ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া গ্রামে ২য় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়তে গেলে শিক্ষিকার স্বামী টিভি দেখার কথা বলে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে ঐ শিশুটিকে আতঙ্কিত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
স্বজনের অভিযোগ,রবিবার (২২ জানুয়ারী) বিকেলে বোরহানউদ্দিন কাচিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের শিকদার বাড়ী ২য় শ্রেনীর ঐ শিক্ষার্থী শিক্ষকের বাসায় পড়তে গেলে ঐ শিক্ষকা বাসায় না থাকায় তার স্বামী নজরুল ইসলাম ( ৫০) টিভি দেখার কথা বলে ঐ শিশুটিকে জোর করে ধর্ষণ করে।
পরে শিশুটি বাড়িতে এসে তার মাকে জানালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে শিশুটি ও তার মা। পড়ে শিশুটিকে প্রথমে বোরহানউদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেসে পরে ভোলা সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। পাশবিক নির্যাতনের ফলে মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে ২য় শ্রেনীতে পড়ুয়া শিশুটি। নাওয়া খাওয়া এমনকি স্কুলে বন্ধ হয়ে গেছে শিশুটির।
এ ব্যাপারে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি অসীম কুমার শিকদার বলেন, এই ঘটনায় বোরহানউদ্দিন থানায় শিশুটির পিতা শাহিন শিকদার একটি সাধারন ডায়রী করে। কিন্তু তা ধর্ষণ সংক্রান্ত নয়। শিশুটিকে মারধর ও ভয় দেখানো সংক্রান্ত। আমরা তদন্ত করে দেখছি ।
গো নিউজ২৪/এবি
