ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রী যে কাজে হাত দিয়েছেন সোনা ফলিয়েছেন 


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০১৯, ১০:২৫ পিএম আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০১৯, ১০:২৮ পিএম
প্রধানমন্ত্রী যে কাজে হাত দিয়েছেন সোনা ফলিয়েছেন 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি এদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে যে কাজে হাত দিয়েছেন সোনা ফলিয়েছেন। আপনার নির্দেশে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে একটি বিপ্লবিক পরিবর্তন আসতে পারে বলে দেশের নাগরিক মনে করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্বজন হারানোর বেদনা আপনি-ই বেশি অনুধাবন করতে পারেন। স্বজন হারানোর বেদনা কতো কঠিন, কত নির্মম, আপনার থেকে ভালো কেউ বুঝার কথা না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশে সংবাদ মাধ্যমে প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির খবর প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ সহ জাতিসংঘের সদস্য যে দেশগুলো অঙ্গীকার করেছে যে, ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা অর্ধেকে নামিয়ে আনতে কাজ করবে বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম। সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলতে পারে সেই অঙ্গীকার পূরণে যথাযত কর্তৃপক্ষ এযাবৎ কী পদক্ষেপ নিয়েছেন? 

দেশের নাগরিকরা মনে করেন জনগুরুতর এই জাতীয় সমস্যাটি যথাযত কর্তৃপক্ষের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কথা নয় কি? সড়ক দুর্ঘটনা রোধে, রাস্তাঘাটে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আপনার সরকার অদ্য দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি এদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিতে যে কাজে হাত দিয়েছেন সোনা ফলিয়েছেন। আপনার নির্দেশে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ যোগাযোগ ব্যাবস্থার আধুনিকায়নে একটি বিপ্লবিক পরিবর্তন আসতে পারে বলে দেশের নাগরিক মনে করেনI
      
বাংলাদেশে কি কারণে এত বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে, কি পদক্ষেপ হাতে নিলে সড়ক দুর্ঘটনার হার কমিয়ে আনা সম্ভব, এসব বহুল আলোচিত বিষয়। এ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে ,অনেক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়েছেন। বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) এক গবেষণা অনুযায়ী দেশে ৫৩ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য। চালকদের বেপরোয়া মনোভাবের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে ৩৭ শতাংশ। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, ভুয়া লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালক ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো বন্ধ করতে পারলেই বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা অনেককাংশে কমতে পারে। জনজীবনে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা এ ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ উদ্যোগ হাতে নিলেও দৃশ্যমান বাস্তবায়ন চোখে পড়েনি। এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালকদের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি বা কর্তপক্ষ কোনো উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারিনি। দেশে এখনো ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, জরুরি ব্যবস্থাপনায় পরিকল্পনাহীনতা দুর্ঘটনা পেছনে দায়ী।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসের লক্ষ্যে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালকদের শাস্তি নিশ্চিত করা প্রথম কাজ। ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স, হেলপারদের গাড়ি চালানো, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন চলাচল এসব বন্ধ করতে হবে। শুধু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ড্রাইবারদের যেন লাইসেন্স দেওয়া হয় সে ব্যাপারটি নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে বিআরটিএর অসাধু কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। যথাযত কর্তৃপক্ষকে এটা উপলব্ধি করতে হবে যে, এটা একটা গুরুতর জাতীয় সমস্যা। সরকারের পাশাপাশি পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সচেষ্ট হতে হবে, যাত্রী সাধারণের সচেতনতাও বাড়াতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জনমনে একই প্রশ্নঃ উঁকি দিচ্ছে যে এই সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ কি পদক্ষেপ নিচ্ছে ?

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের যুগ্ম সচিব আব্দুল মালেক বলেছেন প্রাথমিকভাবে সড়ক পরিবহন আইনে পরিবর্তন আনার কাজ করছেন তারা। আব্দুল মালেক বলেন, "নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ৪র্থ বারের মত সংখ্যাগরিষ্ট আসন নিয়ে সরকার গঠন করেছে। আপনাকে এবং আপনার সরকারকে অভিনন্দন। আপনার নেতৃত্বে এই দেশে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রা প্রবাহমান, সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা আসার আলো দেখাচ্ছে সমৃদ্ধির বাংলাদেশের। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি রিজার্ভ এ যেন এক সুবাতাস -রেকর্ড ভেদ করেছে।
   
মানুষের সহজাত স্বভাব আলোচনা, সমালোচনা, আদেশ, উপদেশ, পরামর্শ বাণী বিবৃতি প্রদান যা বাংলাদেশে জুড়ি মেলা। আমাদের দেশে একটি বিরাট অংশ আদেশ উপদেশ পরামর্শ বাণী বিবৃতি দিয়েই দেশপ্রেমে সম্পৃক্ত। কার্যত, দেশপ্রেম কথায় নয় কাজে প্রমান করতে হয়। গত ১০ বছরে আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ২৬ দশমিক ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে রেকর্ড পরিমাণ ৭২ দশমিক ৭৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশে সাক্ষরতার হারের ওপর ইউনেস্কো ইনস্টিটিউট ফর স্ট্যাটিসটিক্স (ইউআইএস)-এর ২০১৬ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এছাড়াও আরো অনেক উল্লেখযোগ্য সাফল্য, আপনাকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী। 

সড়ক দুর্ঘটনায় রোধে সচেতনতা বোধশক্তি সহায়ক।
একটা বিষয়ে আমরা কিছুটা পিছনে পড়ে আছি আমরা সচতেন হতে পারিনি! শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেলেও অনেককাংশে আমরা সু-শিক্ষিত হতে পারিনি!  আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য আমাদের অসচেতনতা, অজ্ঞতা, বদঅভ্যাসই অনেকটা দায়ী। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের নিজের কল্যাণ মঙ্গল নিহিত বিষয়ে আমরা আমাদের বদ অভ্যাসের কাছে প্রায়ই আপোষ করছি। যেমন ধরেন,  ড্রাইভিং সময়ে মোবাইল ফোনে কথা বলা নিষেধ। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমরা প্রায় সময় ফোনে কথা বলি! আমাদের সচেতন হতে হবে হবে, বদ অভ্যাস গুলো পরিহার করতে হবে। বাংলাদেশে নিরাপদ সড়ক চাই একটি টিভি বিজ্ঞাপন চোখে পড়েছে - বাস ড্রাইভার বাস চালাচ্ছেন, ফোন আসছে রিসিভ করেন মনের সুখে কথা বলেছেন ড্রাইবার দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলতেছেন হ-- চোঁখের আড়াল হইলে মনের আড়াল হয়, অতঃপর হার্ড ব্রেইক! বাসের সকল যাত্রী একজন অন্য জনের উপরে সব কিছু উলোট পালট হয়ে গেল নিমিষেই।

