কম্পিউটার গেমসে হেরে যাবার ফলে সৎ মেয়েকে ছুড়ে ফেলে দিলেন বাবা। দুই বছরের শিশু উড়ে গিয়ে দরজায় পড়ে এবং মারা যায়। এভাবেই ঘটনার বৃত্তান্ত জানাল পুলিশ।
২৪ বছর বয়সী জিমন জোজস্কি কম্পিউটারে গেমস খেলছিলেন। হঠাৎ করে সে অনেক বেশি রেগে যায়, তখন তার পাশে শিশুটি ছিল। জিমন তার মেয়ে লিলকাকে সাথে সাথে সামনে পেয়ে দরজার দিকে ছুড়ে মারে। দরজাটি সম্পূর্ণ লোহার তৈরি ছিল।
তবে সেই মুহূর্তে শিশু জ্ঞান হারায় নি। তবে মেয়েটির সকল ধরণের খাবার খাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ঘটনার দুইদিন পর ২৪ বছর বয়সী মা এঞ্জেলিকা তার মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে তিনি ডাক্তারকে সত্য কথা জানায় নি।
তৃতীয় দিন ডাক্তার শিশুকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটি মারা যায়। পোল্যান্ডের একটি শহরে লিলকা তার মা এবং সৎ বাবার সাথে একত্রে থাকতেন।
প্রসিকিউটর জানান, শিশুটির মাথা ও মেরুদণ্ডের হাড়ের মাঝে ফাটল দেখা যায়। মস্তিষ্কেও রক্তক্ষরণ হচ্ছিল শিশুটির। এর আগেও শিশুটিকে বারবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার শরীরে প্রায়ই বিভিন্ন ক্ষতের চিহ্ন দেখা যায়।
মেয়েকে ছুড়ে ফেলে দিলেও মা তা স্বীকার করে নি। তিনি সবসময় বলে বেড়িয়েছেন, শিশুটি খুব চঞ্চল ছিলেন। তাই একেকদিকে হাঁটাহাঁটি করে শুধু নিজে নিজে ব্যাথা পেত।
অবশেষে মা মুখ খুলে সব বলেন। তিনি জানান, তার স্বামী প্রায়ই সবাইকে মারধর করে। তাদের আরও এক মেয়ে এবং স্ত্রীকেও বকা দিতেন। তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ খোঁজ করা হচ্ছে। তার ১২ বছরের শাস্তি হতে পারে।-সূত্রঃ মেট্রো।
