ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৪ চৈত্র ১৪৩০

নির্বাচন বন্ধ হলে দায়ভার কার?


গো নিউজ২৪ | ইমতিয়াজ আমিন প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০১৮, ০৯:১৩ পিএম
নির্বাচন বন্ধ হলে দায়ভার কার?

আর মাত্র কয়েকদিন পর মানুষের আলোচনার একেবারে কেন্দ্র চলে আসবে ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচন। পূর্ণ মেয়াদের না হলেও এই নির্বাচন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে অন্য কারণে। কেননা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ডিএনসিসি নির্বাচনের চেয়ে বড় আর কোনো নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই এই উপ-নির্বাচন একদিকে যেমন নির্বাচন কমিশনের জন্য পরীক্ষা সরূপ অন্যদিকে সরকারের জন্যও তাদের গণতান্ত্রিক মানসিকতার প্রকাশ ঘটানোর সুযোগ বটে। এই মুহুর্তে কোনো কারণে যদি এই নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায় সেটা সরকারের জন্য মোটেও শুভ হবে না।

ইতোমধ্যে নির্বাচনকে বন্ধ করার সড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একটি মহল পায়তারা শুরু করেছে বলে মনে হচ্ছে। হতে পারে মহলটি আওয়ামীলীগেরই ক্ষুদ্র অংশ। মোট কথা নির্বাচন বন্ধ হলে বা সিটি ক্ষমতার মসনদ পরিবর্তন না হলে যারা সরাসরি লাভবান হবেন তারাই নির্বাচন বন্ধের পায়তারা করছে বলে দৃশ্যমান হচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে সিটি করপোরেশন এলাকায় নতুন সংযোজিত ওয়ার্ড গুলোকে। সাধারণ ভোটারের নামে স্বার্থানেষী মহলেরই ইশারায় আদালতে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে। এঅবস্থায় নির্বাচন যদি আইনী মারপ্যাচে বন্ধ হয়ে যায় তাহলে স্বার্থানেষী মহলটি লাভবান হলেও সার্বিকভাবে আওয়ামী লীগের ক্ষতির দিকটি তারা নজরে নিচ্ছে না। কেননা এই মুহুর্তে ডিএনসিসি’তে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় শতভাগ।

নির্বাচন বন্ধ হলে এর দ্বায় বর্তমান সরকারের উপর পরবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। বিএনপিসহ বিরোধী শক্তিগুলো সাধারণ মানুষকে বোঝাতে সক্ষম হবে যে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনে বিশ্বাসী নয়। সিটি করপোরেশন নির্বাচন করতে সরকার ব্যার্থ হয়েছে তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে আগ্রহী এই বিশ্বাস থেকে জনগণ সরে যেতে পারে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতা নিয়েও মানুষের মনে সন্দেহ দেখা দেবে। এঅবস্থায় বর্তমান নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা হীনতা বাড়বে বৈ কমবে না।       

ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন বিশ্লেষক ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে হওয়ায় মানুষ নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতার ওপরও নজর রাখবে, তারা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারছেন কিনা। অপরদিকে সরকারের প্রতিও নজর থাকবে তারা বাড়তি কোনো প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে কিনা।

তাহলে এখন যদি নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সরকার আইনি মারপ্যাচে ফেলে জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটির ক্ষমতা হাত ছাড়া করতে চাইছে না বলে মনে করবে সাধারণ মানুষ। এর বিপরিতে পরোক্ষভাবে ঢাকা সিটি এলাকায় বিএনপির শক্তি বৃদ্ধি পাবে।

ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক মো. আব্দুল আলিম-মনে করেন, নির্বাচন কমিশনের একার প্রচেষ্টায় কোনো নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। এখানে রাজনৈতিক দলের, প্রার্থীর ভূমিকা থাকতে হয় এবং সরকারের একটা বড় ভূমিকা থাকতে হয়। তার মতে, কমিশন এখানে উদ্যোগ নেবে এবং বাকি যারা আছে তারা এতে সহায়তা করবে।

তাহলে এই সামান্য কারণে যদি নির্বাচন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয় তবে ‘নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত শক্তিশালী” সরকার প্রধানের এমন বক্তব্যের মূল্যইবা কতটুকু বহাল থাকবে?

এবিষয়ে ঢাকা -১১ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (উত্তর) এর সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমার কোনো দায়িত্ব নেই। আমি কিছু বলতে পারবো না। নির্বাচন না হলে দলের ক্ষতি হবে কি না জানতে চাইলে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

 

 গো নিউজ২৪/আই

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর
রিজার্ভ বাড়াতে এবার ডলার ধার করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

রিজার্ভ বাড়াতে এবার ডলার ধার করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সংরক্ষিত নারী আসনে আ.লীগের টিকিট চান তারকা, মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, হিজড়া

সংরক্ষিত নারী আসনে আ.লীগের টিকিট চান তারকা, মন্ত্রী-এমপিদের স্ত্রী, হিজড়া

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে নিয়ে যা যা করলো ছাত্রলীগ নেতারা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে নিয়ে যা যা করলো ছাত্রলীগ নেতারা

খালেদা জিয়া ও বিএনপির জন্য দারুণ সুখবর

খালেদা জিয়া ও বিএনপির জন্য দারুণ সুখবর

ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

ইসলামী আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পর এক টাকাও আমার হাতে আসে নাই : সুমন

এমপি হিসেবে শপথ নেয়ার পর এক টাকাও আমার হাতে আসে নাই : সুমন