সময় পাল্টেছে , আধুনিকতার পরশ ভেদ করেছে পল্লী পাড়ায়, গ্লোবাল ভিলেজ, তথ্য প্রযুক্তি,  সার্চ ইঞ্জিন গুগল বিশ্বকে নিয়ে এসেছে হাতের মুঠোয়। আমাদের ছেলে মেয়েদের ট্রাফিক আইন নিয়মাবলী রাস্তা চলাচল পারাপার সম্পর্কে শিক্ষিত করে তুলতে হবে। শুরু করতে হবে সেখান থেকে, সেই ছোট বয়স থেকেই। একটি উদাহরণ শেয়ার করতে চাই যা পূর্বেও আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি - তিন বছর বয়সে লন্ডনে আমার মেয়ে ইকরা ইসলামকে যখন নার্সারি স্কুলে নিয়ে গেলাম লক্ষ্য করলাম স্কুলের শিক্ষকরা আমার ছোট মেয়েটিকে তার রুটিন স্টাডির পাশাপাশি রোড ট্রাফিক, হাইওয়ে সিগন্যাল, গ্রিন লাইট, হলুদ লাইট, রেড লাইট, স্পিড সচেতনতা রাস্তা পারাপারে ট্রাফিক নিয়ম নীতি সম্পর্কে জ্ঞান দিচ্ছেন। আমি মনে মনে ভাবছিলাম বড় হয়ে আমার মেয়ে ট্রাফিক অফিসার হবে নাকি? ছোট বয়সে তাকে রোড ট্রাফিক নিয়ে এতো জ্ঞান দেয়া হচ্ছে কেন? দেরিতে হলেও আমার মধ্যে ঐ প্রশ্নের উপলব্ধি বোধ হয়েছে। ছোট বয়সে আমাদের যা শিখানো হয় তা আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনি ও শিখি, অভ্যাসে পরিণত করি যা আমাদের ব্যক্তি জীবনে, সামাজিক জীবনে পারিবারিক জীবনে কাজে লাগে। বাংলাদেশে স্কুল পর্যায়ে পাঠ্যসূচির মধ্যে এই বিষয়টি অন্তর্ভূক্তকরন কোনো রকেট সাইন্স বলে আমি মনে করি না। এক্সট্রা কোনো বাজেটেরও প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন শুধু বোধশক্তি দিয়ে বিষয়টি পাঠ্যবইয়ে সংযোজন করা। দেরিতে হলেও আমাদের বাচ্চাদের মধ্যে যদি একটু স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয় তাহলে পরিবারের অন্যদেরও তারা সাহায্য করতে পারে। দেশে পথচারীদের হাঁটাচলা রাস্তা পারাপার দেখলে মনে হয় তারা একটা ভাব নিয়েই রাস্তা পারাপার করছে -এক্সিডেন্ট হলে হবে তাতে কি? 

বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা একটা সহনীয় পর্যায় নিয়ে আসতে হলে প্রথমেই যে কাজটি শুরু করতে হবে তা হলো গাড়ির মালিক, ড্রাইভার, ড্রাইভিং লাইসেন্কে একটি ইউনিক ওয়েব ডাটা বেইসে নিয়ে আসতে হবে। যেখানে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ওয়েব সিস্টেমে এন্টার করলেই ড্রাইভার মালিক ও গাড়ির ঠিকানা বিবরণ চলে আসবে। ইন্সিডেন্ট কার ধারা সম্পাদিত হয়েছে নিশ্চিত হলেই দেশের প্রচলিত ট্রান্সফোর্ট আইনে একশন নিতে বাধা থাকবেনা। ড্রাইভার ও গাড়ির মালিক যে থানার জেলার বিভাগের বাসিন্দা হননা কেন তাদের দ্বারা সম্পাদিত অপরাধটি সেখানেই হস্তান্তর হবে যা ঐ এলাকার লোকাল পুলিশ অথবা ট্রান্সপোর্ট পুলিশ খতিয়ে দেখবে। জেলা পর্যায়েও এর সুরাহা সম্ভব। যতক্ষণ না পর্যন্ত বিষয়টি সুরাহ হচ্ছে গাড়ি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকবে পুলিশ স্টেশনে।

মহাসড়কে শৃংখলা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রতিটি জেলায় ট্রেনিংপ্রাপ্ত দক্ষ টিম রাখতে হবে। যার সার্বিক দায়িত্বে থাকবেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং ট্রান্সপোর্ট পালিশ ইনচার্জ। হাইওয়েতে নিয়োজিত টিম গুলো যোগাযোগ রাখবে জেলা ট্রান্সপোর্ট পুলিশ সুপারের সাথে। জেলা ট্রান্সপোর্ট পুলিশ সুপার তাদের দিক নির্দেশনা দিলেই কাজের গতি বাড়বে, মহাসড়ক সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে। ট্রান্সফোর্ট পুলিশ টিমের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের পুলিশ সুপার কর্তৃক বাছাই করে স্মার্ট ইন্টিলিজেন্ট সৎ এবং পজিটিভ মনের অধিকারী সদস্য হতে হবে। স্মার্ট ইন্টিলিজেন্ট ও সৎ অফিসার এ কাজে অন্তর্ভূক্ত করতে পারলেই যোগযোগ ব্যবস্থার উপর পথচারি যাত্রী ও সর্বসাধারনের আস্থা ফিরে আসবে। 

