যশোর: যশোর জেলা ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী’র বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিদিন নতুন নতুন মুখোরোচক গল্প সৃষ্টি হচ্ছে।
শনিবার প্রেসক্লাব যশোরে শাহীর ‘কথিত শ্বশুর’ এহসানুল কবির সাগর সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, এমপি কাজী নাবিল আহমেদ পক্ষ বিয়ের যে কাবিননামা দেখাচ্ছে সেটা ভুয়া। শাহীর সাথে আমার মেয়ে ইসরাত আরা নাজনীন বিপাশার বিয়ে হয়নি। তবে তাদের দুজনের মধ্যে প্রেম ছিল। আমার মত ছিল না তাই তাদের বিয়ে দেয়া হয়নি। বর্তমান আমার মেয়ে লেখাপড়া শেষে ঢাকায় চাকরি করছে।
লিখিত বক্তব্যে সাগর বলেন, ‘স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ ও কিছু লোক আমার বাড়ি যাচ্ছে। এরপর জানতে পারি মেয়ের বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়। যা আমার এবং মেয়ের মান সম্মানের ব্যাপার। তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার আশা করছি। এই রকম অপবাদ আর না হয়। বিয়ে সংক্রান্ত বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এই বিষয়ে আপনাদের নেক দৃষ্টির আবেদন করছি। এ নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়েটির বাবা এহসানুল কবির সাগর বলেন, কাবিননামাটি ভুয়া। আমার চার মেয়ে। একজনেরও বিয়ে হয়নি। দুই মেয়ে ঢাকায় থাকে। আর যে কাবিননামা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেটিতে ইসরাত বিপাশার পিতার নাম সাগর উদ্দিন লেখা। কিন্তু আমার নাম এহসানুল কবির সাগর। মেয়ের নাম ইসরাত আরা নাজনীন বিপাশা। যা জাতীয় পরিচয়পত্র ও সনদপত্রে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই যশোর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিলরদের ভোটে সভাপতি পদে রওশন ইকবাল শাহী নির্বাচিত হন। এ সম্মেলনে যশোর-৩ আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনসহ একটি পক্ষ রওশন ইকবাল শাহী বিবাহিত দাবি করে। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিবাহিত ব্যক্তি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসতে পারে না। অভিযোগের সপক্ষে একটি কাবিননামাও কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়।
কথিত ওই কাবিননামা অনুযায়ী, যশোর সদর উপজেলার দাইতলা ফতেপুর এলাকার সাগর উদ্দিনের মেয়ে ইসরাত বিপাশার সাথে ২০১৩ সালের ২৩ মার্চ রওশন ইকবাল শাহীর বিয়ে হয়। এরপর থেকেই তোলপাড় শুরু হয়।
গো নিউজ২৪/এন