ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা কি জায়েজ?


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০১৮, ১০:১২ এএম
ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা কি জায়েজ?

ইসলাম ডেস্ক: আগামীকাল (১২ই রবিউল আউয়াল) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)।  নবীজির জন্মদিবস উপলক্ষে আমাদের দেশসহ উপমহাদেশের বহু সংখ্যক মানুষ ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করে থাকেন। এ কাজ ধর্মের নামে চালালেও ধর্মে এমন কোন কাজ স্বীকৃত নয়। কেননা তা ধর্মের মাঝে নব আবিষ্কৃত বিষয়। ইসলামী পরিভাষায় একে বিদআত বলা হয় – যা অবশ্য পরিত্যায্য।

এ ঈদ পালনকারীদের অনেক ভ্রান্ত দাবীর মাঝে একটি দাবী হল যে, এটা নবীজীর (স.) প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন। আসলে কি তাই?

নবীজীকে শ্রদ্ধা করার উপায় হচ্ছে তাঁর আনুগত্য করা, তিনি যেমনটি আদেশ করেছেন, তেমনটি করা আর তিনি যা নিষেধ করেছেন তা পরিত্যাগ করা; বিদাত, কল্পকাহিনী এবং পাপাচারের মাধ্যমে তাঁকে সম্মান করতে বলা হয়নি। মিলাদুন্নবী উদযাপন এরকমই এক দূষণীয় কাজ, কারণ এটা একধরনের পাপাচার। নবীজীকে(স.) যারা সবচেয়ে বেশী শ্রদ্ধা করেছিলেন, তারা ছিলেন সাহাবীগণ। যেমনটি উরওয়াহ ইবনে মাসউদ কুরাঈশদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন:

‘হে লোকসকল! আল্লাহর কসম আমি রাজরাজড়াদের দেখেছি। আমি সিজার, কায়সার এবং নেগাসের দরবারে গিয়েছি, কিন্তু আল্লাহর শপথ, আমি এমন কোন রাজা দেখিনি যার সাথীরা তাকে এতটা সম্মান করে, যতটা গভীরভাবে মুহাম্মাদকে(সঃ) তাঁর সাথীরা শ্রদ্ধা করে। আল্লাহর শপথ তাঁর কোন থুথুও মাটিতে পড়ত না, বরং তাঁর সাথীরা হাত দিয়ে ধরে নিতেন এবং তা তাদের চেহারা ও ত্বকে বুলিয়ে নিতেন। যদি তিনি তাদেরকে কোন আদেশ দেন, তবে তারা সেটা পালন করার জন্য দ্রুতগামী হয়। তাঁর ওযুর সময় তারা ওযুর পানি গ্রহণ করার জন্য প্রায় লড়াই করতে উদ্যত হয়। তিনি কথা বললে তাঁর উপস্থিতিতে তারা তাদের কন্ঠস্বরকে নীচু করে ফেলে। এবং তারা গভীর শ্রদ্ধাবোধের কারণে তাঁর দিকে সরাসরি তাকিয়েও থাকে না।’ (বুখারী)

তাঁর প্রতি এত শ্রদ্ধা থাকা সত্ত্বেও সাহাবারা কখনও মিলাদুন্নবীর দিনকে ঈদ হিসেবে পালন করেননি। যদি ইসলামে একে পালন করার উৎসাহ দেয়া হত, তবে তারা কিছুতেই একে অবহেলা করতেন না। বড় কথা হল, ১২ রবিউল আউয়াল যে নবীজির জন্মদিবস – এ কথা প্রমাণসিদ্ধ নয়। বরং এ বিষয়ে পূর্বসূরি ওলামায়ে কেরাম যথেষ্ট মতবিরোধ করেছেন। এখন কথা হল, এ দিবস যদি আসলেই পালনীয় কিছু হতো, তাহলে সাহাবায়ে কেরাম থেকে এর কোন না কোন বর্ণনা অবশ্যই পাওয়া যেতো। নিশ্চয়ই সাহাবায়ে কেরাম পরবর্তী যুগের মুসলমানদের চেয়ে নবীজিকে বেশি ভালবাসতেন।

গো নিউজ২৪/এমআর

ইসলাম বিভাগের আরো খবর
তাবলিগের বিরোধটা আসলে কোথায়

তাবলিগের বিরোধটা আসলে কোথায়

ওয়াজ মাহফিল সরকারিভাবে মনিটরিংয়ের অনুরোধ

ওয়াজ মাহফিল সরকারিভাবে মনিটরিংয়ের অনুরোধ

নামাজের নিয়ত মুখে উচ্চারণ না করলে নামাজ হবে?

নামাজের নিয়ত মুখে উচ্চারণ না করলে নামাজ হবে?

আশুরার দিনে যে দুইটি আমল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

আশুরার দিনে যে দুইটি আমল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

পবিত্র আশুরা ২৯ জুলাই

পবিত্র আশুরা ২৯ জুলাই

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান