ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এসপি বিজয় বসাকের উন্নয়নমূলক কাজকে দীর্ঘদিন মনে রাখবে বরগুনাবাসী


গো নিউজ২৪ প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০১৮, ১০:১২ পিএম
এসপি বিজয় বসাকের উন্নয়নমূলক কাজকে দীর্ঘদিন মনে রাখবে বরগুনাবাসী

আমরা বিভিন্ন নাটক বা ছায়াছবিতে দেখি যে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নতুন একজন পুলিশ অফিসার এসে সেই অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকরার পাশাপাশি ঐ অঞ্চলের লোকদের জীবনধারা বদলে দেয়। বাস্তব জীবনে সেই রকমই একজন পুলিশ অফিসার এসপি বিজয় বসাক। যিনি প্রায় ৩ বছর ২ মাস বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার হিসাবে ঐ জেলার মানুষের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে গেছেন, মন জয় করেছেন আপাময় জনতার। শুধু একজন পুলিশ অফিসার হিসাবেই নয় মানুষ হিসাবেও এসপি বিজয় বসাক অনন্য অসাধারন। বরগুনাবাসীর মন জয় করে অতি সম্প্রতি তিনি বদলী হয়েছেন নতুন কর্মস্থল চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের ডেপুটি কমিশনার হিসাবে। খুব শীঘ্রই তিনি যোগদান করবেন নতুন কর্মস্থলে। তবে তার কাজের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন স্মরণে থাকবেন বরগুনাবাসীর।

ইভটিজিং, জঙ্গিবাদ ও মাদক বাণিজ্যসহ সকল প্রকার অপরাধ নির্মূলে তার সাহসী ভূমিকার জন্য ইতোমধ্যেই তিনি হয়েছেন প্রশংশিত, পেয়েছেন পিপিএম ও বিপিএম পদক। অসংখ্য ইতিবাচক উদ্যোগের মধ্য দিয়ে পাঁচ-পাঁচবার বরিশাল বিভাগের সেরা পুলিশ সুপার হন বিজয় বসাক।  

বিজয় বসাকের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড:

বরগুনার পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজঃ ২০১৫ সালের ১৪ জুন পুলিশ সুপার হিসেবে বরগুনায় যোগ দেন বিজয় বসাক। এরপর থেকে তারসময়ে জেলা পুলিশের উদ্যোগে সর্বোচ্চ সংখ‍্যক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। তারমধ্যে পুলিশ লাইনের ভেতর এবং বাইরের অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। স্থাপিত হয়েছে নারী পুলিশদের আবাসিক সুবিধার জন্য বহুতল ভবন। স্থাপন করা হয়েছে পুলিশ লাইনসের দৃষ্টিনন্দন গেইট "নিরাপত্তা তোরণ" এবং একই সাথে পুলিশ অফিসের দৃষ্টিনন্দন আরও একটি গেট। পুলিশ অফিসে প্রবেশ কালে মায়ের কোলে শিশুর মাধ্যমে এই বরগুনা কে সুরক্ষার যে মহান এবং গুরুদায়িত্ব জেলা পুলিশ গ্রহণ করেছে তার একটি মনুমেন্ট "সুরক্ষা বরগুনা" তৈরি হয়েছে তার মাধ্যমে। পুলিশ অফিসের নিচতলায় প্রবেশদ্বারে হাতের ডানে "৫২ থেকে ৭১" নামে তৈরি করা হয়েছে একটি মুরাল। জেলা পুলিশ কার্যালয়ের ইন্টেরিয়র এবং এক্সটেরিয়র ডিজাইনিং এর ব্যাপক পরিবর্তন করা হয়েছে। বরগুনা সদর থানা এবং আমতলী থানাসহ সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং পুলিশ অফিসার্স মেস এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে এই সময়ে। তার সময়ে বরগুনা জেলা কমিউনিটি পুলিশিং বিগত যেকোন সময়ের চেয়ে ছিল অনেক বেশি শক্তিশালী ও কার্যকর।

যে মুখে ডাকি মা, সে মুখে মাদককে বলি না: মাদক থেকে দূরে থাকার আহ্বান নিয়ে পুলিশ সুপার বিজয় বসাক নিজেই রচনা করেছেন একটি স্লোগান। আর সেটি হচ্ছে- ‘যে মুখে ডাকি মা, সে মুখে মাদককে বলি না’। এ স্লোগানকে কেন্দ্র করে স্থানীয় শিল্পীদের সুরে রচনা করা হয়েছে মাদক বিরোধী সঙ্গীত। মাদক বিরোধী এ সঙ্গীত ও স্লোগানকে সামনে রেখে পাড়ায় মহল্লায় গ্রামগঞ্জে, স্কুল-কলেজে কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে কাছে গিয়ে জঙ্গিবাদ, মাদক ও ইভটিজিংসহ সকল প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বিজয় বসাকের নেতৃত্বে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রচার ও প্রচারণা চালিয়েছে বরগুনা জেলা পুলিশ।      

