ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

তিন পুলিশের ভিক্ষুক মায়ের দায়িত্ব নিলেন এমপি টিপু সুলতান


গো নিউজ২৪ | বরিশাল প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৭, ০৭:০৪ পিএম
তিন পুলিশের ভিক্ষুক মায়ের দায়িত্ব নিলেন এমপি টিপু সুলতান

ছয় সন্তানের জননী মনোয়ারা বেগম। বড় ছেলে ফারুক হোসেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই), মেজ ছেলে মো. জসিম উদ্দিন পুলিশ সদস্য ও ছোট ছেলে নেছার উদ্দিনও পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)। অন্য দুই ছেলে শাহাবউদ্দিন ব্যবসা এবং গিয়াস উদ্দিন ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। মনোয়ারা বেগমের একমাত্র মেয়ে মরিয়ম সুলতানা একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

কিন্তু গর্ভধারিণী মাকে আজ দু’বেলা খাবারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করতে হচ্ছে। বয়সের ভার আর অসুস্থতার কারণে ভিক্ষা করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে মনোয়ারা বেগমের জন্য।

সত্তরোর্ধ্ব অসুস্থ মনোয়ারা বেগমকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মো. টিপু সুলতানের উদ্যোগে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ওই মায়ের চিকিৎসাসহ যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করবেন।

এর আগে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মো. টিপু সুলতানের নির্দেশে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিপক কুমার রায় মনোয়ারা বেগমের বাড়িতে যান। এরপর চিকিৎসার জন্য অসুস্থ মনোয়ারা বেগমকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠান।

এদিকে ঘটনাটি জানতে পেরে মনোয়ারা বেগমের উন্নত চিকিৎসার পাশাপাশি বৃদ্ধা মায়ের প্রতি অবহেলার কারণে পুলিশ কর্মকর্তা তিন ছেলে এবং শিক্ষিকা মেয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বরিশাল জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ইউএনও’র সঙ্গে কথা বলেছেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মো. টিপু সুলতান।

বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিপক কুমার রায় জানান, মায়ের প্রতি অবহেলার কারণে মনোয়ারা বেগমের মেয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ভূতেরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মরিয়ম সুলতানাকে শোকজ করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, স্বামী বেঁচে থাকা অবস্থায় ছয় সন্তান নিয়ে ভালোভাবেই দিন কেটেছে আইয়ুব আলী সরদার ও মনোয়ারা দম্পতির। ২০১৪ সালে আইয়ুব আলী সরদার মৃত্যুবরণ করেন। সংসারে টানাটানি থাকলেও ছয় সন্তানকে কমবেশি শিক্ষিত করে গড়ে তুলেছেন। তিন ছেলে পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করেন।

কিন্তু গর্ভধারিণী মাকে আজ দুইবেলা খাবারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করতে হচ্ছে। বয়সের ভার আর অসুস্থতার কারণে ভিক্ষা করাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে মনোয়ারা বেগমের জন্য। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ভিক্ষা করতে গিয়ে পা ফসকে পড়ে গিয়ে পায়ের হাড় ভেঙে যায় তার। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বাবুগঞ্জে স্টিল ব্রিজের পশ্চিম প্রান্তের একটি ঝুপড়ি ঘরে বিনা চিকিৎসায় অর্ধাহারে বেঁচে আছেন তিনি।

গো নিউজ২৪/এবি

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা