ভারতের বিভিন্ন আশ্রমে নারীদের যৌন নিগ্রহের কবর প্রায়ই খবরে আসে। কখনও আশ্রমের স্বামীজি আবার কখনও আশ্রমের কোনো কর্মীদের দ্বারা ঘটে এসব অপকর্ম। এবার খবর পাওয়া গেছে, ভারতের তিরুঅনন্তপুরমের কোল্লামের কাছেই এক আশ্রমের ‘স্বামীজি’, নাম হরি স্বামী এক তরুণকে আটকে রেখে যৌন নির্যাতন করতো।
কিন্তু, গত শুক্রবার রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ হরি স্বামীকে তিরুঅনন্তপুরম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় যে, হাসপাতালে ভর্তির সময় বাবাজির পুরুষাঙ্গ প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষতবিক্ষত ছিল।
ঘটনার তদন্তে নেমে দেশটির পুলিশ জানতে পারে যে বাবাজির এক ভক্তের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। ওই পরিবারের ২৩ বছরের এক সদস্যাই তার পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সেই যুবতী স্বীকারও করেছে এই কথা। যুবতীর কথায় জানা যায় যে, সে যখন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী, তখন থেকেই এই স্বামীজি তাদের বাড়িতে আসত, নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে। এবং তখন থেকেই কোনও অজ্ঞাত কারণে তাকে প্রায় ঘরবন্দি করে রাখা হতো বলে জানিয়েছে যুবতী।
পুলিশকে ওই যুবতী জানায় যে, শুক্রবার রাতে আর সহ্য করতে না পেরে, ছুরির আঘাতে স্বামীজির পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় সে। গত কয়েক বছর ধরে ওই ভণ্ড স্বামীজি তাকে যৌন নিগ্রহ করত বলে জানিয়েছে যুবতী। তাকে উচিৎ শিক্ষা দিতেই এই কাজ করেছে যুবতী।
হরি স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশ স্বতপ্রণোদ্দিত হয়েই মামলা রজু করেছে। তবে, যুবতীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ দায়ের করবে, তা ভেবে পাচ্ছে না পুলিশ।
প্রসঙ্গত, হরি স্বামীর পুরুষাঙ্গে ‘কসমেটিক সার্জারি’ হয়েছে। বর্তমানে সে শারীরিক ভাবে সুস্থ আছে বলে জানা গিয়েছে।
গো নিউজ২৪/এএইচ