স্কুলে স্কুলে জেলা পুলিশের ক্যারিয়ার ক্যাম্পেইনপুলিশ হয়ে নয় সাধারণ মানুষ হয়ে কখনো বেঞ্চে, কখনো পাশে দাঁড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীর বুকে সাহস জাগিয়ে তুলেছেন। আইনের প্রতি তাদের শ্রদ্ধাশীল করে গড়ে তুলতে পুলিশ সুপার বিজয় বসাকের নেতৃত্বে বরগুনা জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্কুলে স্কুলে আয়োজন করা হয়েছে দেশপ্রেম ও ক্যারিয়ার ভাবনা বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠান। এসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ভাবনা, মানবীয় গুণাবলির বিকাশ এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে শিক্ষামূলক বিভিন্ন ভিডিও ক্লিপস প্রদর্শন করা হয়।

পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ: ১২ লাখ মানুষের নিরাপত্তায় মাত্র ছয়শ পুলিশ পর্যাপ্ত নয়। নানা সীমাবদ্ধতার বিষয় ভাবনায় রেখে জেলার চারটি পৌরসভাসহ ৪২টি ইউনিয়নে গঠন করা হয়েছে কমিউনিটি পুলিশিং-এর স্থানীয় কমিটি। কমিউনিটি পুলিশিং এবং গ্রাম পুলিশিং কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করে তুলতে নিরলস কাজ করে গেছেন পুলিশ সুপার বিজয় বসাক।

পুলিশের রক্তে বাঁচে জনতার জীবন: জেলার প্রায় ১২ লাখ মানুষের জন্য একটি মাত্র জেনারেল হাসপাতাল। নজিরবিহীন চিকিৎসক সংকটের পাশাপাশি এখানে রয়েছে জরুরি রক্তের সংকট। নিভৃত গ্রাম থেকে আসা অধিকাংশ রোগীদের চিকিৎসা সেবা পেতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে যেসব ধকল পার হতে হয় তার মধ্যে অন্যতম প্রধান সংকট এটি। জেলার প্রত্যন্ত  গ্রামাঞ্চল থেকে আসা দরিদ্র পরিবারের রোগীদের জরুরি রক্তের প্রয়োজনে পুলিশ সুপার বিজয় বসাকের উদ্যোগে ২০১৬ সালে স্থাপন করা হয় পুলিশ লাইফ ব্লাড ব্যাংক। জেলার ছয় শতাধিক পুলিশ সদস্যের রক্তের গ্রুপ এবং একাধিক জরুরি মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে লিফলেট ছাপিয়ে বিতরণ করা হয়েছে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের মাঝে। এই ব্লাড ব্যাংকের ডোনার হিসাবে নিজেও রক্ত দিয়ে সাধারন মানুষকে সাহায্য করেছেন এসপি বিজয় বসাক।

জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্র: জেলা পুলিশের একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, বাংলাদেশের যেকোনো জেলার চেয়ে উপকূলীয় জেলা বরগুনায় নারী নির্যাতনের মামলার সংখ্যা অনেক বেশি। নানান কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ সমস্যা এবং পারিবারিক কলহের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে এখানে নারী নির্যাতনের অনেক ঘটনা ঘটে থাকে। সেসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলা হয় নারী নির্যাতনের। মাসের পর মাস বছরের পর বছর ধরে চলে মামলা। ভেঙে যায় সংসার। এমনসব দরিদ্র, অসহায় এবং নির্যাতিত নারীদের ভোগান্তি লাঘবে পুলিশ সুপার বিজয় বসাকের প্রচেষ্টায় স্থানীয় নারী নেত্রীসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রবীণ ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে তৈরি করা হয় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির একটি ভিন্ন ধর্মী প্লাটফর্ম। নাম দেয়া হয় ‘জাগোরণী নারী সহায়তা কেন্দ্র’।  এটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাত্র এক বছরের ব্যবধানে এ উদ্যোগের মধ্য দিয়ে নির্যাতনের শিকল ছিড়ে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছে বরগুনার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় চার শতাধিক দরিদ্র অসহায় নারী।

অভাগিনী সুরমাদের পাশে জেলা পুলিশ : ১১ বছরে বিয়ে হয়েছিল তার।  ১৫ বছরে মা।  আর ২০ বছর হতে না হতেই বিধবা হয়েছিলেন বরগুনার পাথরঘাটার দরিদ্র জেলেবধূ সুরমা। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে জলদস্যুরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল সুরমার স্বামী ইসমাইলকে। সেই থেকে দু-দুটি কন্যাশিশু নিয়ে চরম অনিশ্চিত হয়ে পরে সুরমার জীবন। পুলিশ সুপার বিজয় বসাকের উদ্যোগে সুরমার পাশে দাঁড়ায় বরগুনা জেলা পুলিশ। কমিউনিটি পুলিশিং এবং স্থানীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতাদের সম্মিলিত সহায়তায় পাথরঘাটার রূপধন বাজারে একটি দোকান করে দেয়া হয়েছে। দোকান চালিয়ে এখন অনেকটাই ভালো আছেন সুরমা। শুধু সুরমাই নয়, বরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের পুলের হাট বাজারের হতদরিদ্র মাকছুদাসহ একাধিক অসহায় নারী জেলা পুলিশের সহায়তায় এখন স্বাবলম্বী।           

