ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত


গো নিউজ২৪ | নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ২১, ২০১৭, ১১:৩৩ এএম
ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত

ফাইল ছবি

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি উল্লেখিত সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে এ বিষয়ে নিয়মিত আপিল করতে বলেছেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মোবাইল কোর্ট চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম।

এদিন আদালতে অ্যাটর্নি জেনারেল আপিলের পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়ে বলেন, মোবাইল কোর্ট বন্ধ থাকাতে গত চারদিনে দিনাজপুরে ৩৭টি বাল্যবিবাহ হয়েছে। মোবাইল কোর্ট না থাকাতে মারাত্মক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

তিনটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১১ মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। সংবিধানের সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের ধারা ও উপধারাসহ ১১টি বিধান সাংঘর্ষিক জানিয়ে রায়ে বলা হয়, এসব বিধানের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া সংবিধানের লঙ্ঘন এবং তা বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় সন্মুখ আঘাত। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাঠামো রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে (নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগ) ক্ষমতার পৃথকীকরণ-সংক্রান্ত সংবিধানের দুটি মৌলিক কাঠামোরও বিরোধী।

পরে হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে গত রোবকবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষে। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে সেদিনে চেম্বার বিচারপতির আদালত হাইকোর্টের রায় ১৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, এসথেটিক প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা ও উপধারা চ্যালেঞ্জ করে ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর হাইকোর্টে একটি রিট করেন। ওই বছরের ১৯ অক্টোবর হাইকোর্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ আইনটির কয়েকটি বিধান কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একই বছর ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০১১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর টয়েনবি সার্কুলার রোডের বাসিন্দা মজিবুর রহমানকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের বিধান চ্যালেঞ্জ ও অর্থ ফেরতের নির্দেশনা চেয়ে তিনি রিট করলে হাইকোর্ট রুল জারিসহ সাজার আদেশ স্থগিত করেন। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের কয়েকটি বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১২ সালে ২ মে দিনাজপুরের বেকারি মালিকদের পক্ষে মো. সাইফুল্লাহসহ ১৭ জন তৃতীয় রিটটি করেন। ওই রিটের ওপর ওই বছরের ৮ মে হাইকোর্ট রুল জারিসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। পৃথক তিনটি রিটের ওপর হাইকোর্টের রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ১১ মে রায় দেন হাইকোর্ট। 

গো নিউজ ২৪

আইন-আদালত বিভাগের আরো খবর
জামিন পেলেন মামুনুল হক

জামিন পেলেন মামুনুল হক

৫ মিনিটের মধ্যেই জামিন পেলেন ড. ইউনূস

৫ মিনিটের মধ্যেই জামিন পেলেন ড. ইউনূস

নোবেলজয়ী  ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড

নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড

‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না’

‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না’

দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে হাইকোর্ট

দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে হাইকোর্ট

ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ বিএনপি নেতার চার বছরের কারাদণ্ড

ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ বিএনপি নেতার চার বছরের কারাদণ্ড