ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পেয়াজের ফুল কদম পঁচা রোগে দিশেহারা কৃষক


গো নিউজ২৪ | নাহিদ হোসাইন, নাটোর প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০১৭, ০২:৫৫ পিএম আপডেট: এপ্রিল ১০, ২০১৭, ০৮:৫৫ এএম
পেয়াজের ফুল কদম পঁচা রোগে দিশেহারা কৃষক

নাটোরের লালপুরে পেয়াজের বীজ উৎপাদনে গত বছর দ্বিগুন হারে লাভ হলেও এবার ফুলকদম পচা রোগে আক্রান্ত হয়ে হতাসায় ঘুমহীন লালপুরের কৃষক।  

লালপুরের বিভিন্ন কৃষক বলেন, পেয়াজের বীজ উৎপাদন করে যেমনি আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া যায়।  তেমনি একবার রোগে আক্রান্ত হয়ে লোকসানে পড়লে সর্বশান্তও হওয়া যায়।  এ বছর লালপুরের কৃষকদের এতো পরিমান ক্ষতি হবে যার কল্পনাও করতে পারছেন না অনেক কৃষক।  অনেকেই আর জীবনেও পেয়াজের বীজ উৎপাদনে আগাবেন না বলে জানান।  তারা কৃষি অফিসের দেওয়া পরামর্শে কাজ করেও কোন কিছুতেই লাভ হচ্ছেনা বলে জানান। 

অনেক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, উপসহকারীরা যা পরামর্শ দিচ্ছেন তাই করছি। কিন্তু উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কোন সাড়া পাচ্ছিনা। উপজেলার চাদপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সরকার এক বিঘা, জহুরুল ইসলাম পনের কাঠা, আব্দুল হান্নান দুই বিঘা, আব্দুল হাসেম দেড় বিঘা, আব্দুল মাসুদ রানা তিন বিঘা, চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মাস্টার এক বিঘা, আমিরুল ইসলাম এক বিঘা, সেলিম দশ কাঠা, এলাহী দশ কাঠা, ডাজ্ঞাপাড়া গ্রামের ঈদ্রীস প্রাং দুই বিঘা জমিতে পেয়াজের কদম চাষ করেছেন। 

চাঁদপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম জানান, তিনি কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে পেয়াজের কদমচাষ করেছেন। গত বছর দশ কাঠা জমিতে একত্রিশ কেজি বীজ উৎপাদন করে আঠারো শত টাকা কেজি দরে বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করেন। সেই কারনেই এ বছর ত্রিশ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেও পনেরো কাঠা জমিতে পেয়াজের কদম চাষ করেন। কিন্তু এ বছর যে হারে লোকসান পোহাতে হবে সেই দুঃশ্চিন্তাই ঘুম নেই জহুরুলের চোখে। । ঐ গ্রামের মাসুদ রানা বলেন, গত বছরের ন্যায় এ বছরও তিনি তিন বিঘা জমিতে পেয়াজের কদম চাষ করেছেন। 

কিন্ত প্রাপ্ত বয়স্ক  হওয়ার পর অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি দিশেহারায় ভুগছেন। অনেক চেষ্টা করেও ফল পাচ্ছেন না। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থাকা সত্বেও ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের ঈদ্রিশ প্রাং লোকসানের দুশ্চিন্তায় আছেন। তিনি বলেন আমার অনেক দিনের অভিজ্ঞতা আছে। সেই অনুযায়ী কাজ করেও ফল পাচ্ছিনা।  নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মাস্টারও ছাড় পাচ্ছেন না পেয়াজের কদম পচা রোগে। 

তিনি বলেন, রাজনীতি নিয়ে ব্যাস্ত থাকলেও কৃষি সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান আছে।  অনেক আগে থেকেই পেয়াজের বীজ উৎপাদন করে লাভবান হয়েছেন।  উপসহকারীদের পরামর্শ অনুযায়ী সমস্ত কীটনাশক প্রয়োগ করেও ফল দেখছেন না।  লালপুর উপজেলার কৃষি অফিসার হাবিবুল ইসলাম বলেন, পরপোল ক্লোচ রোগে আক্রান্ত হয়ে পেয়াজের কদম পচে যায়।  তবে আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করলে এ রোগ সেরে যাবে।  প্রতি বছর উপজেলায় ১৬ হেক্টর জমিতে পেয়াজের কদম চাষ হয়। কৃষকরাও লাভবান হয়।

গো নিউজ২৪/এএইচ

অর্থনীতি বিভাগের আরো খবর
৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার

৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার

বেসিক ব্যাংক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?

বেসিক ব্যাংক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?

বাজারে এখন টাকা ও ডলার উভয় মুদ্রার সংকট, অদল-বদল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বাজারে এখন টাকা ও ডলার উভয় মুদ্রার সংকট, অদল-বদল নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

ইসলামী ব্যাংকসহ ৮টি ব্যাংকের কারণে ঘাটতিতে পুরো ব্যাংক খাত

ইসলামী ব্যাংকসহ ৮টি ব্যাংকের কারণে ঘাটতিতে পুরো ব্যাংক খাত

হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিয়ে বা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে জনপ্রতি ৫০ টাকা আয়করের প্রস্তাব

হোটেল-রেস্তোরাঁয় বিয়ে বা জন্মদিনের অনুষ্ঠানে জনপ্রতি ৫০ টাকা আয়করের প্রস্তাব

ব্যাংক পরিচালকদের সভায় অংশগ্রহণকারীদের সম্মানী মাসে ৫০ হাজার টাকা

ব্যাংক পরিচালকদের সভায় অংশগ্রহণকারীদের সম্মানী মাসে ৫০ হাজার টাকা