উল্লেখিত ব্যবস্থাপত্র বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে,পরিস্থিতি পটে এর সমন্বয় সংযোজন বিয়োজন করে কাজ শুরু করা গেলে সড়ক দুর্ঘটনা নিরাপত্তায় একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে বলে আমি মনে করি। আমি প্রায়ই ভাবি বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা কিভাবে একটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়। অফসোস করি দেশের প্ৰচলিত আইনের প্রতি যদি সবাই সম্মান রাখতেন। সবাই সচেতেন ও স্ব -শিক্ষিত হয়ে উঠতেনতাতেই দুর্ঘটনা অনেকটা নিয়ন্ত্রনে চলে আসত।

আলোচনার স্বার্থে দেশের একটি বিভাগকে কাল্পনিক ভাবে মাথায় রেখে একটি কাল্পনিক রূপরেখা তৈরী করছি যা সারা বাংলাদেশে একটি ইউনিক ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে একযোগে কাজ করতে হবে। উদাহরণ স্বরুপ ধরেন, ঢাকা বিভাগকে আমরা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে একটি সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে চাই।
এলাকা -
ঢাকা বিভাগ  

প্রধান টিম-
বি আর টি সি ঢাকা, জেলা প্রশাসক ঢাকা , জেলা পুলিশ সুপার ঢাকা , ট্রাফিক পুলিশ প্রধান ঢাকা

কি লাগবে ?
একটি ইউনিক ওয়েব পোর্টাল সিস্টেম  

 বিভাগের সকল গাড়ি ,মালিক ও ড্রাইভারদের বি টি আর সি কর্তক ইউনিক ওয়েব ডাটা বেইস্ড এর মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। 
 ঐ সিস্টেমে থাকবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের ধরণ, গাড়ির ধরণ ,গাড়ির মালিকের বিবরণী ,ড্রাইভার ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের ডাটা বেইস্ড।
 বি টি আর সি ডিপার্টমেন্ট দেখা শুনা করবে ড্রাইভার গাড়ির গাড়ির মালিকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়।
 লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা পাশ করার পর ড্রাইভারদের লাইসেন্স দিবে বি টি আর সি কর্তকপক্ষ। 
 সু-নির্দিষ্ট অভিযোগ বি টি আর সি কর্তৃক প্রমাণিত হলে তাদের কর্তৃপক্ষ লাইসেন্সকে বাতিল বা যথাযত আইনগত পদক্ষেপ নিবে।  
 ড্রাইভার গাড়ি গাড়ির মালিক ও বি আর টির মধ্যে এমন বিষয় যা সুরাহা হবেনা-- তা মীমাংসা হবে দেশের প্রচলিত ট্রান্সপোর্ট আইনে। 
 লাইসেন্স নবায়ন, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট সব কিছুর ইনচার্জ বি টি আর সি কর্তৃপক্ষ। 
 যা কিছু পরিবর্তন সংযোজন বিযোজন হবে তা হবে তাদের ঐ ইউনিক সিস্টেমের মধ্যে থেকেই।
বি টি আর সির উপর কারো কর্তৃত্ব চলবে না।

কিভাবে ড্রাইভার ও মালিকদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা যায়:

চালকরা-ই যেহেতু সড়ক দুর্ঘটনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দায়ী তাই তাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ট্রাফিক হাইওয়ে পুলিশকে পরীক্ষামূলক ভাবে স্পীড ডিটেক্টর সরবরাহ করা যেতে পারে। 
 স্পীড ডিটেক্টর সম্পর্কে আমাদের দেশে এখনও অনেকের ধারণা নেই। এটা দেখতে অনেকটা মুভি ক্যামেরার মতো। একজন পুলিশ সদস্য কোনো গাছের আড়ালে দাড়িয়ে গাড়ির গতি স্পীড ডিটেক্টর এর মাধ্যমে সনাক্ত করে। 
আগে থেকে নির্ধারিত দূরত্বে অবস্থানকারী টিমকে ওয়াকিটকির মাধ্যমে অবহিত করে সেই ভ্রম্যমান টিম গাড়ির গতি রোধ করে চালকের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দিলে সতর্ক থাকবে। তখন প্রত্যেক চালক মনে করবে অতিরিক্ত গতি বা বেপরোয়া চালানোর কারণে যে কোনো সময় মহাসড়কে তার বিরুদ্ধে জরিমানা মামলা দিতে পারে।
ড্রাইভাই বা চালকে জরিমানা মামলা দিতে হবে জরিমানা চালককেই বহন করতে হবে।
জরিমানা দেওয়ার ফলে ঐ চালক পরবর্তীতে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালাবে না। 
এই টিমের সঙ্গে একজন ম্যাজিষ্ট্রেটও থাকতে পারে 
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রতি জেলায় একটি টিম হলেই চলে।

সবাইকে এক সাথে আইনের আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব নয়। যাদের আইনের আওতায় নিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব সঠিক বিচারের মাধ্যমে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারলেই তা হবে সবার জন্য শিক্ষনীয় ও অনুকরণীয়। আমার এ পরিকল্পনা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেকটা রূপকথার গল্পের মত। একটি বিভাগকে দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু সম্ভব নয়। আমার প্রস্তাবিত কাল্পনিক পরিকল্পনা একটি ইউনিক ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে কাজ করতে হবে দেশ জুড়ে একই যোগে। আলোচনার সুবিধার্থে শুধু একটি বিভাগে কিভাবে আমরা এ কাজটি শুরু করতে পারি তার একটি কাল্পনিক রূপরেখা। 

আপনারা হয়ত ভাবছেন বিদেশি আইন-কানুন বাংলাদেশে ইমপ্লিমেন্ট কি সম্ভব। নিয়ন নীতি শৃংখলা আইনের মধ্যে দেশি বিদেশি কিছুই নেই। যা প্রয়োগ করলে। যে প্রক্রিয়া শুরু করলে সড়ক দুর্ঘটনা নামক এই ভয়ংকর মহামারি থেকে আপনি আমি আপনার প্রতিবেশী রক্ষা পাবে সেটাই আমরা চাই, সেটা করা উচিৎ। আমার বিশ্বাস সারাদেশে মহাসড়কে একযোগে সকাল থেকে সন্ধ্যা স্থান পরিবর্তন করে স্পীড ডিটেক্টর দ্বারা গাড়ির গতি সনাক্ত করে নগদ জরিমানা আদায় চলতে থাকে। জরিমানা অনাদায়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স সিজ, গাড়ির মালিক ড্রাইভারদের লোকাল পুলিশ স্টেশনে শোকজ হলেই  কয়েক মাসের মধ্যেই মহাসড়কে গাড়ি চালানাের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।

নজরুল ইসলাম,
ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট 
ওয়ার্কিং ফর ন্যাশনাল হেল্থ সার্ভিস, লন্ডন
 মেম্বার, দি ন্যাশনাল অটিষ্টিক সোসাইটি ইউনাটেড কিংডম
 আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ঢাকা বাংলাদেশ।

গোনিউজ২৪/এআরএম

মতামত বিভাগের আরো খবর
নারীরা,মনের দাসত্ব থেকে আপনারা কবে বের হবেন?

নারীরা,মনের দাসত্ব থেকে আপনারা কবে বের হবেন?

আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা

আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা

সুচন্দার কষ্টে আমরাও সমব্যথী

সুচন্দার কষ্টে আমরাও সমব্যথী

প্রিন্টমিডিয়ার অন্তর-বাহির সংকট

প্রিন্টমিডিয়ার অন্তর-বাহির সংকট

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো দরকার যেসব কারণে

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো দরকার যেসব কারণে

সিলেটের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

সিলেটের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