গত বছর ইসরাইলের কাছ থেকে চিকিৎসার অনুমোদন না পাওয়ায় মৃত্যু ঘটেছে কমপক্ষে ৫৪ ফিলিস্তিনির। গাজা বাসীর বহু চিকিৎসা বিষয়ক অনুমোদনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল ইসরাইল। তারা গাজার বাইরে চিকিৎসা করানোর জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল। মানবাধিকার সংগঠনের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে আলজাজিরা।
মঙ্গলবার এক যৌথ সম্মেলনে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস, গাজা-ভিত্তিক আল মেজান সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস, মেডিক্যাল এইড ফর প্যালিস্টেনিয়ানস(এমএপি) ও ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস ফর ইসরায়েল(পিএইচআরআই), গাজায় ইসরায়েলের অবরোধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
২০১৭ সালের পুরো বছরে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের কাছে ২৫ হাজারেরও বেশি আবেদন পাঠানো হয়। এর মধ্যে প্রত্যাখ্যান করে দেয়া হয় ৭১৯ টি। বেশিরভাগ আবেদন প্রত্যাখ্যান করার পেছনে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট যুক্তি দেখানো হয়।
আল মেজান এর পরিচালক স্বামীর জাকৌত বলেন, জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবা দরকার এমন রোগীদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করার পেছনে মূলত কোন যৌক্তিক কারণ নেই।
২০০৭ সালে গাজার ওপর হামাসের আধিপত্য নষ্ট করতে অঞ্চলটিতে জলপথ, আকাশপথ, ও নৌ-পথে অবরোধ জারি করে ইসরাইল। গাজা-বাসীর জন্য এরপর একমাত্র পথ খোলা ছিল মিশরের সঙ্গে যুক্ত থাকা টানেলগুলো। তবে ২০১৩ সালে মিসর ওই রাস্তা বন্ধ করে দিলে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গাজার জনগণ। বর্তমানে একমাত্র বিকল্প রাস্তা হচ্ছে ইরাজ ক্রসিং ।
গোনিউজ২৪/এমএফ