৯০ এবং ২০০০ দশকের জনপ্রিয় নায়িকা পপি ও পূর্ণিমার বর্তমানে চলচ্চিত্র চিত্রটার মাঝে কোন ব্যবধান নেই। তাদের অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশ মিল খুঁজে পাওয়া যায়। উভয় চলচ্চিত্রে প্রায় একযুগ ধরে নিয়মিত অভিনয় করছেন না। চলচ্চিত্রে নেই তাদের ব্যস্ততা।
পপি-পূর্ণিমার বর্তমানে চলচ্চিত্রে প্রায় একযুগ ধরে নিয়মিত অভিনয় করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কাছে অতীতের জনপ্রিয় উক্ত দুই নায়িকার কদর নেই। তাই চলচ্চিত্রে ব্যস্ততাও নেই। অবশ্য বিয়ের পর পূর্ণিমা ঘোষণা দিয়েছিলেন, চলচ্চিত্রে আর তার পক্ষে অভিনয় করা সম্ভব নয়। কিন্তু বিয়ের পর তিন বছর পর পূর্ণিমা পুনরায় চলচ্চিত্রে অভিনয় করার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেন।
অপরদিকে, যদিও পপি বিদায়ের ঘোষণা দেননি, তারপরেও একাধিক কারণে পপি চলচ্চিত্র থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়েন। অবশ্য উভয়েই মিনি পর্দাতে নিয়মিত না হলেও বছরে একাধিক নাটক কিংবা টেলিফিল্মে অভিনয় করতে দেখা যায়। পাশাপাশি নতুন বিজ্ঞাপন চিত্রেও অভিনয় করতে দেখা যায়।
বর্তমানে ৯০ দশকের জনপ্রিয় নায়িকাদের মধ্যে মৌসুমী প্রতি বছরে ৩/৪টি ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায়। পপি-মৌসুমী নির্মাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ না করলেও সম্প্রতি মৌসুমী কিন্তু ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের সঠিক মূল্যায়ণ করা হয় না বলে। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায়, পপি এবং পূর্ণিমা উভয়ে নতুন একটি করে ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এ বিষয়ে দু’জনের সঙ্গে সেল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি। পূর্ণিমার সেল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে। আর পপি ফোন রিসিভ করেননি।
পপি হয়তো ভাবছে তার বিয়ের প্রসঙ্গে কথা বলবো। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে পপি তো সরাসরি এক প্রতিবেদককে বললেন, মৃত্যুর আগে বিয়ে করবো তখন আপনাকে জানাবো। যা-হোক পপি-পূর্ণিমা উভয়েই ভাল অভিনেত্রী। পপিতো একাধিকবার জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছেন। দু’জনের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে এমন ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে তা কি ভাবা যায়? অবশ্য এর জন্য কেউ-কেউ নয়, অনেকেই বলেন তাদের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারের এমন দশা হওয়ার জন্য উভয়েই দায়ী?
