আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের ব্যস্ততম বাস স্টেশনে ঘটা বিস্ফোরণের ঘটনায় এক 'বাংলাদেশী অভিবাসী'র নাম উঠে এসেছে। ওউ যুবক তার গায়ে-বাঁধা একটি 'নিম্নস্তরের-প্রযুক্তিতে' তৈরি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণে আক্রমণকারীসহ চার জন আহত হয়।
সন্দেহভাজন এই ২৭ বছর বয়স্ক যুবকের নাম আকায়েদ উল্লাহ বলে পুলিশ বলছে। নিউ ইয়র্ক টাইমস সহ একাধিক মার্কিণ সংবাদ মাধ্যম পুলিশকে উদ্ধৃত করে বলছে, আকায়েদউল্লাহ একজন বাংলাদেশী অভিবাসী এবং ব্রুকলিন এলাকার বাসিন্দা।
নিউইয়র্ক থেকে একজন সাংবাদিক লাভলু আনসার বিবিসিকে জানান, আকায়েদ উল্লাহ ব্রকলিনের ফ্ল্যাটল্যান্ডস এলাকায় থাকতো । তার বাড়িটি এখন ঘেরাও করে রাখা হয়েছে।
ব্রুকলিনে আকায়েদ ও তার পরিবার যে ভবনে থাকেন, তার পাশেই একটি আবাসিক ভবনের মালিক অ্যালান বুটরিকো। আকায়েদ বেসমেন্টে থাকেন বলে জানিয়েছেন তিনি। আকায়েদের বোন একতলায় এবং তার ভাই দোতলায় থাকেন। প্রতিবেশীরা বুটরিকোকে জানিয়েছেন, গত দুই রাতে তারা আকায়েদদের ভবন থেকে চিৎকার-চেচামেচির শব্দ শুনেছেন।
বাংলাদেশে আকায়েদের বাড়িঘর বা ঠিকানা কোথায়- সে সম্পর্কে সিএনএনের খবরে কিছু বলা হয়নি। তবে রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, আকায়েদের বাড়ি চট্টগ্রামে। সেপ্টেম্বর মাসে শেষবার দেশে এসেছিলেন তিনি। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে এম শহীদুল হকের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, বাংলাদেশে তার সন্ত্রাসে জড়িত থাকার কোনো তথ্য নেই।
এদিকে, এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাঙ্গালিদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই অভিবাসিরা এমনিতেই আতঙ্কে, তারমধ্যেই এ ঘটনা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
তবে, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ। ওই হামলার নিন্দা জানিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে দেয়া এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতির প্রতি বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ সরকার নিউইয়র্ক সিটিতে সোমবারের ঘটনাসহ বিশ্বের যে কোনও স্থানে যে কোনও ধরনের সন্ত্রাস ও সহিংস উগ্রবাদের নিন্দা জানায়’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ধর্ম কিংবা জাতিগত পরিচয় যাই হোক না কেন একজন সন্ত্রাসীর পরিচয় হলো সন্ত্রাসী। তাকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে’।
গো নিউজ২৪/এবি