বরিশাল: চাঁদার টাকা না পেয়ে স্বামীকে আটকে রেখে নববধূকে ধর্ষণ করেছেন বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুমন মোল্লা। পরে পুলিশ গিয়ে ওই নববধূকে উদ্ধার করে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১৫ জুলাই) বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বেতাল গ্রামে। ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হচ্ছে।
রোববার (১৬ জুলাই) ঘটনার শিকার নববধূ বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা সুমন মোল্লার বিরুদ্ধে বানারীপাড়া থানায় মামলা করেছেন। এছাড়া ধর্ষণে সহায়তা করার জন্য সুমন মোল্লার ৪ থেকে ৫ সহযোগীকেও আসামি করা হয়েছে।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, চট্টগ্রামে অটোরিকশা চালাতে গিয়ে বাদীর সঙ্গে পরিচয় হয় সেলিম মিয়ার। কয়েক মাস আগে তারা দুজনে বিয়ে করেন। দিন কয়েক আগে সেলিম তার নববধূকে নিয়ে তার নানাবাড়ি বেতাল গ্রামে বেড়াতে আসে। এর মধ্যেই বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুমন মোল্লা দলবল নিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাওয়া মাত্রই চাঁদার টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হন ছাত্রলীগ নেতা।
এক পর্যায়ে শনিবার সন্ধ্যায় সেলিম তার নববধূকে নিয়ে এলাকায় ঘুরতে বের হলে ছাত্রলীগ সভাপতি সুমন মোল্লা ও তার সহযোগীদের কবলে পড়ে। তারা দুজনকে ধরে নিয়ে পার্শ্ববর্তী জনৈক আনোয়ারা বেগমের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে আটকে রেখে নববধূকে ধর্ষণ করেন সুমন মোল্লা।
সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ঘটনা জানার পর পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে রোববার (১৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সেলিমসহ নববধূকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ওসি সাজ্জাদ হোসেন আরও জানান, সুমন মোল্লার নাম উল্লেখ করে তার আরো ৪-৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে ধর্ষিতা থানায় মামলা করেছেন। বাদীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হচ্ছে।
গো নিউজ২৪/এন