টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে খালের মধ্যে প্রভাবশালীরা কালভার্ট ও গাইড ওয়াল নির্মাণ করে খালকে ড্রেন বানিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের ভুলোয়া খালে এই কালভার্ট ও গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে।
ভুলোয়া ও চানপুর মৌজায় গড়ে উঠা ইটভাটার মালিকরা খালের প্রবাহ বা গতিপথ বন্ধ করে এই কালভার্ট ও গাইড ওয়াল নির্মাণ করেছেন বলে স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন। যা বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার কৃষকদের গলার ফাঁস হয়ে দেখা দিবে।
এলাকাবাসী জানান, খালটি আজগানা ইউনিয়নের ঘাগড়াই কুড়াতলী থেকে শুরু হয়ে ভুলোয়া হয়ে বেলতৈল গ্রামের ভেতর দিয়ে বংশাই নদীতে মিলিত হয়েছে। দীর্ঘ চার কিলোমিটার আনুমানিক ৪শ ফুট ও সর্বনিন্ম ১শ ফুট প্রশস্ত এই খালটি দিয়ে উপজেলার বাঁশতৈল এবং আজগানা ইউনিয়নের বিভিন্ন বাইদ (নিচু) এলাকার পানি নিস্কাশন হয়ে থাকে। যুগ যুগ ধরে এভাবেই ওইসব এলাকার ১৫/২০টি গ্রামের পানি নিস্কাশন হয়ে আসছে।
কিন্তু এ বছর ওই খালের ভূলোয়া এলাকায় সরকারি অনুমতি ছাড়া ইট ভাটা মালিকরা আনুমানিক ৬ফুট প্রশস্ত ও ২৫ ফুট লম্বা একটি কালভার্ট নির্মান করে খালের ওই অংশকে ড্রেনে পরিণত করেছে বলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে।
বিনা অনুমতিতে সরকারি খালের উপর কালভার্ট নির্মাণের ঘটনাটি এলকাবাসীর মাধ্যমে মির্জাপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আজগর হোসেন জানতে পেরে গত ৯ জানুয়ারি ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের আটক করে নিয়ে আসেন। পরে আজগানা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার শফিকুল ইসলাম ১৪ জানুয়ারির মধ্যে ওই কালভার্ট ভেঙে ফেলা হবে এই মুচলেকা দিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের ছড়িয়ে নেন। কিন্তু ওই কালভার্টটি না ভেঙে মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) উল্টো কালভার্টের উভয় পাশে কমপক্ষে ২০ ফুট লম্বা ১০ ইঞ্চি পুরো গাইড ওয়াল নির্মাণ করেছেন তারা। এতে ওই অঞ্চলের পানি নিস্কাশন মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হবে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আজগর হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু দেখবেন।
গো নিউজ২৪/আই