ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এত আলো জ্বালাবার পর হঠাৎ সুইচটা অফ করলেন কেন?


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০১৮, ০৭:১৮ পিএম আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০১৮, ০৬:৪০ এএম
এত আলো জ্বালাবার পর হঠাৎ সুইচটা অফ করলেন কেন?

ঢাকা : রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রয়োজন বিদ্যুতের জন্য। দেশের জন্য। উন্নয়নের জন্য। দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জন্য। জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে কথাগুলো বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

ফখরুল ইমাম তার সম্পূরক প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, সেন্টার ফর লিডারশিপ, ২০১৭ তারা মানবতার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম প্রকাশ করেছে। এখানে দ্বিতীয় হয়েছে ফ্রান্সিস পোপ আর তৃতীয় ধনকুবের বিল গেটস। তিনি দাবি করেন- সেন্টার ফর লিডারশিপ উল্লেখ করে সেবার জন্য শুধু টাকা নয়, প্রয়োজন সাহস ও মমত্ববোধ। যা শেখ হাসিনার মধ্যে রয়েছে। প্রশ্নকর্তা শেখ হাসিনাকে বিদেশের কে কখন কী উপাধি দিয়েছে তা সংসদে তুলে ধরেন। এরপর তিনি বলেন, এতগুলো সম্মানসূচক কথা বলার পরে আমার তো মাথা ঠিক থাকতো না। এরপরও কি রামপাল বিদ্যুতের প্রয়োজন আছে?

উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি উনার কথা দিয়ে এত আলো জ্বালাবার পর হঠাৎ সুইচটা অফ করে দিলেন কেন? (এ সময় হাস্য কলবর আর টেবিল চাপড়িয়ে সংসদের ফ্লোর মাতিয়ে তুলেন এমপিরা)।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের জিজ্ঞাসা করে দেখেন বিদ্যুতে প্রয়োজন আছে কি-না। আমি এটুকুই বলতে চাই কী পাইনি তার হিসাব মিলাতে মন মোর নাহি রাজি। কী পেলাম, পেলাম না সেই হিসাব করি না। আমি কাজ করি দেশের মানুষের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য। আমার দায়বদ্ধতা হচ্ছে ক্ষুধার্ত দারিদ্র্য মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। 

তিনি বলেন, আমাকে নিয়ে বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন হাজার বিশেষণ দিলেও আমার মাথা কখনও খারাপ হবে না। আমি বেতালা হবো না এটা আমি বলে দিতে পারি। ওগুলো আমার ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। আমার চিন্তা একটাই দেশের মানুষ ভালো থাকুক।

তিনি আরও বলেন, দেশে এমনই এক শ্রেণি আছে যারাভাবে আমি থাকলেই তাদের যত সমস্যা। আমাকে অনেকবার হত্যার পরিকল্পনা করা হলেও তবুও আমি মরি না। আল্লাহ কীভাবে জানি আমাকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসেন। মরতে তো একদিন হবেই। সেটা নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই। ‘জন্মিলে মরিতে হবে/ অমর কে কোথা কবে/ চিরস্থায়ী কবে নীড়/ হায়রে জীবন নদী/।’ তাই কে কত বিশেষণ দিলো সেটা নিয়েও আমার কোনো চিন্তা নাই। আমি তো মনে করি একমুখে যখন বিশেষণও দিবে, আবার যদি একটু উনিশ থেকে বিশ হয় ওই মুখে গালিও দিবে। যে হাতে মালা দিবে সেই হাতে ঢিলও মারবে। কাজেই হাজার বিশেষণ দিলেও আমার মাথা কখনও খারাপ হবে না। আমি বেতালা হব না এটা আমি বলে দিতে পারি। ওগুলো আমার ওপর কোনো প্রভাব ফেলে না। আমার চিন্তা একটায় দেশের মানুষ ভালো থাকুক।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে আরেকটি শ্রেণির মানুষ আছে। সমস্যাটা তাদের নিয়ে। গণতন্ত্রের ধারা চললে তাদের কিছুই ভালো লাগে না। যখন উন্নয়নের পথে দেশ এগিয়ে যায়, তারা উন্নয়নটা চোখে দেখে না। এরা চক্ষু থাকতে অন্ধ, কান থাকতে বধির। তাদের মাথায় একটা চিন্তায় থাকে- দেশে যদি অস্বাভাবিক সরকার থাকে, অসাংবিধানিক সরকার যদি আসে তারা মনে করে তাদের একটু গুরুত্ব বাড়ে। কারণ তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার ইচ্ছা আছে। পতাকা পাওয়ার ইচ্ছা আছে। তাদের গবেষণায় বাংলাদেশের কোনো উন্নয়নই চোখে পড়ে না। এ শ্রেণিটা সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক। মানুষের অকল্যাণ করার জন্যই তারা সবচেয়ে ব্যস্ত।

গো নিউজ২৪/আই

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর
রিজার্ভ বাড়াতে এবার ডলার ধার করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভ বাড়াতে এবার ডলার ধার করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সংরক্ষিত নারী আসনে আ.লীগের টিকিট চান তারকা, মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, হিজড়া

সংরক্ষিত নারী আসনে আ.লীগের টিকিট চান তারকা, মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, হিজড়া

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে নিয়ে যা যা করলো ছাত্রলীগ নেতারা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে নিয়ে যা যা করলো ছাত্রলীগ নেতারা

খালেদা জিয়া ও বিএনপির জন্য দারুণ সুখবর

খালেদা জিয়া ও বিএনপির জন্য দারুণ সুখবর

ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পর এক টাকাও আমার হাতে আসে নাই : সুমন

এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পর এক টাকাও আমার হাতে আসে নাই : সুমন