বলিউড-তারকাদের বেজায় দায়! নিজেদের মেনটেন করতে খাওয়াদাওয়া সারতে হয় এক্কেবারে মেপেমেপে। তা বলে সর্বক্ষণিকই কিন্তু ডায়েটে থাকেন না নায়ক-নায়িকারা। সুযোগ পেলেই বসে পড়েন প্রিয় খাবার নিয়ে।
আলিয়া ভট্ট
গোল গোল করে কাটা আলু ডুবো তেলে ভেজে নেওয়া। তারপর মশলাপাতি দিয়ে সেই আলুভাজার তরকারি বানানো। আলিয়া ভট্টের সবচেয়ে প্রিয় খাবারগুলোর মধ্যে উপরদিকেই রয়েছে এই আলু ফ্রাই। রেসিপিটা তাঁদের পরিবারে কয়েক প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। মহেশ ভট্টের জন্য আলু ফ্রাই বানাতেন আলিয়ার মা সোনি রাজদান। ‘‘আমার মায়ের সেরা রেসিপি এটা,’’ উচ্ছ্বসিত আলিয়া। তিনি একবার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানিয়েছিলেন বন্ধুদের জন্য। ‘‘খেয়ে ওদের ভাল লেগেছিল কি না জানি না। তবে আর কখনও আমাকে বানাতে বলেনি,’’ বয়ান নায়িকার।
রণবীর কপূর
আদ্যন্ত আমিষাশী রণবীর কপূর। সব্জির ঘাটতি নাকি পুষিয়ে নেন রোজ সকালে ভেজিটেবল জুস খেয়ে! তবে সব সময় ধরাবাঁধা নিয়মে খাওয়াদাওয়া করলেও রবিবারটা রণবীরের চিট-ডে। ঠাকুমা কৃষ্ণা কপূরের বাড়িতে চলে যান সেদিন। কৃষ্ণার রান্না জংলি মাটন রণবীরের সবচেয়ে প্রিয় ডিশ। আগেকার দিনে শিকার করে সেই মাংস খোলা আকাশের নীচে রান্না করা হতো বলেই নাকি এ রকম নাম পদের। রণবীর হামেশাই বলেন, পরিবারের মধ্যে ঠাকুমার হাতের রান্নাই সবচেয়ে ভালবাসেন তিনি। ছুটির দিন মানেই তাই তাঁর কাছে জংলি মাটন!
দীপিকা পাড়ুকোন
হলিউডে প্রথম ছবি করতে গিয়েছেন। ‘ট্রিপল এক্স: দ্য রিটার্ন অফ জ্যান্ডার কেজ’এর শ্যুটিং করছেন চুটিয়ে। সময়টা দিব্যি কাটছিল দীপিকার। কিন্তু মনটা খচখচ করত একটাই কারণে। সাগরপারে বসে বাড়ির খাবার পেতেন না! শেষমেশ হাতে পেয়ে যান ব্যানানা চিপ্স আর চাকলি। বাড়ি থেকেই পাঠানো হয়েছিল বোধহয়। সেগুলো হাতে পেয়েই মনের আনন্দে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দিয়েছিলেন #মিসিংহোম #কমফর্টফুড লিখে!
হৃতিক রোশন
বলিউডের গ্রিক গড খাওয়া-দাওয়াটা সত্যি নিয়ম মেনেই করেন। ‘জোধা আকবর’এর সময় শ্যুটিংয়ের প্রয়োজনেও কেউ তাঁকে তৈলাক্ত রাজস্থানি খাবার খাওয়াতে পারেননি। কিন্তু মন তাঁর হামেশাই চায় শিঙাড়া খেতে। সুযোগটা মিলে গিয়েছিল ‘গুজারিশ’এ কাজের সময়। এথানের চরিত্রে যাতে হৃতিককে মানায়, সে জন্য তাঁকে ওজন বাড়াতে বলেছিলেন সঞ্জয় লীলা বনশালী। হৃতিককে আর পায় কে! জিম-টিম তো বন্ধ করে দিয়েইছিলেন, শিঙাড়া খেতেন প্রচুর। একবার একসঙ্গে মোটামুটি ডজনখানেক শিঙাড়া খেয়ে ফেলেছিলেন নাকি!
সোনম কপূর
ইনি অর্গ্যানিক উপকরণে রান্না করা খাবার ভালবাসেন। আবার স্ট্রিট ফুড দেখলেও লোভ সামলাতে পারেন না। মুম্বইয়ের স্ট্রিট ফুডকে নাকি সোনমের চেয়ে বেশি ভাল করে আর কেউ জানে না। তার মধ্যেও তাঁর সবচেয়ে প্রিয় আইটেম, পাওভাজি। সোনমের কথায়, ‘‘বরাবরই ভালবাসি পাওভাজি খেতে। আমার বড় হওয়ার স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই খাবারটা।’’ জুহুর এক পাওভাজি-বিক্রেতার থেকে হামেশাই পাওভাজি খান সোনম। ভিলে পার্লের এক জুস সেন্টারের পাওভাজিও তাঁর প্রিয়।