পারিশ্রমিক কত? এর সঠিক হিসেব দেওয়া সম্ভব নয়! সময়ের পরিবর্তনে তারকারা তাদের ইচ্ছেমতো পারিশ্রমিক হাকিয়ে থাকেন। এর জন্য নেই নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম বা নীতিমালা। এই মুহূর্তে বেশ কিছু নাট্যসংগঠনের তৎপরতা দেখা গেলেও এ বিষয়ে আসলে তাদের পদক্ষেপ কী তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। পারিশ্রমিকটা যে যত হাকিয়ে তুলতে পারে, এটাই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। আবার টিভি পর্দা হলেও বিজ্ঞাপন ও নাটকের আলাদা পারিশ্রমিক। নাটকের চেয়ে কয়েকগুন পারিশ্রমিক তোলেন বিজ্ঞাপনে।
এ সময়কার আলোচিত ও জনপ্রিয় টিভি অভিনয় শিল্পীরা কে কতো টাকা করে পারিশ্রমিক হাকাচ্ছেন সেটাই তুলে আনার চেষ্টা করেছেন এই প্রতিবেদক। তাহলে দেখে নিন আপনার পছন্দের তারকার পারিশ্রমিক কতো।
জাহিদ হাসানঃ
এক ঘন্টার নাটকে অভিনয় করা মানেই জাহিদ হাসানের পকেটে অর্ধ লক্ষ টাকা। এদিক থেকে টেলিছবিতে আরো ১০ থেকে ২০ হাজার বাড়িয়ে দেন তিনি। আর ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে প্রতি দিন জাহিদ হাসানকে প্রযোজকের দেওয়া লাগে ১০-১৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক।
মোশাররফ করিমঃ
এক ঘণ্টার নাটকের জন্য মোশারফ জাহিদ হাসানের থেকে একটু কম পারিশ্রমিক নিয়ে থাকনে বলে খবর রয়েছে। তিনি এক ঘন্টার নাটকের জন্য পারিশ্রমিক নেন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। তবে এই অভিনেতা এক ঘন্টার নাটকের জন্য একদিনের বেশি সময় দেন না নির্মাতাকে। টেলিফিল্মের বেলায় সময়টা একটু বেশি দিলেও পারিশ্রমিকও হাকান এক ঘন্টার নাটকের চেয়ে দ্বিগুণ। আর ধারাবাহিক নাটকের ক্ষেত্রে প্রতিদিন মোশাররফকে দিতে হয় ২০ হাজার টাকা। তবে সম্পর্কের খাতিরে মাঝে মধ্যে এর থেকেও কমে ক্যামেরার সামনে দাড়িয়ে থাকেন এই অভিনেতা। বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে মোশাররফ পারিশ্রমিক দাবি করেন ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
চঞ্চল চৌধুরীঃ
চঞ্চলকে ধারাবাহিক নাটকের জন্য দিন প্রতি প্রযোজককে গুনতে হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। আর এক ঘন্টার নাটক বা টেলিফিল্মের জন্য তিনি মোশাররফ করিমের মতোই পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন বলে খবর রয়েছে টিভি পর্দার নির্মাতাদের কাছে। তবে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে মোশাররফের চেয়ে একটু কম পারিশ্রমিক দাবি করেন চঞ্চল। বিজ্ঞাপন প্রতি ৫ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নেন ‘আয়নাবাজি’র এ অভিনেতা।
অপূর্বঃ
টিভি পর্দায় এ সময়ে সবচেয়ে আলোচিত অভিনেতা অপূর্ব। বিশেষ করে গত দুই ঈদের আলোচিত নাটক তার পারিশ্রমিক করেছে আকাশচুম্বী। জানা যায়, ব্যাচ ২৭ টেলিফিল্মের জন্য ৩ লক্ষ টাকা হাকিয়েছেন এই অভিনেতা। একই ঈদে প্রচার হওয়া আলোচিত নাটক ‘বড় ছেলে’র পর সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন অপূর্ব। এখন তিনি টেলিছবির জন্য ১ লক্ষ ও এক ঘন্টার নাটকের জন্য ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন প্রযোজকদের কাছে।
মাহফুজ আহমেদঃ
বেশ কিছুদিন ধরে অভিনয়ে অনিয়মিত এই অভিনেতা। মাঝে মধ্যে খন্ড নাটকে হাজির হলেও ধারাবাহিক নাটকে তাকে একেবারেই দেখা যায় না বললেই চলে। খন্ড নাটকের জন্য মাহফুজের পরিশ্রমিক ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা রাখেন প্রযোজক। আর টেলিছবির জন্য এই অভিনেতাকে দেওয়া লাগে ৭০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক।
তৌকীর আহমেদঃ
তৌকির আহমেদ এখন অভিনয়ের চেয়ে নির্মাণে বেশি ব্যস্ত। ইতোমধ্যেই এই অভিনেতার পরিচালনায় অসংখ্য নাটক প্রচার হয়েছে। শুধু নাটকই নয়, তৌকীর ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রও নির্শাণ করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যে এই নির্মাতার ‘হালদা’ নামের একটি ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। তিনি বর্তমানে নির্মাণের পাশাপাশি অভিনয় করে থাকেন। এ দিকে এক ঘণ্টার নাটকের জন্য ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। ধারাবাহিকের জন্য তৌকীরকে প্রতি দিনে দিতে হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক।
সজলঃ
বেশ কিছু দিন ধওে কোনো ধারাবাহিকে অভিনয় করতে দেখা যায় না সজলকে। তবে খন্ড নাটকে তার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। কারণ বিশেষ বিশেষ দিতে সজলের খন্ড নাটকের সংখ্যা থাকে অন্যান্য শিল্পীর চেয়ে কয়েকগুণ। সজল খন্ড নাটকের জন্য পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন ৩০ হাজার টাকা করে।
শহীদুজ্জামান সেলিমঃ
তিনি সাধারণত এক ঘন্টার নাটকের জন্য প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন।
আফরান নিশোঃ
এক ঘণ্টার নাটকের জন্য প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা নেন এই অভিনেতা। আর ধারাবাহিকের জন্য হাকান ১০ হাজার টাকা।
গো নিউজ২৪/ডিদি/এসপি
