দুই বাংলাতেই সমান জনপ্রিয় শ্রাবন্তী। টালিগঞ্জের এ নায়িকা গত বছর দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন সুপার মডেল কৃষ্ণ ভিরাজকে। কিন্তু সে সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই ভালো যাচ্ছিল না।
নানান টানাপোড়েন শেষে শ্রাবন্তী হাজির হলেন আদালতে। সম্পর্ক আর নয়, এবার ডিভোর্স চাই। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার আলীপুর জজ কোর্টে গিয়ে হাজির হন শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। কোর্টে মিউচুয়াল ডিভোর্স কেস ফাইল করেছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে শ্রাবন্তীর পরিবার। কেস ফাইল করার সময় শ্রাবন্তীর সঙ্গে তার মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।
তবে বিষয়টি এখনো কোনো বক্তব্য দেননি শ্রাবন্তী। এ বিষয়ে মুখ খোলেননি কৃষ্ণ ভিরাজও। ২০১৮ সালের ১০ জুলাই ধুমধাম করে কৃষ্ণ ভিরাজের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন শ্রাবন্তী। প্রথম স্বামী রাজীব বিশ্বাসের সঙ্গে ডিভোর্সের পরে তিনি এই সুপার মডেলকে বিয়ে করেন। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ের মাস তিনেক পর থেকেই বিয়ে ভাঙার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
মিউচুয়াল ডিভোর্সের মামলা ফাইল করতে মঙ্গলবার আলিপুর জাজেস কোর্টে যান টলি-নায়িকা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। আদালতে উপস্থিত ছিলেন তার স্বামী তথা সুপার মডেল কৃষ্ণ ভিরাজও। শ্রাবন্তীর সঙ্গে এসেছিলেন তার বাবা, মা। তবে কোর্ট থেকে বেরিয়ে তারা কেউই এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। স্বামী কৃষ্ণ ভিরাজও কোনো কথা বলেননি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বিচারক রবীন্দ্রনাথ সামন্তর কোর্টে তারা মিউচুয়াল ডিভোর্সের মামলা ফাইল করেছেন। কোর্ট থেকে দুজন দু’দিকের গেট দিয়ে বাইরে বেরিয়ে গিয়ে গাড়িতে ওঠেন। অভিনেত্রীকে এক পলক দেখতে আদালত চত্বরে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায়।
আলিপুর জাজেস কোর্ট সূত্রে জানা গেছে, মিউচুয়াল ডিভোর্সের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বদলানোর জন্য সাধারণত ৬ মাস সময় দেয়া হয় দম্পতিদের। কিন্তু তার পরেও তারা সিদ্ধান্তে অবিচল থাকলে ডিভোর্সের প্রক্রিয়া এগোয়। এক্ষেত্রে আপাতত শ্রাবন্তী-কৃষ্ণ ভিরাজকে অপেক্ষা করতে হবে ৬ মাস।
গোনিউজ২৪/এআরএম
