তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে হেরে ব্যাকফুটে মাশরাফির দল। তাই বুধবারের ম্যাচটিতে অর্থাৎ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জেতার কোনো বিকল্প নেই তাদের। তবে ডি ভিলিয়ার্স ও আমলার ব্যাটিং ঝড়ে স্বাগতিকদের গড়া পাহাড়সম রান টপকানো কঠিন হয়ে যাবে বাংলাদেশের জন্য।
পার্লের ম্যাচটিতে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তোজা। আমন্ত্রণে স্বাগতিকদের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন আমলা ও ডি কক। শুরুতেই দুজনে বেশ ভালোভাবে এগোতে থাকে। তবে দলীয় ১৮তম ওভারে দুই উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান সাকিব। ওপেনার কুইন্টন ডি কককে (৪৬) তৃতীয় বলে এলবির ফাঁদে ফেলেন তিনি। এরপর ওভারের শেষ বলে প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিসকে (০) সরাসরি বোল্ড করেন ডু প্লেসিসের পথ ধরাতে সাহায্য করেন সাকিব।
এরপর ইনিংসের ২০তম ওভারে ফের নায়ক রূপে আগমন হয় সাকিবের। ডি ভিলিয়ার্সকে সহজ ফাঁদে ফেলেন তিনি। কিন্তু সেই ফাঁদে পা দিয়েও প্রাণে বেঁচে যান ভিলিয়ার্স। স্লিপে বলটি উড়লেও তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন নাসির। এতে ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন এবিডি। শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ার সেরা ১৭৬ রান সংগ্রহ করেন তিনি।
এরপর ৪৪ ওভারে মাশরাফির গতি সামলাতে না পেরে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন ডুমিনি। কিন্তু এই সহজ ক্যাচটিও নিতে পারেননি ইমরুল। হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো বলটি কেন যে মিস করলেন টাইগার দলের এই ওপেনার হয়তো নিজেই উত্তর খুঁজে পাবেন না।
এখন কথা হলো, এই দুই উইকেটের একটি উইকেট যদি বাংলাদেশ পেতো তবে অবশ্যই আরো কিছু রান কম হতো স্বাগতিকদের।
গোনিউজ২৪/এআর