ঢাকা : রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। তবে এখনো পেঁয়াজের দাম নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন দেশি পেঁয়াজ ও আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিতে প্রায় ২০ টাকা করে কমেছে। বিক্রেতারা বলছেন শীত শেষ হওয়ার আগে পেঁয়াজের দাম খুব বেশি কমার সম্ভাবনা নেই।
অন্যদিকে বাজারে সবজির দাম তুলনামুলক কম হলেও চালের বাজার এখনো আগের মতোই। শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এতথ্য পাওয়া গেছে।
বাজারে চাহিদামতো সবজি, মাছ, মাংস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্য নিয়ে বসেছেন বিক্রেতা। তবে ক্রেতারা সবজি, মাছ, মাংসের বাজারে মোটামুটি স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেও চাল ও পিঁয়াজের বাজারে গিয়ে উঠছে নাভিশ্বাস।
সবশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, কেজিপ্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, বিআর-২৮ ৫২ টাকা, পারিজা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা।
অন্যদিকে পিঁয়াজের সবশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি দেশি ও আমদানি করা পিঁয়াজ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতাদের মতে, বোরো মৌসুমের চাল বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। চাল বেশি দরে কেনার ফলে বেশি দরেই বিক্রি করতে হচ্ছে। সেইসাথে শীত শেষ হওয়ার আগে পেঁয়াজের দাম হাতের নাগালে আসার সম্ভাবনা নেই বলছেন বিক্রেতারা।
সবজির বাজারে এদিন সিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৪০-৫০ টাকা, প্রতিপিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি আকার বেধে ২০-৪০ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ও ডাঁটা শাক দুই আঁটি ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০-১২০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ ও মাংসের দাম।
মাছের বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১০০-১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪০০-৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকায় মিলছে।
গো নিউজ২৪/আই