থানা হাজতে স্যানিটারি ন্যাপকিনথানা হাজতে নারী হাজতিদের জন্য বাংলাদেশে সর্বপ্রথম স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহের প্রথা চালু করেন পুলিশ সুপার বিজয় বসাক।  এছাড়া নারী পুলিশ ও পুলিশ পরিবারের প্রজনন স্বাস্থ্য সচেতনতায় পুলিশ সুপার বিজয় বসাক নিজ উদ্যোগে প্রজনন স্বাস্থসেবা বিষয়ক একাধিক কর্মশালাসহ বহু সভা ও সেমিনার আয়োজন করে আসছেন।

পুলিশ অফিসে আসা দর্শনার্থীদের জন্য ব্রেস্টফিডিং কর্ণারঃ পুলিশ অফিসে আসা দর্শনার্থীরা যেনো নিঃশঙ্কচিত্তে একটি শিশুর মানসিক বিকাশের জন্য তাদের সন্তানদের মায়ের দুধ দিতে পারেন সেই জন্য এসপি বিজয় বসাক তার বদলী আদেশ হওয়ার পরও বরগুনা জেলা পুলিশের অফিসে গত ১২ আগস্ট ব্রেস্টফিডিং কর্ণার নামে একটি রুমের ব্যবস্থা করেন যা বরগুনার সুধীজনদের কাছে ব্যাপক প্রশংশিত হয়েছে। 

শিশু বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনঃ একই সময়ে গত ১১ আগস্ট বরগুনা জেলা পুলিশ এর উদ্যোগে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি অর্থাৎ পুনাক এর মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়েছে একটি শিশু বিনোদন কেন্দ্রের যার নাম দেয়া হয়েছে 'পুনাক শিশু বিনোদন কেন্দ্র'। এটি বরগুনার পুলিশের উদ্যোগে বরগুনা জেলার প্রথম শিশু পার্কের স্থাপন, যা বরগুনাবাসীর কাছে পুলিশের একটি বৃহৎ কাজ হিসাবে বিবেচিত হয়েছে ।

বিপিএম ও পিপিএম পদক অর্জনঃ কমিউনিটি পুলিশিং-এর মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছানো, হতদরিদ্র অসহায় নারীদের জন্য বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি, জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের স্কুলে স্কুলে মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণা ও ক্যারিয়ার ভাবনা বিষয়ক আলোচনা অনুষ্ঠানসহ জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখায় পাঁচ-পাঁচবার বরিশাল বিভাগের শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার নির্বাচিত হন বিজয় বসাক। এছাড়া পেশাগত দায়িত্ব পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ২০১১ সালে পান প্রেসিডেন্ট পুলিশ মেডেল (পিপিএম) এবং ২০১২ এবং ২০১৬ সালে দু’দুবার তিনি অর্জন করেন আইজি ব্যাচ। ২০১৮ সালে তিনি অর্জন করেন পুলিশের সর্বোচ্চ পদক বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল (বিপিএম-সেবা)।

ব্যক্তি জীবনে বিজয় বসাকপুলিশ সুপার বিজয় বসাক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজ্যুয়েশন সম্পন্ন করে বিসিএস ২২তম ব্যাচে বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার পদে যোগদান করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। তিনি একজন ভালো স্পোর্টস ম্যান, অবসরের একটি বড় সময় কাটে তার বই পড়ে। আবৃত্তিতে রয়েছে তার বিশেষ দখল। স্থানীয় সাংস্কৃতিক আন্দোলনেও রয়েছে তার সমান সহযোগিতা। নিজ প্রচেষ্টায় বরগুনা জেলা পুলিশের উদ্যোগে প্রতিবছর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিসিএস উত্তীর্ণ কৃতি তরুণদের সংবর্ধনার আয়োজন করে তাদের হাতে নানাবিধ পুরস্কার তুলে দিতেন তিনি। 

বরগুনাবাসীর জন্য তিনি যেমন নিরলসভাবে কাজ করেছেন, তেমনি কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পেয়েছেন আপাময় জনগনের ভালবাসা। তাইতো বিদায়বেলা তিনি বলে গেলেন, “কথা দিচ্ছি যেখানে যে অবস্থায়ই থাকি না কেন, বরগুনা জেলার উন্নয়ন ইস্যুতে সামান্য কোন অবদান রাখার সুযোগ যদি আসে তা আমি কোনদিনই হাতছাড়া করবো না”। 

গোনিউজ/বিএস

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা