দের তালিকায়। মাদারীপুরে বাম সংগঠনগুলো তেমন প্রভাব না থাকলেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোটামুটি প্রভাব রয়েছে। তারা মাদারীপুরের তিনটি আসনেই প্রার্থী দিবেন বলে জানিয়েছে দায়িত্বশীল একটি সূত্র। এর আগে উপজেলা এবং পৌর নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এবং অন্যান্য বাম দলগুলোর চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা।  মাদারীপুর ১৪ দলীয় এবং ২০ দলীয় জোটের মধ্যে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি ছাড়া অন্য দলের দু’একজন নেতা থাকলেও কর্মী নেই। তবে জামায়াত চুপে চুপে নিজেদের শক্তি সঞ্চার করছে।  

উপজেলা নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী জয় লাভ করতে না পারলেও ভোটের মাঠে চমক দেখিয়েছে। বর্তমান নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান, আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির সাধারণ সম্পাদক, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি সাবেক হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী এমপি, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাছিম ও দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবাহান গোলাপের নিজ জেলা মাদারীপুর। অপর দিকে বিএনপিতেও হেভিওয়েট প্রার্থীর নিজ জেলা মাদারীপুরে।  

 

মাদারীপুর-১ (শিবচর):

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বারখ্যাত দেশের অন্যতম প্রধান নৌবন্দরের অবস্থানসহ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিবচর পৌরসভাসহ ১৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মাদারীপুর-১ শিবচর আসন। পৌরসভা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের পরিসংখ্যানে এটি আওয়ামীলীগ অধ্যুষিত এলাকা। এ আসনটিতে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১৭ হাজার ৮২৫ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টারি পার্টির সাধারণ সম্পাদক, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবং জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর মনোনয়ন শতভাগ নিশ্চিত। তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর (দাদা ভাইর) বড় ছেলে। তিনি এ পর্যন্ত ৫বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। যে কারণে এ আসনে আওয়ামী লীগের আর কোনো প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য একক প্রার্থী নুর-ই-আলম চৌধুরী এমপি। তিনি মাদারীপুর-১ আসনের শিবচর উপজেলায় ১টি পৌরসভাসহ প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটার ও নেতাকর্মীদের সাথে রয়েছে গভীর সম্পর্ক। শিবচরের উন্নয়নে তিনি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য একাধিক সেতু, রাস্তাঘাট, মসজিদ, মাদ্রাসা চিকিৎসাকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ শিবচরকে একটি আধুনিক উপজেলায় রূপান্তরিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আর এ কারণেই শিবচরের গণমানুষের প্রিয় একজন মানুষ হিসেবে তিনিই শীর্ষে রয়েছেন।

তবে বিএনপিতে গ্রুপিংয়ের কারনে রয়েছে একাধিক প্রার্থী। নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাবেক সম্পাদক সাংবাদিক মরহুম মোতাহার হোসেন সিদ্দিকীর ছেলে জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ, ঢাকা গোপীবাগের সাবেক কমিশনার ও জেলা বিএনপির সদস্য মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে মাদারীপুর-১ (শিবচর) নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ এবং স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের খোজখবর রাখেন। দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সাহায্য-সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি প্রচার-প্রচারণায় অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। শিবচর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা তার মতো নিবেদিত প্রাণকে পাশে পেয়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন।

মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে কতটুকু আশাবাদী প্রশ্নে সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি যদি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসে তাহলে আমি যে দীর্ঘদিন ধরে মাঠ পর্যায়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নীরবে কাজ করে আসছি। বিগত দিনের সাংগঠনিক কর্মকান্ড যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দিলে এ আসন থেকে আমি-ই মনোনয়ন পাবো বলে শতভাগ আশাবাদী। সাধারণ ভোটাররা জানান, সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকী দলের জন্য আর্শীবাদ।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলোচনায় রয়েছেন শিবচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মাদারীপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক জামান কামাল নুরুউদ্দিন মোল্লা। তিনি ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ গ্রহন করেছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য হাইকমান্ডের নির্দেশ মোতাবেক প্রতিনিয়ত শিবচর উপজেলা ১৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় নীরবে ব্যাপক গণসংযোগ করে আসছেন তিনি। নেতাকর্মী তথা এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক পরিচিতি ও সুনাম অর্জন করেছেন।

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বর্তমান সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান মিয়া। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে দলের দু:সময়ে দলের পাশে থেকে অন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। এজন্যই তিনি এলাকায় এলাকায় গণসংযোগ করেন ও প্রিয় নেতা কর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে কোন কিছুই করবেন না তিনি।

এ ছাড়াও নির্বাচনের প্রচারণা চালাচ্ছেন শিবচর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান। তারও রয়েছে শিবচরের প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। তার সাথে জেলা বিএনপির প্রায় সকল নেতাদের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। তিনি শিবচরের প্রতিটি মাঠ ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির সকল কর্মসূচি স্থানীয় বিএনপি নেতার সঙ্গে নিয়ে সফল ভাবে পালন করে থাকেন।

শিবচর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার সহধর্মীনী নাদিরা মিঠু চৌধুরী। তিনি শিবচর উপজেলা বিএনপির কার্যকরী সদস্য। মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন। তিনি প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং নদীভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত মানুষদের মাঝে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ত্রান বিতরণ করেছেন। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। শিবচরবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন এই নেত্রী। তবে দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে কোন কিছুই করবেন না তিনি।

 

মাদারীপুর-২ (সদরের একাংশ এবং রাজৈর):

মাদারীপুর পৌরসভাসহ সদর উপজেলার ১০টি ও রাজৈর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে মাদারীপুর-২ আসন। এ আসনে ভোটার ৩ লাখ ৩ হাজার ২৬১ জন। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি বর্তমান এমপি ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তিনি এ আসন থেকে ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মাদারীপুর-২ আসনের সদর উপজেলা ও রাজৈর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটার ও নেতাকর্মীদের সাথে রয়েছে তার গভীর সম্পর্ক। এলাকায় স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা ও রাস্তা ঘাটসহ মাদারীপুর শহরকে উন্নয়ন করে একটি আধুনিক মডেল টাউন হিসাবে গড়ে তুলেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান প্রতি মাসে চার থেকে পাঁচ দিন মাদারীপুরে থেকে দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বিভিন্ন কর্মসুচিতে অংশ গ্রহন করেন।


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল বিএনপির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সম্পাদিকা। সাবেক ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভিপি ও জাতীয়তাবাদী দলের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন হেলেন জেরিন খান। তিনি মাদারীপুর-২ আসনে সংসদ নির্বচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মাদারীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহান্দার আলি জাহান মাদারীপুর-২ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন। তিনি ছাত্র রাজনীতি থেকে দলের দু:সময়ে দলের পাশে থেকে অন্দোলন সংগ্রাম করে আসছেন। তিনি বিএনপির রাজনীতি করে হামলা মামলার স্বীকার হয়েছেন এবং তিনি কয়েকবার জেলও খেটেছেন। প্রবীন এই রাজনীতিবিদ কেন্দ্রীয় যে কোনো কর্মসুচী নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে পালন করে আসছেন। তিনি মাদারীপুর জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, সরকারী নাজিমুদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক জিএস ছিলেন। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। তিনি মাদারীপুর সদর ও রাজৈরবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন এই নেতা।

এই আসনে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মিল্টন বৈদ্যও আলোচনায় রয়েছেন। এজন্যই তিনি এলাকায় এলাকায় গন সংযোগ করেন ও প্রিয় নেতা কর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তবে দলের সিন্ধান্তের বাহিরে কোন কিছুই  করবেন না তিনি।

এদিকে বিএনপির নেতা আব্দুস সালেহ আহম্মেদ সালাম মুন্সী ও বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান (কাওছার) হাওলাদারের নাম শোনা যাচ্ছে। আলোচনায় থাকলেও প্রচার প্রচারনায় নেই তারা। কর্মী ও ভোটারদের সাথে নেই তাদের যোগাযোগ। এক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে বিএনপির এই সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

 

মাদারীপুর-৩ (মাদারীপুর সদরের একাংশ এবং কালকিনি):

মাদারীপুর সদরের পাঁচটি ইউনিয়ন, কালকিনি পৌরসভাসহ উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন নিয়ে মাদারীপুর-৩ আসন। এ আসনে ভোটার ২ লাখ ৮৩ হাজার ২২৩ জন। এই আসনে আলোচনায় আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী রয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, এছাড়া চার বারের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবাহান গোলাপের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে এই নির্বাচনী আসনে আফম বাহাউদ্দিন নাসিম গ্রুপের সাথে রয়েছে সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন গ্রুপের দ্বন্দ¦। এখন আওয়ামী লীগের ভোটারগণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষমান প্রধানমন্ত্রী কাকে দিচ্ছেন এ আসনে নৌকার টিকেট। পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ভোটার ফরিদ হোসেন বলেন, কে পাচ্ছেন মনোনয়ন তা ভোটারগণ অনিশ্চিত শক্তিশালী দুটি গ্রুপই দাবী করে, ফেজবুক ও গণমাধ্যমে প্রচারে মরিয়া যে মনোনয়ন তাদের নিশ্চিত। দুই পক্ষই তাদের নিজ নিজ নেতা কর্মীরা বছর ধরে স্বপ্নে বিভোর করে জানিয়ে আসছে মনোনয়ন জননেত্রীর ঘোষনার অপেক্ষায় মাত্র। এখোন শুধুই কালকিনি বাসীর অপেক্ষার পালা কে আসছেন নৌকার টিকেট নিয়ে।

অপর দিকে মাদারীপুর-৩ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান পলাশ। তিনি এলাকায় এলাকায় গন সংযোগ ও দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে দলীয় বিভিন্ন কর্মসুচীতে অংশগ্রহন করেন। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। কালকিনিবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন এই নেতা। তবে দলের সিন্ধান্তের বাহিরে কোন কিছুই  করবেন না তিনি।

এছাড়া কেন্দ্রীয় বিএনপির গণ-শিক্ষা বিষয়ক সহ-সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার এ আসনে তৃণমূল পর্যায়ে জন সমর্থন পাওয়ার জন্য  মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তিনি কেন্দ্রীয় বিভিন্ন কর্মসুচীতে এলাকায় এসে নেতা-কর্মীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলছেন। তার সাথে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের রয়েছে গভীর সম্পর্ক।

কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খোন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক আসন্ন জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। এজন্যই তিনি এলাকায় এলাকায় গন সংযোগ করেন ও প্রিয় নেতা কর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেন, ১৯৮২ সাল থেকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাথে আছেন এবং তিনি রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক ভিপি ছিলেন।

 

গো নিউজ২৪/আই

 

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর
রিজার্ভ বাড়াতে এবার ডলার ধার করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভ বাড়াতে এবার ডলার ধার করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সংরক্ষিত নারী আসনে আ.লীগের টিকিট চান তারকা, মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, হিজড়া

সংরক্ষিত নারী আসনে আ.লীগের টিকিট চান তারকা, মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, হিজড়া

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে নিয়ে যা যা করলো ছাত্রলীগ নেতারা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে নিয়ে যা যা করলো ছাত্রলীগ নেতারা

খালেদা জিয়া ও বিএনপির জন্য দারুণ সুখবর

খালেদা জিয়া ও বিএনপির জন্য দারুণ সুখবর

ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পর এক টাকাও আমার হাতে আসে নাই : সুমন

এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পর এক টাকাও আমার হাতে আসে নাই : সুমন