ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নয় কোটি টাকায় নির্মাণ হচ্ছে পানি শোধনাগার


গো নিউজ২৪ | শরিফুল ইসলাম, নড়াইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০১৮, ১১:৪৫ এএম
নয় কোটি টাকায় নির্মাণ হচ্ছে পানি শোধনাগার

নড়াইলে নয় কোটি টাকা ব্যায়ে বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা পাচ্ছে পৌরবাসী। পানি শোধনাগারের (ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট) এর কাজ প্রায় শেষের দিকে। শুধু বর্জ্য পানি অপসারণের ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ বাকি রয়েছে। এটি চালু হলে পৌর এলাকার বাসীন্দরা বিশুদ্ধ পানি ব্যবহারের নিশ্চয়তা পাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় ২০১৪ সালের অক্টোবর নড়াইল শহরের কুড়িগ্রাম এলাকায় ৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পানি শোধনাগার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। শি-এমটি অ্যান্ড এসএস কনসোর্টিয়াম নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ করছে। এরই মধ্যে পানি শোধনের সব অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, পাম্পসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিকাজ দ্রুত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। তার পরই শোধনাগারটি চালু করা যাবে। এটি নির্মাণ হলে নড়াইল পৌর এলাকার ২ হাজার ৯৪৩ জন গ্রাহকের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের এলাকার মানুষও উপকৃত হবেন বলে জানা গেছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আবুল হাসেম শেখ জানান, পৌরসভার তিনটি পাম্প থেকে পানি এ শোধানাগারে আসবে। এরপর দুবার রাসায়নিক মেশানোসহ মোট ছয়টি ধাপ শেষে পানি শোধন হবে। পানি শোধনের পর বর্জ্য পানি ড্রেনের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে। এ শোধনাগার থেকে ঘণ্টায় ৩৫০ ঘনলিটার পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

নড়াইল পৌরসভার বর্তমানে যে চাহিদা রয়েছে, এটি তার চেয়ে তিন গুণ বেশি। বর্তমানে নড়াইল পৌরসভার ভূগর্ভস্থ পানিতে অতিরিক্ত আয়রন এবং সাপ্লাই পানিতে ময়লা। নতুন প্লান্ট চালু হলে পৌর এলাকার মানুষের বিশুদ্ধ খাবার পানি পাওয়া নিশ্চিত হবে।

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল বাসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, নড়াইলের পানিতে অতিরিক্ত আয়রন, লবণাক্ততা রয়েছে। এ পানি পান করলে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগ হতে পারে। এ পানিতে কাপড়ও নষ্ট হয়ে যায়।

নড়াইল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম কায়েচ জানান, শোধনাগারের বর্জ্য পানি অপসারণের ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে কিছুটা জটিলতা ছিল, এখন কেটে গেছে। ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ড্রেন নির্মাণ করা হবে। সবদিকে ১৩ কিলোমিটার এলাকার মানুষ এ পানির সুবিধা পাবেন। ২০১৯ সালের জুন পর্যন্তু এ প্রল্পের সময় থাকলেও চার মাসের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আশা করছি।

পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস বলেন, প্রথম অবস্থায় পৌরসভার ২ হাজার ৯৪৩ জন গ্রাহক এ বিশুদ্ধ পানির সুবিধা ভোগ করবেন পরবর্তীতে গ্রাহক বাড়বে। দ্রুত কাজ শেষ করে পৌরবাসীর জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা উন্মুক্ত করা হবে বলেও জানান পৌরমেয়র।

গো নিউজ২৪/এবি

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা