ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জে অস্ত্রধারী ব্যক্তিটির পরিচয় মিলেছে


গো নিউজ২৪ | জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০১৮, ০৮:৫৫ এএম
নারায়ণগঞ্জে অস্ত্রধারী ব্যক্তিটির পরিচয় মিলেছে

নারায়ণগঞ্জ শহরে মঙ্গলবার হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও এমপি শামীম ওসমান সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক ব্যক্তিকে অস্ত্র ফাঁকা গুলি করতে দেখা গেছে। 

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তাঁর সমর্থকদের জমায়েতে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করে  আলোচনায় আসেন তিনি। তিনি হচ্ছেঠ নারায়ণগঞ্জ শহরের চাঁদমারী এলাকার বাসিন্দা নিয়াজুল ইসলাম খান।

একসময় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে তিনি এলাকায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ এ কে এম শামীম ওসমানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি এলজিইডির ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ১৯৮৬ সালে এরশাদের সময় নাসিম ওসমান সাংসদ হলে নিয়াজুলের উত্থান হয়। ১৯৮৮ সালে সংঘটিত জোড়া খুনের (কামাল ও কালাম) মামলার আসামি ছিলেন তিনি। ১৯৯৬ সালে শামীম ওসমান সাংসদ নির্বাচিত হলে নিয়াজুল অস্ত্রের লাইসেন্স পান। নিজেকে যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে চলতেন।

নগরের চাঁদমারীতে সেনাবাহিনীর জায়গার বস্তি নিয়ন্ত্রণ করতেন নিয়াজুল ইসলাম। এক-এগারোর সময় সেনাবাহিনী ওই বস্তি উচ্ছেদ করে। এ ছাড়া পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা, ভূমিদস্যুতাসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আছে নিয়াজুলের নাম।

নিয়াজুল ইসলামের ভাই যুবলীগের ক্যাডার নজরুল ইসলাম ওরফে সুইট বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হন। ওই সরকারের আমলে র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত যুবদলের নেতা মমিন উল্লা ওরফে ডেভিড নিয়াজুল ইসলামের আত্মীয়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, শামীম ওসমানের উত্থানের সময়কার চার প্রধান ক্যাডার ছিলেন লাল, সারোয়ার, মাকসুদ ও নিয়াজুল। এর মধ্য প্রথম দুজন অসুস্থ হয় মারা গেছেন। মাকসুদের লাশ পাওয়া গেছে ঢাকায়। জীবিত আছেন কেবল এই অস্ত্রধারী নিয়াজুল।

মঙ্গলবার বিকেল থেকে হকাররা ফুটপাতে বসবে এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন এমপি শামীম ওসমান। শামীম ওসমান হকারদের যেমন বসতে বলেছেন তেমনি যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের হকারদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী কয়েকশ নেতা-কর্মীসহ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের নিয়ে নগর ভবন থেকে পায়ে হেঁটে শহরের চাষাড়ার দিকে রওনা হয়।

শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের জাকির সুপার মার্কেটের সামনের এসে হাজির হলে আইভীর সঙ্গে থাকা কয়েকজন লোক হকারদের সরানোর চেষ্টা করলে প্রথমে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে শামীম ওসমান সমর্থিত নেতা-কর্মী ও মেয়র আইভীর লোকজনদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গো নিউজ২৪/এবি

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা