ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১

সংলাপে কিছুটা স্বস্তি, প্রয়োজন সমাধান


গো নিউজ২৪ | কামাল আহমেদ প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০১৭, ০৫:৪৮ পিএম আপডেট: অক্টোবর ২০, ২০১৭, ১১:৫১ এএম
সংলাপে কিছুটা স্বস্তি, প্রয়োজন সমাধান

নির্বাচন কমিশন ভবনআগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শেষ হয়েছে, এটা নাগরিক হিসেবে আমাদের সবার জন্য একটি স্বস্তির বিষয়। কমিশন গঠনের পরপরই দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি কমিশনারদের বিষয়ে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, তাতে অনেকের মধ্যেই কিছুটা সংশয় ছিল যে দলটি শেষ পর্যন্ত আলোচনায় অংশ নেবে কি না। তারা অংশও নিয়েছে এবং দলের প্রতিষ্ঠাতা দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন মর্মে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রশস্তিতে কিছুটা উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করেছে। স্বভাবতই আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়ায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ ছিল লক্ষণীয়। সুতরাং আওয়ামী লীগের সঙ্গে কমিশনের সংলাপে কিছুটা উত্তাপ ছড়ানোর আশঙ্কাও ছিল। শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু ঘটেনি—অন্তত প্রকাশ্যে নয়। রুদ্ধদ্বার কক্ষে কী হয়েছে, তা এখনো অজানা।


স্বস্তির আরও একটি কারণ আছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশে ফিরলে গ্রেপ্তার হন কি না, সেটা ছিল একটা বড় প্রশ্ন। হঠাৎ করেই তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কারণে অনেকেই একটু নড়েচড়ে বসেছেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ আদালতের পরোয়ানা তামিল করেনি। পুলিশের আইজি বলেছিলেন যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। এ ধরনের কথা অবশ্য তিনি বা সরকারের অন্য কেউ আগে কখনো বলেছেন বলে শোনা যায়নি। আদালত ঘিরে যে তোলপাড় চলছে, সেই পটভূমিতে পুলিশ (সরকার) আদালতের কথায় চলবে, নাকি তার উল্টোটা হবে, এমন প্রশ্ন করা এখন অর্থহীন। বিএনপির নেত্রীর দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে কোনো ঝামেলা হয়নি, তাতেই স্বস্তি।


আগামী নির্বাচন কেমন হবে, তার একটা সম্ভাব্য ছবি কল্পনা করতে গেলে অনেকের মনেই অজানা আশঙ্কা উঁকি দেয়। এই আশঙ্কা শুধু দেশের ভেতরে নয়, বাইরেও। বুধবার আওয়ামী লীগ যখন নির্বাচন কমিশনে আলোচনায় মগ্ন, সেই একই সময়ে পোশাকশিল্পের মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট রাজনৈতিক সমঝোতার অভাবে আগামী দিনেও নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কার কথা বলেছেন। বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে বার্ষিক বৈশ্বিক মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, সেখানেও বাংলাদেশের বর্তমান শাসনব্যবস্থাকে একদলীয় অভিহিত করে আগামী নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক সমঝোতার প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়েছে। রাজনৈতিক সমঝোতার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার কথা একটি বহুল আলোচিত বিষয়। একটি রাজনৈতিক সংলাপের অভাবেই ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে বিভিন্ন সময়ে আবারও এই সংলাপের প্রসঙ্গ ঘুরেফিরে সামনে এসেছে এবং প্রতিবারই সরকারের পক্ষ থেকে তা নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। কখনো আলোচনার কথা উঠেছে জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে, কখনো রাজনীতির প্রশ্নে, আবার কখনো রোহিঙ্গা সমস্যার প্রশ্নে।


যেকোনো ধরনের সংলাপের প্রশ্নে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অব্যাহত অসম্মতির পটভূমিতে রাজনৈতিক প্রশ্নে, বিশেষ করে ভবিষ্যতে একটি গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের উপায় নিয়ে একটি জাতীয় সংলাপের একটি পর্যায় সম্পন্ন হওয়ার গুরুত্বই আলাদা। হতে পারে এই আলোচনায় দলগুলো মুখোমুখি বসেনি। যে দল দুটি একে অন্যকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে, সেই দুইয়ের মধ্যেও কোনো প্রত্যক্ষ যোগাযোগ হলো না, সে কথাও সত্য। কিন্তু দল দুটির অবস্থান কিছুটা স্পষ্ট হলো। নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক দায়িত্ব যে প্রতিষ্ঠানের, তারা জানতে পারল যে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীদের আস্থায় আনার ক্ষেত্রে বাধাগুলো কী। এখন তাদের সেই বাধাগুলো অপসারণের পথ খুঁজতে হবে। পরোক্ষ সংলাপের ফল মূলত এটিই। এর আগে নির্বাচন কমিশন গঠন প্রশ্নে রাষ্ট্রপতি এসব দলের সঙ্গে আলোচনা করলেও তাতে রাজনৈতিক সমস্যা চিহ্নিত করা বা তা সমাধানের কোনো লক্ষ্য তাঁর ছিল না।


সংলাপের পালা শুরুর আগে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে অভিন্ন যেসব প্রস্তাব আসবে, সেগুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে। তারা আরও বলেছিল যে যেগুলো কমিশনের আওতাধীন, সেগুলো বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর যেগুলো সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক প্রস্তাব, সেগুলো নিয়ে কমিশন আলোচনা করে করণীয় ঠিক করবে। কমিশন সংলাপে পাওয়া প্রস্তাবগুলো সংকলন করে তা বিশদ আকারে প্রকাশ করবে বলেও জানিয়েছিল। আমরা আশা করব, দ্রুতই সেই কাজটুকু করা হবে। আপাতদৃষ্টিতে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রস্তাবগুলো পরস্পরবিরোধী। আওয়ামী লীগ যেখানে বলছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনেই নির্বাচন হবে, বিএনপি সেখানে দাবি করছে একটি নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার। আওয়ামী লীগের কথায় নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, বিএনপি চায় সংসদ নির্বাচনের আগেই ভেঙে যাক।


সংলাপে অংশ নেওয়া ৪০টি দলের মধ্যে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়ার দিকেই পাল্লাটি ভারী বলে মনে হয়। নির্বাচনের সময় সেনা মোতায়েনের প্রয়োজনীয়তা, তার মেয়াদ এবং সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসির ক্ষমতা দেওয়ার প্রশ্নেও এই দুই দলের অবস্থান বিপরীতমুখী। আওয়ামী লীগ বর্তমান সংসদীয় সীমানার ভিত্তিতে নির্বাচন চায়, বিএনপি চায় নতুন করে সীমানাবিন্যাস। আওয়ামী লীগ বলছে, ভোট হওয়া উচিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের সহায়তায়। বিএনপি ইভিএমের বিরুদ্ধে। মোটাদাগে এগুলোই প্রধান বিরোধীয় বিষয়। কিন্তু এর বাইরেও আছে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ দাবি, প্রার্থীদের হলফনামা তুলে দেওয়ার প্রস্তাব, সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের ক্ষেত্রে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা।


হলফনামার বিধান তুলে নেওয়ার মতো দাবি নিয়ে আলোচনার কোনো অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। এটি সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত। বরং এ ধরনের দাবি যে দল উত্থাপন করে, সেই দলের নিবন্ধন স্থগিত করে দেওয়া উচিত। কেননা, এ ধরনের দাবির একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে নাজুক তথ্য ও সত্য গোপন করা। অপরাধমূলক অতীত এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের মতো বিষয়গুলো ভোটারদের চোখের আড়ালে লুকিয়ে রাখার অসৎ উদ্দেশ্যকে প্রশ্রয় দেওয়ার কথা চিন্তাও করা যায় না। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিবেশীদের দিকে তাকালেও তো এ ধরনের মতলববাজ রাজনীতিকদের লজ্জিত হওয়া উচিত। পাকিস্তানে নির্বাচন কমিশন গেল সপ্তাহেই বার্ষিক আয়ের বিবরণী সময়মতো জমা না দেওয়ায় ২৫৬ জন এমপিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। নৈতিকতার বাণী প্রচারে পটু আমাদের রাজনীতিকেরা (দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া) আজ পর্যন্ত তাঁদের হিসাব বিবরণী প্রকাশ করেছেন বলে জানা যায় না। একমাত্র নির্বাচনের সময় হলফনামাতেই তাঁদের সম্পদস্ফীতির কিছুটা আলামত পাওয়া যায়।


পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের জন্য ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ সীমিত বা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবও কোনো সৎ উদ্দেশ্য থেকে করা হয়েছে বলে মানা যাচ্ছে না। আমরা এখানে স্মরণ করতে পারি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের নেতারাই রাজনৈতিক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের যৌক্তিকতা প্রমাণের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন যে এখন সংবাদমাধ্যম স্বাধীন ও উন্মুক্ত। কয়েক ডজন বেসরকারি টিভি চ্যানেলের শত শত ক্যামেরা ভোটকেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে থাকলে কারও পক্ষেই কেন্দ্র দখল, ভোট জালিয়াতি বা অনিয়ম করা সম্ভব হবে না।


