তালাক নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার কথা শাকিব খান-অপু দম্পতির। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অপু উপস্থিত থাকলেও আসেননি শাকিব খান।
সোমবার সকাল ১১টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল ৩ মহাখালী কার্যালয়ে অপু উপস্থিত হন বলে জানান নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত হোসেন। অন্যদিকে শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে দেশের বাইরে থাকায় শাকিব বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেননি। শাকিব উপস্থিত না থাকায় নতুন করে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি দুজনকে একসঙ্গে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে। এ বিষয়ে দুজনেরই পাল্টাপাল্টি প্রতিক্রিয়া শোনা গেছে।
অপু বলেন, সিটি কর্পোরেশনের শুনানিতে গিয়ে জানতে পেরেছি শাকিব খান যে ডিভোর্সের আবেদন করেছে সেটি বাতিলও হতে পারে। কারণ, ডিভোর্সের জন্য যেসব কাগজপত্রাদি জমা দেয়া দরকার সেগুলোর অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাগজ শাকিব জমা দিতে পারেননি। রাগের মাথায় শাকিব আমাকে ডিভোর্সের চিঠি দিয়েছে। দেশে প্রচলিত ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইনে ডিভোর্সের বেশ কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। সেইসব নিয়মে এই আবেদন শুদ্ধ নয়।
গণমাধ্যমকে অপু আরো বলেন, আমি সংসার করতে বরাবরই আগ্রহ প্রকাশ করেছি। আমার ছেলে আব্রামের জীবনটা অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিতে পারি না। মা হিসেবে আমি এটা কখনোই চাই না। আমি শাকিবকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম, আজও সেই ভালোবাসা একচুল কমেনি। আমার বিশ্বাস শাকিব তার ভুল বুঝতে পারবে এবং স্ত্রী-পুত্রের কাছে ফিরে আসবে। কারণ বিচ্ছেদ কোনো সমাধান নয়, হতে পারে না।
অন্যদিকে ভিন্ন কথা বলছেন শাকিব খান। রোববার রাতে ফোনে গণমাধ্যমকে এই নায়ক বলেন, এ বিষয়ে যা বলার আইনজীবীর মাধ্যমে আগেই বলে দিয়েছি। নতুন করে বলার কিছুই নাই। আমার মাথায় কাজ ছাড়া এখন আর কিছুই নাই।
শাকিব আরো বলেন, ‘এ মুহূর্তে দম নেওয়ার সময় পাচ্ছি না। গত বছর লম্বা সময় ধরে আমি সেভাবে কাজ করতে পারিনি। এতে প্রযোজক ও পরিচালকেরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেক কাজ জমে আছে। আর যেন প্রযোজক-পরিচালকেরা আমার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত না হন, তাই মন দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘ আট বছর পর গেল বছরের এপ্রিলে অপু বিশ্বাস সন্তানসহ প্রকাশে এসে শাকিবের সঙ্গে বিয়ের খবর ফাঁস করে দেন। এরপরই দুজন একসঙ্গে মিলে যান। তার কয়েকমাস পরই অপুকে ডিভোর্স নোটিশ পাঠান শাকিব খান।
গোনিউজ২৪/এআর