ইসলাম ধর্ম সব ধরনের অহংকার থেকে মুক্ত থাকার তাগিদ দিয়েছে। তারপরও আমরা শুধু অহংকারই নয় আরও ভয়াবহ অনেক পাপ কাজ করে যাচ্ছি। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যার অন্তরে অণু পরিমাণও অহংকার আছে সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
এক ব্যক্তি বললেন, মানুষ চায় যে তার ব্যবহারের পোশাক সুন্দর হোক, তার জুতা সুন্দর হোক। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন আল্লাহ সৌন্দর্যময় এবং তিনি সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন। সত্যকে অস্বীকার করা এবং মানুষকে তুচ্ছজ্ঞান করা হচ্ছে অহংকার।(মুসলিম ও মিশকাত শরিফ)
ইসলাম বিলাসিতা বর্জনের তাগিদ দেয়। কিন্তু তার অর্থ নিজেকে সব থেকে গুটিয়ে নেয়া নয়। বৈধ সীমার মধ্যে অবস্থান করে কোনো ব্যক্তি নিজের পদমর্যাদা অনুযায়ী, পোশাক ও বাড়িঘরে সৌন্দর্য অবলম্বন করবে। তবে তাকে গর্ব-অহংকারের অপবাদ দেয়া যাবে না। পার্থিব আরাম-আয়েশ ও ভোগ-বিলাসে মত্ত হয়ে আল্লাহর অধিকার ও মানুষের অধিকার পদদলিত করার নাম হচ্ছে অহংকার।
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট একজন সাহাবি খুবই নিম্নমানের পোশাক পরে আসলেন। তখন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার কি ধনসম্পদ আছে? ওই সাহাবি বললেন হ্যাঁ আছে। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে ফের জিজ্ঞাসা করলেন কী ধরনের সম্পদ আছে? ওই সাহাবি বললেন উট, গরু, ঘোড়া, মেষ, বকরি, দাস-দাসী, যাবতীয় প্রকারের ধন-সম্পদ আল্লাহ আমাকে দান করেছেন।
তখন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, আল্লাহ যখন তোমাকে ধন-সম্পদ দান করেছেন, তখন তার নিয়ামত ও অনুগ্রহের নিদর্শন অবশ্যই তোমার দেহে প্রকাশ পাওয়া উচিত।(নাসায়ী শরিফ)
তাহলে উল্লেখিত হাদিস দু’টি দ্বারা বোঝা গেলো যে, ধন-সম্পদ, বংশ মর্যাদা অথবা পদমর্যাদার কারণে অহংকার করা যাবে না। পক্ষান্তরে ধন-সম্পদ থাকা সত্ত্বেও নোংরা অবস্থায় ভিক্ষুকের ন্যায় চলা যাবে না।
গো নিউজ২৪/এএইচ