ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এরশাদের রাডার ক্রয় দুর্নীতি মামলার রিভিউ খারিজ


গো নিউজ২৪ | গো নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০১৭, ০১:১২ পিএম আপডেট: মার্চ ২০, ২০১৭, ০৭:১২ এএম
এরশাদের রাডার ক্রয় দুর্নীতি মামলার রিভিউ খারিজ

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে রাডার ক্রয় সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সাক্ষীদের জবানবন্দি নতুন করে গ্রহণ করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে দুদকের রিভিউ খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র ‍কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

এর আগে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ নভেম্বর এরশাদের বিরুদ্ধে রাডার কেনা সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সাক্ষীদের নিরীক্ষা এবং বিচারিক কার্যক্রম আগামী বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন মামলার আসামি বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান সুলতান মাহমুদ।

ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের এ আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করে দুদক। সোমবার সে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।

এরশাদের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলায় তার শাসনামলে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিন কোম্পানির রাডার কিনে রাষ্ট্রের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয় মামলাটিতে।

১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো (বর্তমানে দুদক) মামলাটি দায়েরের পর ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট এরশাদসহ চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম সুপ্রিম কোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণে কোনো বাধা না থাকলেও ২০০৯ সাল পর্যন্ত তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো বাদী আলী হায়দারকে আদালতে হাজির করেনি।

মামলার ১৮ বছর পর ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট শুরু হয় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ।২০১২ সালের ১ মার্চ বাদীর সাক্ষ্য শেষ হয়। ২০১৪ সালের ১৫ মে এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন এরশাদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে লিখিত বক্তব্য দেন।  সেদিন অন্য দুই আসামি বিমানবাহিনীর সাবেক দুই শীর্ষ কর্মকর্তা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ও সুলতান মাহমুদও নিজেদের নির্দোষ দাবি করে বক্তব্য দেন। তবে অন্য আসামি এ কে এম মুসা শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন।

আলোচিত এ মামলায় মোট ৩৮ জন সাক্ষী ছিলেন। এর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নিয়ে মামলাটি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য রাখা হয়। এরপর দুদক বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্য নিতে আবেদন জানালে বিচারিক আদালত তা খারিজ করে দেন।

গো নিউজ ২৪

আইন-আদালত বিভাগের আরো খবর
জামিন পেলেন মামুনুল হক

জামিন পেলেন মামুনুল হক

৫ মিনিটের মধ্যেই জামিন পেলেন ড. ইউনূস

৫ মিনিটের মধ্যেই জামিন পেলেন ড. ইউনূস

নোবেলজয়ী  ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড

নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের ৬ মাসের কারাদণ্ড

‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না’

‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না’

দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে হাইকোর্ট

দেশটা তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে হাইকোর্ট

ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ বিএনপি নেতার চার বছরের কারাদণ্ড

ভাইস চেয়ারম্যানসহ ১৫ বিএনপি নেতার চার বছরের কারাদণ্ড