ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নোয়াখালীতে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১০


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০১৯, ০৯:৪০ পিএম
নোয়াখালীতে আ.লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১০

নোয়াখালী সদর উপজেলার খলিফার হাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

গুলিবিদ্ধরা হলেন-  রামহরিতালুক গ্রামের ইউনুছের ছেলে সবুজ (২৩), বারাহিপুর গ্রামের মফিজ উল্যার ছেলে শান্ত (১২), মফিজ উল্যার ছেলে ওহিদ উল্যাহ (৩০), শাহ আলমের ছেলে মনির আহমেদ (৬০), মোঃ শহীদ উল্যার ছেলে সোলেমান (২৮), খলিফার হাট গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সুমন (২৩), কাজল ব্যাপারীর ছেলে মাসুদ (৩৫), আবুল কালামের ছেলে মোঃ জসিম (৪৫), রফিক উল্যার ছেলে মঞ্জু (২২) ও মোহাম্মদ আলীর ছেলে জিয়া (২০)।

স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসা নিয়ে সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য ও সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা জহিরের সঙ্গে একই এলাকার বাসিন্দা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান শিপনের দীর্ঘদিন যাবত দ্বন্দ চলে আসছে।

গুলিবিদ্ধ মঞ্জু, মাসুদ, সোলেমান ও মনির আহমেদ বলেন, মিজানুর রহমান শিপনের নেতৃত্বে বিকেলে ১০-১২টি মোটরসাইকেল যোগে ৩০-৩৫ জন যুবক আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে জহির মেম্বারের বারাহিপুর গ্রামের বাড়িতে ঢুকে জহিরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে। এ সময় জহির মেম্বার কৌশলে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। পরে গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জনের মতো আহত হন। 

ইউপি সদস্য জহির অভিযোগ করে বলেন, মিজানুর রহমান শিপন দীর্ঘদিন থেকে এলাকায় ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সেবন ও ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। আমি জনপ্রতিনিধি হিসাবে এর বাধা দিতে গেলে শিপনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনার জের ধরেই শিপন অতর্কিতভাবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে আমার বাড়িতে সন্ত্রাসীবাহিনী নিয়ে এসে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে আমার ১০ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। 

এ সময় তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিপনসহ অন্যান্যদের গ্রেফতারের দাবি জানান। 

অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে মিজানুর রহমান শিপন সমকালকে বলেন, একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে তিনি জহির মেম্বারের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় জহির মেম্বার ও তার লোকজন তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে তিনিসহ ৫ জন আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, জহির মেম্বার এলাকায় মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তিনি আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপর হামলা করেছেন।

সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন গুলির ঘটনায় কয়েকজন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এলাকাবাসী সূত্রে তিনি জেনেছেন সংঘর্ষের জন্য শিপন দায়ী। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গো নিউজ২৪/আই

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা