বেশি মুনাফার আশায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় চিনি মিশিয়ে তৈরী হচ্ছে ভেজাল খেজুরের গুড়। মুনাফালোভী চাষীরা খেজুর রসের সঙ্গে চিনি, ময়দা ও হাইড্রোজ মিশিয়ে গুড় তৈরি করে বাজারজাত করছে। এসব গুড় ছড়িয়ে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের সর্বত্র।
উপজেলার ২টি পৌরসভা বাঘা, আড়ানী ও ৭টি ইউনিয়নের বাজু বাঘা, দাদপুর গড়গড়ী, চকরাজাপুর, পাকুড়িয়া, মনিগ্রাম, বাউসা, আড়ানীসহ প্রতিটি গ্রামে উৎপাদিত সুমিষ্ট খেজুরের গুড়ের সুনাম থাকায় দেদারছে খেজুরের গুড় তৈরি করা হচ্ছে চিনি মিশিয়ে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গুড়ের চেয়ে চিনি ও ময়দার দাম কম হওয়ায় খেজুর গুড়ে চিনি মেশাচ্ছেন গুড় প্রস্তুতকারী চাষিরা। ভোরবেলা গাছ থেকে খেজুর রস সংগ্রহ করে বাড়িতে নিয়ে এসে কড়াইয়ে রস জাল করে লালচে বর্ণের হলেই চিনি ও ময়দা ঢেলে দেয় কড়াইয়ে। তারপর একটু জাল দিলেই চিনি ও ময়দা গুলিয়ে রসের সঙ্গে মিশে তৈরি হচ্ছে গুড়। খেজুর রসের সমপরিমাণ চিনি ও ময়দা মেশানোয় মুনাফা হচ্ছে দ্বিগুন।
উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে আমদানি হওয়া খেজুর গুড়ের ৯৮ ভাগই চিনি ও ময়দা মিশ্রিত গুড়।
বাঘা উপজেলার গুড় ব্যাবসায়ী আমজাদ হোসেন জানান, বর্তমানে হাট-বাজারে আমদানি খেজুর গুড়ের সিংহ ভাগই চিনি মিশ্রিত ভেজাল। আমরা কেনার সময় টের পেলেও কিছু করার থাকে না। কারণ চিনি মিশ্রিত ব্যতীত স্বচ্ছ খেজুর রসের তৈরি গুড় পাওয়া এখন দুষ্কর।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহিন রেজা বলেন, খেজুর রসের সঙ্গে চিনি, ময়দা ও অন্যান্য উপকরণ মেশানো হচ্ছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই চিনি মিশ্রিত ভেজাল গুড় দিয়ে কোন খাদ্যদ্রব্য তৈরি করে খেলে মানবদেহের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রতিকারের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে এর ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা চলছে।
গো নিউজ২৪/আই