সাতক্ষীরা: সহোদর ভাইদের নির্যাতনে পৈত্রিক ভিটা থেকে বিতাড়িত হয়েছেন সাতক্ষীরার দক্ষিণ আলিপুর এলাকার আম্বিয়া খাতুন। আম্বিয়ার তৈরি বাড়ি দখল করে নিয়েছে তার ভাইয়েরা। আসবাবপত্র লুটপাট এমনকি গাছও কেটে নিয়েছে। আর এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি মার খেয়েছেন। মারপিটের শিকার হয়েছে আম্বিয়ার দুই ছেলেও।
আম্বিয়া জানান, এ বিষয়ে তিনি পুলিশের আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের এক কর্মকর্তা তার কাছ থেকে এ পর্যন্ত নানা অজুহাতে ১২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
তবে সাতক্ষীরা থানার এসআই নুর আলম জানান, দুই পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আম্বিয়ার লুট হওয়া জিনিসপত্র পুলিশ উদ্ধার করেছে। প্রতিপক্ষও মামলা করেছে। তবে আম্বিয়ার মামলায় তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে। তার কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
আম্বিয়া জানান, তিনি তার বাবা আকছেদ আলির কাছ থেকে এক শতক জমি পান। পরে তার দুই ভাইয়ের কাছ থেকে আরও দুই শতক জমি কেনেন। এই তিন শতক জমিতে তিনি বাড়ি করেছেন। সেখানে বসবাস করছিলেন শান্তিপূর্ণভাবে। কিন্তু এই জমি থেকে তাকে উৎখাত করতে চান তার তিন ভাই শফিকুল, ওহিদুল, খোকন ও তাদের সহযোগীরা।
তিনি জানান, গত ১৩ নভেম্বর তার তিন ভাইসহ কয়েকজন বাড়িতে ঢুকে ঘরের টালি ভেঙে ফেলে। ঘরে থাকা জিনিসপত্র লুটপাট করে। তাকে মারধর করে। তারা তার চুল ধরে টানাহেঁচড়া করে। তার দুই ছেলে টিটু ও রাফাকে মারধর করে আহত করে তাদের তাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে তারা অন্যত্র ভাড়া বাড়িতে থাকছেন। এ ঘটনার পর তারা সবাই হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে এ নিয়ে মামলাও করেন।
আম্বিয়া বলেন, ‘সাতক্ষীরা থানার এসআই আমাদের বাড়িতে গিয়ে তিন আসামিকে আটক করেন। সেদিন ছিল শুক্রবার। পরদিন সকালে তাদের ছেড়ে দেন। তিনি তাদের আদালতে পাঠাননি। তাদের আটক করার ব্যাপারে তাগিদ দেওয়ায় পুলিশের এসআই আমার কাছ থেকে দফায় দফায় ১২ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু তাদের গ্রেপ্তার করেননি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার বাড়িতে উঠতে চাই। আমার লুট হওয়া জিনিসপত্র ফেরত চাই। আসামিদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানাই।’
গোনিউজ/এমবি