রংপুরে পুলিশ কম ছিল তাই হামলা ঠেকানো যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। মঙ্গলবার বিকালে ঢাকার মিন্টো রোডে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে আজ রংপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন তিনি।
তিনি বলেন, ঘটনার পরপর (ফেইসবুক স্ট্যাটাস) পুলিশ হিন্দু প্রধান বাড়ি-ঘরগুলো ঘেরাও করে রেখেছিল। কিন্তু একটি জানাজায় শত শত মানুষ এসেছিল। সেই সব মানুষকে নানাভাবে উত্তেজিত করা হচ্ছিল। শতশত মানুষ যখন আসে, পুলিশের সংখ্যা তখন খুব বেশি ছিল না। সেজন্যই এই অঘটনটি ঘটে গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ ‘তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ায় বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি’ বলে দাবি করেন আসাদুজ্জামান কামাল।
আগাম গোয়েন্দা তথ্যে কোনো ঘাটতি ছিল কি না-এই প্রশ্নে তিনি বলেন, সেখানে ইনটেলিজেন্সের কোনো ঘাটতি ছিল না, ঘটনা আকস্মিকভাবে ঘটে গিয়েছিল। কক্সবাজারের রামু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরসহ বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় উসকানি দিয়ে সংঘটিত এই ধরনের ঘটনাগুলোর উপর সরকার ‘বিশেষ নজর’ রাখছে বলে জানান তিনি।
এগুলো কোনো ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন কি না- এই প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এখন যা মনে হচ্ছে, একের পর এক ঘটনা ঘটছে, এখানে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। সেই সঙ্গে ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দায়িত্বশীলতার কথাও তিনি বলেন। সবাই এই ঘটনাকে (হামলা) ঘৃণা করছে। যে প্রথমে ফেইসবুকে বাড়াবাড়ি করেছে, যারা বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, তাদের সবাইকে ঘৃণা করছে জনতা। ধর্ম অবমাননা যে বা যারা করেছে, তাদেরও কঠোর শাস্তির আশ্বাস দেন তিনি।
ফেইসবুক স্ট্যাটাসটি ভুয়া ছিল কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, হতে পারে। তবে তদন্ত হচ্ছে, তদন্তের পর বিষয়টি জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, ফেইসবুকে মহানবীকে অবমাননার অভিযোগ তুলে রংপুরের খলেয়া ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া গ্রামে গত শুক্রবার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘরে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
গোনিউজ২৪/কেআর