ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রেপ্তারকৃত ৩ জেএমবির টার্গেট ছিল একুশে ফেব্রুয়ারি! 


গো নিউজ২৪ | গো নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭, ০৫:৪৯ পিএম আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭, ১১:৪৯ এএম
গ্রেপ্তারকৃত ৩ জেএমবির টার্গেট ছিল একুশে ফেব্রুয়ারি! 

নারায়ণগঞ্জ: জেলার সোনারগাঁও থেকে গ্রেপ্তারকৃত তিন জেএমবি সদস্য একুশে ফেব্রুয়ারিতে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল বলে জানায় র‌্যাব। র‌্যাব বলছে, তিনজনই অস্ত্র প্রশিক্ষণে পারদর্শী।

সোমবার ভোর ৪টা থেকে পৌনে ৬টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার কাঁচপুর ও মোগড়াপাড়া এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তারের করে। এর পর দুপুর ২টায় র‌্যাব-১১ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে আদ্যোপান্ত তুলে ধরা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-ময়মনসিং জেলার মুক্তগাছা থানার মো. মোস্তফা (২৫), একই জেলার ফুলবাড়িয়া থানার আবু রায়হান ওরফে হিমেল (২৪) ও ঢাকার ধামরাইয়ের মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে শাহীন (২১)।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ৭টি জিহাদি বই, ৪৬টি লিফলেট, ৫টি চাকু ও চাপাতি, ৫টি ককটেল, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও ২টি স্কচটেপ উদ্ধার করা হয়েছে। 

র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই জেমএবিতে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তারা জেএমবির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন আমির এবং শায়েখ আব্দুর রহমানের অনুসারী। তিনজন নিজ নিজ এলাকা ও এলাকার বাইরেও সাংগঠনিক বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করে সংগঠনের কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলেন। আমাদের প্রাথমিক ধারণা, হয়তো একুশে ফেব্রুয়ারিতে কোনো নাশকতার উদ্দেশ্য ছিল।

র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আবু রায়হান ওরফে হিমেল বর্তমানে আড়াইহাজারে সরকারি সফর আলী কলেজে সমাজকর্ম বিষয়ে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। ২০১৪ সালের শেষের দিকে তিনি জনৈক তৌহিদের মাধ্যমে জেএমবিতে যোগ দেন। তৌহিদের মাধ্যমে জেএমবির অপর সদস্য সাকিবের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সাকিবের মাধ্যমে অন্যান্য জেএমবির সদস্য আকাশ, রোকন ও আমিনদের পরিচয় হয়। 

২০১৫ সালের শেষের দিকে তিনি চট্টগ্রামে অস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রম চালান।

অপরজন মো. মোস্তফা। তিনি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করে তার এলাকার মাদরাসায় ভর্তি হন কিন্তু সংসারের অভাব অনটনের কারণে পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৩ সালের শেষের দিকে তিনি নব্য মুসলিম হাসমত নামে একজন অপরিচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে ধর্মীয় বিষয়ে দীক্ষিত হয়। তখন থেকে নিয়মিত এলাকায় বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ ও জিহাদে উদ্বুদ্ধ হয়। 

এরপর ২০১৪ সালের শেষের দিকে তার নিজ গ্রামের সাকিবের মাধ্যমে জেএমবিতে যোগদান করেন। ২০১৫ সালের প্রথম দিকে সাকিবের মাধ্যমে গাজীপুর শালবাড়ী ও শালনা এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় তিনিসহ মোট ছয়জন মিলে ২৫ দিনের জিহাদি প্রশিক্ষণ নেন। সাকিবের মাধ্যমে তিনি মোবাইলে ধর্মীয় উগ্রবাদের ভিডিও ও লেকচার পেতেন। তিনি ২০১৫ সালের শেষের দিকে চট্টগ্রামে অস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে শাহীন ধামরাইয়েল শরফ বাগ ইসলামিয়া কামেল মাদরাসা থেকে নবম শ্রেণি পাশ করেন। তিনি ২০১৫ সালের প্রথম দিকে কাঠমিস্ত্রির কাজ করার জন্য ঘাটাইলে একটি কাঠের দোকানে কাজ নেন। ২০১৫ সালে মোস্তফা ও সাকিবের মাধ্যমে সংগঠনে যোগদান করেন এবং সংগঠনের সিদ্ধান্তে তিনি গ্রেপ্তারকৃত মোস্তফার শ্যালিকাকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে তিনি বাটা জুতার কোম্পানিতে কিছুদিন কাজ করেন। তিনি অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযানের কারণে তিনি নভেম্বর মাসে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।

আরো পড়ুন:

>>আইপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় বেন স্টোকস

গো নিউজ২৪/এম
 

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা