ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে চাওয়ার কিছু নেই


গো নিউজ২৪ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭, ০২:২৫ পিএম আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭, ১২:৫৭ পিএম
রোহিঙ্গা বিষয়ে ট্রাম্পের কাছে চাওয়ার কিছু নেই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাহায্য করবেন বলে আশা করে না বাংলাদেশ।  কারণ, শরণার্থী নিয়ে নিজের ভাবনা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ট্রাম্প।

সোমবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরআগে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক বৈঠকের ফাঁকে কয়েক মিনিটের জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপ হয় শেখ হাসিনার।

রয়টার্সকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি (ট্রাম্প) জানতে চান, বাংলাদেশের কী অবস্থা? আমি বলি, ভালো। তবে একটাই সমস্যা রয়েছে; মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী। কিন্তু তিনি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থী বিষয়ে ট্রাম্পের অবস্থান তার কাছে স্পষ্ট ছিল। তাই এ বিষয়ে তার কাছে সহায়তা চাওয়ার কোনো মানে নেই।’

রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, তারা কোনো শরণার্থীকে সে দেশে ঢুকতে দেবে না। আমি তাদের কাছ থেকে কী আশা করতে পারি, বিশেষ করে সে দেশের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে? তিনি (ট্রাম্প) এর মধ্যেই তার মনোভাব প্রকাশ করেছেন...তাহলে আর কেন সাহায্য চাইব?’

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ধনী দেশ নয়...কিন্তু যদি আমরা ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারি, তাহলে আরও ৫০০ অথবা সাত লাখ মানুষকেও খাওয়াতে পারব।’

দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থীবিষয়ক কর্মসূচিতে ১২০ দিনের স্থগিতাদেশ দেওয়ার চেষ্টা করেন। মুসলিম-অধ্যুষিত ছয়টি দেশের মানুষকে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে ৯০ দিন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন। গত শুক্রবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরও বিস্তৃত, কঠোর ও সুনির্দিষ্ট করা উচিত।’

ট্রাম্প বলেছেন, সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি প্রয়োজন। আগামী মাসে ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাবিষয়ক নির্বাহী আদেশের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

রয়টার্স বলছে, সাম্প্রতিক সহিংসতা পর্যন্ত রাখাইন রাজ্যে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস ছিল। তাদের বেশির ভাগেরই চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মিয়ানমারে তাদের নাগরিকত্বও দেওয়া হয়নি। স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনেকে তাদের বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করে।

শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর তিনি আরও আন্তর্জাতিক চাপ দেখতে চান।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘(মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে) মানতে হবে যে এই মানুষগুলো তার দেশের এবং মিয়ানমারই তাদের দেশ। তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। এই মানুষগুলো দুর্ভোগে রয়েছে।’

প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।  এই ঘটনার পর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে।  এরপর প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে ছুটে আসতে থাকে রোহিঙ্গারা।  ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৪ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।  অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে আরও লাখ লাখ রোহিঙ্গা।

২০১৬ সালের অক্টোবর মাসেও দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালায় দেশটির সেনাবাহিনী।  সে সময় সহিংসতার শিকার হয়ে প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।  এর আগে ২০১২ সালের জুনেও রাখাইন রাজ্য সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় আক্রান্ত হয়েছিল।  তখন প্রায় ২০০ রোহিঙ্গা নিহত হন।  ওই সময় দাঙ্গার কবলে পড়ে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।

গোনিউজ২৪/এমবি

জাতীয় বিভাগের আরো খবর
টয়লেটসহ একাধিক সুবিধা নিয়ে দেশে আসছে ছাদখোলা দোতলা ট্যুরিস্ট বাস

টয়লেটসহ একাধিক সুবিধা নিয়ে দেশে আসছে ছাদখোলা দোতলা ট্যুরিস্ট বাস

‘রপ্তানিযোগ্য হারবাল প্রডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা

‘রপ্তানিযোগ্য হারবাল প্রডাক্টের উৎপাদন প্রক্রিয়া ও মান উন্নয়ন’ প্রশিক্ষণ কর্মশালা

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

পাঠ্যবইয়ের সংশোধনসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

শাহজালাল বিমানবন্দরে মাসুদের কাছে পাওয়া গেল ৩ কেজি সোনা

শাহজালাল বিমানবন্দরে মাসুদের কাছে পাওয়া গেল ৩ কেজি সোনা

ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!

ইজতেমায় এক বদনা পানি ১০ টাকা!

হজে যাওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় সময় বাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়

হজে যাওয়ার মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না, দফায় দফায় সময় বাড়াচ্ছে মন্ত্রণালয়