গত সাড়ে তিন বছরে আমরা বিভিন্ন উপনির্বাচন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের সিটি নির্বাচনসহ অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সে রকম অনেক কিছুই দেখেছি। সুতরাং সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাবের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। সব দেশের মতোই পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের জন্য নির্বাচনকালীন আচরণবিধি থাকে। আমাদের এখানেও সে রকম আচরণবিধিই যথেষ্ট। পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকেরা কোথাও সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানে বাধা হয়েছেন, এমন অভিযোগ আজ পর্যন্ত ওঠেনি। অভিযোগটি বরং রাজনীতিকদের দিকেই বেশি, বিশেষ করে যাঁরা যেকোনো উপায়ে জিততে মরিয়া।


নির্বাচন কমিশনের সংলাপের ঘাটতির দিকটিও অবশ্য এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ কেন জনচক্ষুর আড়ালে রুদ্ধদ্বার কক্ষে করতে হবে, সেটা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।এ ধরনের রুদ্ধদ্বার আলোচনার বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা মোটেও সুখকর নয়। কেননা, ভেতরে যা হয়, বাইরে তার পুরোটা প্রকাশ পায় না। কখনো কখনো একেবারেই ভিন্ন কথা প্রচার করা হয়। আর যদি অর্ধেক সত্য প্রকাশ পায়, তা আরও নতুন বিতর্কের জন্ম দেয়। রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাঁর স্বাগত বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘এখানে যাঁরা উপস্থিত আছেন, তাঁদের অনেকের কাছ থেকে জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষা নেওয়া, দীক্ষা নেওয়া, অনুপ্রেরণা নেওয়া, পথচলার দিকনির্দেশনা পাওয়ার সুযোগ গ্রহণ করেছি। আজ ভিন্ন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে আপনাদের পরামর্শ, সুপারিশ, সহযোগিতা ও সাহস পুঁজি করে কীভাবে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারি, তার নির্দেশনা গ্রহণ করার জন্য আজকের এই সংলাপের আয়োজন’ (নির্বাচন নিয়ে সিইসি নির্দেশনা চাইলেন আওয়ামী লীগের, কালের কণ্ঠ, ১৯ অক্টোবর ২০১৭)। প্রকাশ্য বক্তব্যেই যখন আওয়ামী লীগের নির্দেশনা গ্রহণের কথা এসেছে, তাহলে রুদ্ধদ্বার কক্ষে কী কী নির্দেশনা কমিশন পেল, সে প্রশ্নও তো উঠতে পারে।


সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশনের ক্ষমতা অনেক, যার কিছুটা আইনে লেখা আছে আর কিছুটা অলিখিত, কিন্তু অন্তর্নিহিত। সুতরাং রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক বিষয়গুলোতেও যে কমিশনের একেবারে কিছুই করার নেই, তেমনটি মনে করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। কমিশন শুধু নির্বাচন আয়োজন ও পরিচালনা করে তা-ই নয়, তারা রাজনৈতিক দলগুলোর নিয়ন্ত্রক বা তদারককারীও বটে, ইংরেজিতে যাকে রেগুলেটর বলা হয়ে থাকে। সুতরাং যেসব রাজনৈতিক দলের ওপর কমিশন খবরদারি করবে, সেসব দলের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও কমিশনের অনেক কিছুই করণীয় আছে। আমরা চাই কমিশন সেই দায়িত্বটুকুও যথাযথভাবে পালন করুক। গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে ন্যূনতম কিছু বিষয়ে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় প্রয়োজনে আরও সংলাপের আয়োজন করুক কমিশন। তবে অবশ্যই সবকিছু হতে হবে স্বচ্ছতার সঙ্গে।

কামাল আহমেদ: সাংবাদিক।

গোনিউজ২৪/কেআর

মতামত বিভাগের আরো খবর
নারীরা,মনের দাসত্ব থেকে আপনারা কবে বের হবেন?

নারীরা,মনের দাসত্ব থেকে আপনারা কবে বের হবেন?

আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা

আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা

সুচন্দার কষ্টে আমরাও সমব্যথী

সুচন্দার কষ্টে আমরাও সমব্যথী

প্রিন্টমিডিয়ার অন্তর-বাহির সংকট

প্রিন্টমিডিয়ার অন্তর-বাহির সংকট

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো দরকার যেসব কারণে

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানো দরকার যেসব কারণে

সিলেটের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

সিলেটের শীর্ষ শিল্প উদ্যোক্তাদের নিয়ে একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