ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

‘বন্দি থাকা জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা ছিল রিপনের’


গো নিউজ২৪ | গোনিউজ ডেস্ক: প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০১৯, ০২:৩৮ পিএম আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০১৯, ০২:৪৬ পিএম
‘বন্দি থাকা জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা ছিল রিপনের’

গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরায় জঙ্গি হামলা মামলার পলাতক আসামী মামুনুর রশিদ রিপনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় একটি বাস থেকে শনিবার মধ্যরাতে এই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ রবিবার কাওরান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আনা হয়। মিডিয়া সেন্টারে মুফতি মাহমুদ খান বলেন, কারাগারে থাকা জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার নতুন করে পরিকল্পনা করেছিল বাইরে থাকা জঙ্গি রিপন। হলি আর্টিজান হামলা মামলার বিচার কার্যক্রম শুরুর পর এই পরিকল্পনা করেছিল তারা।  

র‍্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান আরো বলেন, ‘আমরা রিপনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। সে জানিয়েছে, ২০১৪ সালে ত্রিশালের মতো জঙ্গি ছিনতাই পরিকল্পনা করেছিল তারা। ত্রিশালের মতো আরকেটি ঘটনা ঘটিয়ে জঙ্গিদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছিল তারা। মূলত হলি আর্টিজান হামলা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামিদের ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা ছিল তাদের। জেএমবির আমির আব্দুর রহমানের মেয়ের জামাই আওয়ালের ভাগ্নে হওয়ায় রিপনে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে সংগঠনে।’

রিপনের গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়। সে ঢাকার মিরপুর, বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও নওগাঁর বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে। ২০০৯ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাদ্রাসাতুল দারুল হাদিস থেকে দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করে সে। এরপর বগুড়ার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চাকরি নেয়। ২০১৩ সালে ডা. নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে  তার পরিচয় হয়। সে জেএমবির শীর্ষ ও নেতৃত্ব প্রদানকারীদের অন্যতম এবং একাংশের আমির। জেএমবির এই অংশের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে রিপন।

রিপনের বরাত দিয়ে মুফতি মাহমুদ বলেন, ‘পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি নেতা তামীম চৌধুরীর সঙ্গে সারোয়ার জাহানের একটি বৈঠকের সমঝোতা স্মারক প্রস্তুত করা হয় ২০১৫ সালে। ওই সমঝোতার ভিত্তিতে সারোয়ার জাহানকে আমির নির্বাচিত করা হয়। তার সাংগঠনিক নাম দেওয়া হয় শায়খ আবু ইব্রাহিম আল হানিফ। ওই বৈঠকে জেএমবি সদস্য সাদ্দাম ওরফে কামাল, শরিফুল ওরফে রাহাত ও রিপনসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিল। তার মধ্যে মামুনুর রশীদ রিপন শুরা সদস্য নির্বাচিত হয়।’

ওই সময়টাতে জেএমবির মধ্যে বিভিক্ত বা গ্রুপিং ছিল বলে দাবি করেছে র‍্যাব।

জেএমবিতে রিপনের দায়িত্ব ছিল অর্থ সংগ্রহ, সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও অস্ত্র সরবরাহ করা এবং জঙ্গিদের সঙ্গে তার ভালো যোগাযোগ ছিল।

র‍্যাব জানিয়েছে, ২০১৬ সালের এপ্রিলে রিপনের নেতৃত্বে একটি জঙ্গি দল ভারত যায়।  তাদের উদ্দেশ্য ছিল অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার। হলি আর্টিজান হামলার আগে আনুমানিক ৩৯ লাখ টাকা সারোয়ার জাহানকে পাঠায় রিপন। সে হলি আর্টিজান হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহের সঙ্গেও জড়িত ছিল। এছাড়ারও উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল রিপন।

হলি আর্টিজান হামলার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনার বিষয়ে মুফতি মাহমুদ জানান, তারা ২০১৫ সালে গাইবান্ধায় মিটিং করে। ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারিতে হলি আর্টিজান হামলার পরিকল্পনা করে। রিপন হামলার জন্য  তিনটি একে টু, একটি পিস্তল সরবরাহ করেছিল। জঙ্গি মারজানের মাধ্যমে সরোয়ার জাহানকে এসব পাঠায় রিপন। হলি আর্টিজান হামলার আগেরদিন বারিধারায় মিটিং করেছিল জঙ্গিরা। এছাড়া নির্বাচনের আগেও নাশকতার চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

জেএমবির বর্তমানে কার নেতৃত্বে চলছে জানতে চাইলে র‍্যাবের মুখপাত্র বলেন, তাদের শুধু নামে চেনা হয়, ব্যক্তি চেনা হয় না। বর্তমানে জঙ্গি সালেহীন সক্রিয় ও সংগঠিত করার কাজে আছে। জামিনে থাকা ও  পলাতক জঙ্গিরা জেএমবিকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে।

গো নিউজ২৪/জাবু
 

অপরাধ চিত্র বিভাগের আরো খবর
মামা, মামি ও মামাতো বোনকে গলা কেটে হত্যা করলো ভাগনে

মামা, মামি ও মামাতো বোনকে গলা কেটে হত্যা করলো ভাগনে

বিএনপির সমাবেশে সংবাদকর্মীরা হামলার শিকার

বিএনপির সমাবেশে সংবাদকর্মীরা হামলার শিকার

এমটিএফই প্রতারক মাসুদকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে, নেওয়া হবে ইন্টারপোলের সহায়তা

এমটিএফই প্রতারক মাসুদকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা চলছে, নেওয়া হবে ইন্টারপোলের সহায়তা

‘বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশনের খসড়া প্রস্তুত’

‘বঙ্গবন্ধু হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশনের খসড়া প্রস্তুত’

কিশোরী নির্যাতন করে যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিশু তিন দিনের রিমান্ডে

কিশোরী নির্যাতন করে যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিশু তিন দিনের রিমান্ডে

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত দুই যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত দুই যুদ্ধাপরাধী গ্রেপ্তার