লন্ডনের উত্তরাঞ্চলীয় একটি মসজিদে হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত সন্দেহভাজন ব্যক্তি হামলার আগ মুহূর্তে ‘আমি সব মুসলিমকে হত্যা করতে যাচ্ছে’ বলে চিৎকার করছিলেন। ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী এই তথ্য জানান।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির বিস্তারিত পরিচয় এখনও জানা যায়নি। সিএনএন জানিয়েছে, তিনি গাড়িটির চালক। এর আগে ৪৮ বছর বয়সী ওই চালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রথমে তাকে ধরে ফেলে পথচারীরা। পরে পুলিশের কাছে দেয়া হয়। লন্ডনের ওই হামলার ঘটনায় কমপক্ষে একজন নিহত এবং ১০ পথচারী আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মসজিদ থেকে নামাজ আদায় করে বাড়ি ফিরতে থাকা মুসল্লিদের লক্ষ্য করেই হামলাটি চালানো হয়েছে। উত্তর লন্ডনের সেভেন সিস্টার রোডের ফিনসবারি পার্ক মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে গত ৪ জুন যেভাবে ওয়েস্ট মিনিস্টার ব্রিজে দ্রুত গাড়িয়ে চালিয়ে পথচারীদের ওপর উঠিয়ে দেয়া হয়, সেভাবেই মুসল্লিদের লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছে।
অনলাইনে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে হতাহতদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই স্থানে অনেক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সবাই চিৎকার করছিলো। সিনথিয়া ভ্যানজেলা নামের একজন টুইটারে বলেন, ‘দৃশ্যটি সত্যিই ভয়ংকর ছিলো। মাটিতে শুয়ে থাকা আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছিলো পুলিশ।’
লন্ডন পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নিয়ে জরুরি বৈঠক করার কথা রয়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র। তিনি এই হামলাকে ‘মূল্যবোধের ওপর আঘাত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। পবিত্র রমজানে এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে লন্ডনের মানুষ।
ব্রিটেনের মুসলিম কাউন্সিল জানায়, স্থানীয় সময় রাত ১২টা ২০ মিনিটে একটি ভ্যান ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ মুসল্লিদের ধাক্কা দেয়। আহতদের অনেকেই রাতের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন। এদিকে এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান।
লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানায়, তারা ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়েছে। সংস্থাটির উপ-পরিচালক কেভিনবেট বলেন, আমরা কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স কর্মী, দক্ষ প্যারামেডিক ও বিশেষ দল পাঠিয়েছি। এছাড়া লন্ডন এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ট্রমা টিমও সেখানে গেছে।
গো নিউজ২৪/ আরএস