বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণী ধর্ষণ মামলার আসামি নাঈম আশরাফকে গ্রেফতারের পর মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়েছে। বুধবার দিবাগত দেড়টার পর তাকে রাজধানীর মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সেখানে রাতভর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ডিবির দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, বুধবার রাত পৌনে ৯টায় নাঈমকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং থেকে গ্রেফতারের পরপরই ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশের তদন্ত সহায়ক কমিটির সদস্যরা।
সহায়ক কমিটির প্রধান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণ পদ রায়। সদস্যরা হচ্ছেন ডিবি উত্তরের উপ-কমিশনার (ডিসি) শেখ নাজমুল আলম, গুলশান বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ এবং ওমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেন্টারের ডিসি ফরিদা ইয়াসমিন।
রাতে কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর সকালে আবারো জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওমেন্স সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশনের ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইসমত আরা এমির কাছে হস্তান্তর করা হবে। দুপুরের আগে তাকে আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করতে পারেন তিনি।
এর আগে বুধবার (১৭ মে) রাত পৌনে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার খিদিরপাড়া থেকে নাঈমকে গ্রেফতার করে পুলিশ সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা।
ডিবির দায়িত্বশীল ওই কর্মকর্তা জানান, নাঈম যার বাসায় আত্মগোপন করেছিল তার নাম মাতবর। তিনি নাঈমের আত্মীয়।
নাঈমের প্রকৃত নাম আব্দুল হালিম। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নে। নিজের নাম পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার এই মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যার পর রাজধানীর নবাবপুর ও গুলশান থেকে সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী রহমত আলী ওরফে আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন দুই তরুণী। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদের জন্মদিনের দাওয়াত দেয় দুই তরুণীকে। এরপর তাদের বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে তাদের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম। এ ঘটনা সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয়েছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
গো নিউজ২৪/এএইচ