ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রোজার আগে ‍‍`হৃদরোগীদের‍‍` প্রস্তুতি


গো নিউজ২৪ | লাইফস্টাইল ডেস্ক প্রকাশিত: মে ১৩, ২০১৭, ০৪:১৩ পিএম আপডেট: মে ১৩, ২০১৭, ১০:১৩ এএম
রোজার আগে ‍‍`হৃদরোগীদের‍‍` প্রস্তুতি

হৃদরোগ এমন একটি জটিল রোগ যার পরিণতি অনেক ক্ষেত্রে খুবই ভয়াবহ। যার পরিপ্রেক্ষিতে বুদ্ধিমান মানুষ হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করে থাকে এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হলে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থতা লাভের চেষ্টা করে থাকে। মানবদেহ এমন একটি কাঠামো যাকে আল্লাহতায়ালা এমন এক ধরনের পটেনশিয়াটি বা যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, যার দরুন মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে, কিন্তু জীবনের একটা সময় পরে, মানে মধ্য (৫০ বছর) বয়সের পরে মানুষের শারীরিক যোগ্যতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে, তাই বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি যারা অত্যধিক দুর্বল, তাদের রোজা রাখা সঠিক হবে না, কারণ তারা দীর্ঘ সময় অনাহারের থাকলে খুব তাড়াতাড়ি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।

হৃদরোগীদের হৃদরোগ চিকিৎসার হাতিয়ার হিসেবে আমরা চিকিৎসকগণ অনেক ধরনের মেডিসিন ব্যবহার করে থাকি। রোজা রাখার ফলে যদি আমরা বিবেচনা করি যে এসব মেডিসিন গ্রহণের যে বিচ্যুতি হবে, তাতে রোগীর অসুস্থতা বৃদ্ধি পাবে। সে বিষয়টাও খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া হৃদরোগীদের বেলায় আরও কিছু বাড়তি সতর্কতা হিসেবে রোগীর রক্তের সুগার কন্ট্রোল, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ অতীব জরুরি। রোজা রাখার ক্ষেত্রে এ দুটি বিষয়কে আমরা প্রাধান্য দিয়ে থাকি। যে সব হৃদরোগী এমন ধরনের ঝুঁকিতে আছেন যে, রোজা রাখার ফলে রক্তে সুগার-কোলেস্টেরল অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যেতে পারে, তাদের জন্য রোজা না রাখাই উচিত।

যারা হার্ট ফেইলুর জনিত হৃদরোগে ভুগছেন মানে হৃদরোগে জটিলতা হিসেবে পা ফুলে যায় বা হৃদরোগজনিত শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাদের বেলায় রোজা রাখার ফলে খাদ্য ও মেডিসিন গ্রহণে (অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ও হার্টের রক্ত প্রবাহের সমস্যা সৃষ্টি ইত্যাদি বিষয় অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে) বিচ্যুতির ফলে তাদের অসুস্থতা বৃদ্ধির সমূহ সম্ভাবনা থাকে, তাই হার্ট ফেইলুরের রোগীদের জন্য রোজা না রাখাই উত্তম। প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তি রোজা রাখার ফলে তার সুস্থতা বজায় রাখা এবং উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের বেলায় তার শারীরিক যোগ্যতা বৃদ্ধির পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে পারবে।

বছরে এক মাস এ ধরনের শারীরিক যোগ্যতার মহড়া রোজাদার ব্যক্তি শারীরিক যোগ্যতা বৃদ্ধি করাসহ স্বাস্থ্য রক্ষায় মুখ্য ভূমিকা রাখে। কারণ ইসলাম সর্বদাই আধুনিক একটি ধর্ম এবং তার প্রতিটি বিধানেই মানবকল্যাণে নির্মিত। রোজার সময় অতিভোজন কাম্য নহে, কেননা আমাদের সমাজের অনেকেই রমজানে কাজকর্মের পরিমাণ কমিয়ে দিয়ে বিশ্রাম গ্রহণ করে এক মাস পার করে দেয় এবং এ ধরনের ব্যক্তি রোজার কারণে আরও বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েন। যারা ওজন আধিক্যে ভুগছেন (মেদভুঁড়ি) তারা অবশ্যই রোজার সময় খাদ্য গ্রহণ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে শারীরিক ওজন কমানোর কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তার মানে গত ১১ মাসে আপনার যা মেদ চর্বি জমা হয়েছে তা কমিয়ে ফেলবেন। কেউ যদি এটা বাল্যকাল থেকে অর্থাৎ রোজা রাখার বয়স থেকে শুরু করে, তবে তার মেদভুঁড়ি হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই থাকবে না। রোজা আল্লাহতায়ালার নির্দেশ এটাকে সঠিকভাবে পালন করে এর থেকে শারীরিক সুস্থতার উপাদানগুলোকে কাজে লাগিয়ে সুস্থ সুন্দর ব্যাধিমুক্ত জীবন লাভ করতে পারি।

ডা. এম শমশের আলী, সিনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, কনসালটেন্ট, শমশের হার্ট কেয়ার এবং মুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শ্যামলী, ঢাকা।

 

গো নিউজ২৪/জা আ 

লাইফস্টাইল বিভাগের আরো খবর
বিয়ে-বিচ্ছেদ বেড়েছে খুলনার মেয়েদের, কম বরিশালের

বিয়ে-বিচ্ছেদ বেড়েছে খুলনার মেয়েদের, কম বরিশালের

৪ মাসে একবার বিছানার চাদর কাচেন ব্যাচেলররা: গবেষণা

৪ মাসে একবার বিছানার চাদর কাচেন ব্যাচেলররা: গবেষণা

ডেঙ্গু আক্রান্তরা যে কারণে ডাবের পানি পান করবেন

ডেঙ্গু আক্রান্তরা যে কারণে ডাবের পানি পান করবেন

বাংলাদে‌শিদের জন্য ই-ভিসা চালু করেছে নেপাল

বাংলাদে‌শিদের জন্য ই-ভিসা চালু করেছে নেপাল

গর্ভাবস্থায় কী কী খাবার খেলে আপনার সন্তান হবে মেধাবী ও বুদ্ধিমান!

গর্ভাবস্থায় কী কী খাবার খেলে আপনার সন্তান হবে মেধাবী ও বুদ্ধিমান!

ডেঙ্গু সম্পর্কিত যেসব ভুল তথ্য এড়িয়ে যাবেন

ডেঙ্গু সম্পর্কিত যেসব ভুল তথ্য এড়িয়ে যাবেন